বিকাশ ব্যালেন্স খরচ করার যত উপায়

বিকাশ একাউন্টে থাকা ব্যালেন্স অসংখ্য কাজে ব্যবহার করা যায়। খুব সহজে ক্যাশ আউট করে টাকা তুলে খরচ করা যায়, এছাড়া আরো অনেক মাধ্যমে বিকাশ ব্যালেন্স ব্যবহার করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ ব্যালেন্স খরচ করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।

পেমেন্ট

দেশজুড়ে প্রায় ৪৭হাজার এর অধিক আউটলেটে বিকাশ ব্যবহার করে পেমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে। আবার বিকাশে পেমেন্ট করলে পাওয়া যাবে ক্যাশব্যাক, মূল্যছাড় এর মতো আকর্ষণীয় সব অফার। এসব ক্ষেত্রে ক্যাশ বা কার্ডে পেমেন্ট করার চেয়ে বিকাশ পেমেন্ট সাপোর্টড প্ল্যাটফর্মে পেমেন্ট করলে অধিক সুবিধা পাওয়া যাবে। সাপোর্টেড আউটলেটগুলোতে নাম্বার প্রদান করে বা কিউআর কোড স্ক্যান করে বিকাশে পেমেন্ট করা যাবে।

ইন্স্যুরেন্স

সাপোর্টেড ইন্স্যুরেন্স পলিসিসমূহের কিস্তি পে করা যাবে বিকাশ ব্যালেন্স ব্যবহার করে। আবার ইন্স্যুরেন্স বিকাশ এর মাধ্যমে প্রদান করে পেতে পারেন অসাধারণ ক্যাশব্যাক অফার। দেশের বেশ কিছু লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসি বিকাশে ইন্স্যুরেন্স প্রদান সাপোর্ট করে।

ক্যাশ আউট

বিকাশ ব্যালেন্স খরচ করার সবচেয়ে অধিক প্রচলিত ও সহজ উপায় হলো ক্যাশ আউট করে টাকা তুলে তা খরচ করা। বিকাশ এজেন্ট, বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টার, ব্যাংক, ইত্যাদি উপায়ে বিকাশ থেকে ক্যাশ আউট করা যায়।

বিকাশ ক্যাশ আউট এর ক্ষেত্রে বাড়তি খরচ রয়েছে। অর্থাৎ আপনি যে পরিমাণ অর্থ ক্যাশ আউট করবেন, উক্ত অর্থের উপর ক্যাশ আউট ফি দিতে হবে। উল্লেখিত যে মাধ্যমেই ক্যাশ আউট করা হোক না কেনো, ক্যাশ আউট করে টাকা তুললে অবশ্যই ক্যাশ আউট ফি প্রযোজ্য হবে।

তবে প্রিয় এজেন্ট নাম্বার থেকে ক্যাশ আউট এর ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন গ্রাহকগণ।

👉 বিকাশ ক্যাশ আউট করার নিয়ম (অ্যাপ/*247# ও এজেন্ট/এটিএম)

সেন্ড মানি

বিকাশ এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো সেন্ড মানি। সেন্ড মানি এর মাধ্যমে অন্য বিকাশ ব্যবহারকারীদের একাউন্টে বিকাশ ব্যালেন্স পাঠানো যায়। বিকাশ সেন্ড মানি একটি নির্দিষ্ট অংক পর্যন্ত কোনো ফি ছাড়া করা যায়। এছাড়া প্রিয় নাম্বারে ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি ফি ছাড়া সেন্ড মানি করা যায়। বিকাশে সেন্ড মানি যাবে সকল বিকাশ ব্যবহারকারীর নাম্বারে।

👉 বিকাশ সেন্ড মানি করার নিয়ম (ফ্রি সেন্ড মানি টিপস!)

পে বিল

বিকাশ ব্যালেন্স ব্যবহার করে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন বিল দেওয়া যাবে কোনো বাড়তি চার্জ ছাড়াই। অর্থাৎ সকল ধরণের ইউটিলিটি বিল আপনার বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমেই পে করতে পারবেন। এসব বিল দিতে আর অনেক সময় ধরে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। ঘরে বা অন্য যেকোনো জায়গা থেকে মুহূর্তের মধ্যে ইউটিলিটি বিল প্রদান করুন বিকাশে। 

👉 বিকাশ একাউন্টে টাকা আনার বিভিন্ন পদ্ধতি জানুন

সেভিংস

আপনি কি জানেন, বিকাশে রয়েছে সেভিংস এর সুবিধা। এই ফিচারের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট অনেকটা ব্যাংকের  সঞ্চয় একাউন্টের মত কাজ করে। সকল বিকাশ ব্যবহারকারীগণ সেভিংস ফিচারটি ব্যবহার করে বিকাশ ব্যালেন্স এর মাধ্যমে সঞ্চয় করতে পারবেন। 👉 বিকাশে ডিপিএস খোলার ফিচার ‘বিকাশ সেভিংস’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

টিকেট

বাস, ট্রেন বা প্লেন এর টিকেটের লম্বা লাইন কারোই পছন্দের নয়। কিন্তু যেখানে বিকাশ থেকেই কোনো ঝামেলা ছাড়া টিকেট কাটা সম্ভব, সেখানে লম্বা লাইন ধরে টিকেট নেওয়ার প্রয়োজন ই বা কি! বিকাশ অ্যাপ থেকে বাস, প্লেন ও ট্রেন এর টিকেট করা যাবে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে টিকেট বিকাশের মাধ্যমে নিলে পাওয়া যায় মূল্যছাড় কিংবা ক্যাশব্যাক অফার।

বিকাশ ব্যালেন্স খরচ করার যত উপায়

ডোনেশন

বিকাশ এর মাধ্যমে বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে ডোনেশন প্রদান করা যায়। বিকাশে লিস্টেড প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডোনেশন দিতে চাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের জুটঝামেলা নেই। বিকাশ ব্যালেন্স ব্যবহার করে ডোনেশন প্রদান করলে আপনার নামে উক্ত ডোনেশন পৌছে যাবে কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানের নিকট।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,568 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *