জুমশেপার ইফতার ২০১৮, দারুণ এক অভিজ্ঞতা

জুমশেপার

বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদের মধ্যে অনেকেই আমার কাছে জানতে চান যে জুমশেপার অফিসে আমরা কী ধরনের কাজ করি। তাদের সবার একটাই প্রশ্ন, সোশ্যাল মিডিয়ায়, এমনকি গুগলেও আমাদের সম্পর্কে যেসব ছবি পাওয়া যায়, তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশেই আমাদেরকে খেলাধুলা করতে দেখা যায়, ব্যাপক খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের মধ্যে কিংবা জনবহুল কোনো ইভেন্টে আমাদের টিম-মেম্বারদের দেখা যায়। সেই সাথে অফিস থেকে নতুন নতুন টি-শার্ট ও হরেক রকম গিফট নিয়ে ছবি তো থাকেই। তাহলে আমরা কাজটা করি কখন? যৌক্তিক প্রশ্ন বটে!

আমি তাদের সবাইকে এক বাক্যে বলি, “আমরা নিয়মিতই এগুলো (খেলাধুলা, পার্টি, ইভেন্ট) করি, আর এর ফাঁকে যে সময়টা থাকে তখন অফিসের কাজ (ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট) করি।”… তবে “পড়ার সময় পড়া, খেলার সময় খেলা”- আমরা এই নীতিতে বিশ্বাসী। তাইতো বিশ্বের সেরা জুমলা টেমপ্লেট ও এক্সটেনশন নির্মাতা কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশী কোম্পানি জুমশেপার অন্যতম। জুমশেপারের সাফল্যের খবর লিড নিউজ হিসেবে প্রথম আলো পত্রিকায়ও এসেছিল

প্রতি বছর পবিত্র রমজানে জুমশেপারে আমাদের অফিস টাইম ২ ঘণ্টা কমিয়ে দেয়া হয়। অন্যান্য বিষয়ের সাথে থাকে ঈদের ড্রেস এবং ব্যুফে ইফতার।

এই নিয়ে জুমশেপারে আমার ৩ বছর হতে চলল। এটাই আমার প্রথম জব। এই ৩ বছরে এখানে আমি ৩টি (রোজার) ঈদ পেয়েছি, সঙ্গে ৩টি চমৎকার ইফতার আয়োজন। প্রথম বছর ধানমন্ডি/মিরপুর রোডের রয়্যাল বাফেট, পরের বার গুলশানের ব্যাটন রুজ, এবং এবার ধানমন্ডির গার্লিক ‘এন জিঞ্জার রেস্টুরেন্ট। বলাই বাহুল্য, তিনটিই ব্যুফে পার্টি ছিল।

এবারের ইফতারে আমরা টিমের ৩০ জন উপস্থিত ছিলাম। যারা অনিবার্য কারণে ইফতারে আসতে পারেনি, তাদের আফসোসে ফেসবুক ভারী হয়ে গিয়েছিল ;)

গার্লিক ‘এন জিঞ্জার রেস্টুরেন্টে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে এখানে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বুকিং দিয়ে রাখতে হয়েছিল। জুনের ৪ তারিখ আমাদের ইফতার পার্টি ছিল।

যথাসময়ে সেখানে উপস্থিত হলে রেস্তোরাঁর গেইট থেকে তাদের একজন অফিসিয়াল আমাদেরকে স্বাগত জানান।

এবারের ব্যুফেতে প্রায় ৮০টি আইটেম ছিল, যার পুরোটার স্বাদ নেয়া একজন ব্যক্তির পক্ষে অসম্ভব বলেই আমার ধারণা। (কমেন্টে আপনি আমার ভুল ভাঙাতে পারেন)। অন্যান্যবার সিঙ্গেল টাইপের শরবত থাকলেও এবার ২ ধরনের শরবত আইটেম ছিল।

লালচে শরবতটা রুহ-আফজা ও লেমন ফ্লেভারের। কমলাটা অবধারিতভাবেই অরেঞ্জ ফ্লেভারের ছিল। আর হ্যাঁ, খেজুরও ছিল।

সবার আগে শেষ হয়েছিল নেহারি আইটেম। একজন বলছিলেন, “নেহারি বাসায় নিয়ে যেতে পারলে ভাল হত”।

ব্যুফের সবগুলো আইটেমের কাছেই ভিড় ছিল, ফলে ছবি তোলার যথেষ্ট সুযোগও ছিলনা!

রেগুলার চিকেন, মাটন এসব ব্যুফে ডিশের সাথে ডেজার্টগুলোও ছিল অসাধারণ।

দারুণ একটা আড্ডাও জমেছিল খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি।

জুমশেপার

এটা ছিল এবারের জুমশেপার ইফতার আয়োজনের একটা স্নিক-পিক। এই ছবিগুলো আমার টিম-মেম্বারদের তোলা। শীঘ্রই আরো একটা জমজমাট আয়োজন আসছে, যার আপডেট পেতে আমার সাথেই থাকুন!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,580 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *