আইফোন এর ফেইস আইডি সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

ফেইস আইডি

আইফোন ১০ এ এসেছে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ফেইস আইডি যা ব্যবহারকারীর মুখমণ্ডল স্ক্যান করে ফোন আনলক করতে পারে। চলুন জেনে নিই ফেইস আইডির অজানা কিছু তথ্য।

আইফোনের ইতিহাসে সবচেয়ে আলাদা চেহারা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আইফোন ১০, যা ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রশংসিত ও আলোচিত হয়েছে। এর স্পেসিফিকেশন ও ডিজাইনের বেশিরভাগই সবাই পছন্দ করেছেন- শুধুমাত্র স্ক্রিনের উপরের দিকের খাঁজটুকু ছাড়া। ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি ‘টাচ আইডি’ বাদ দিয়ে আইফোন ১০ এ এসেছে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ‘ফেইস আইডি’, যা ব্যবহারকারীর মুখমণ্ডল স্ক্যান করে ফোন আনলক করতে পারে। চলুন জেনে নিই আইফোন ১০ এর ফেইস আইডির অজানা কিছু তথ্য।

ফেইস আইডি অন্ধকারেও কাজ করবে

আইফোন ও আইপ্যাডের এর এই ফেইস আইডি অন্ধকারেও আপনার মুখমণ্ডল স্ক্যান করে ফোন আনলক করতে পারবে। এটি ইনফ্রারেড প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তবে এসময় সেন্সর থেকে বিক্ষেপিত হালকা আলোর আভা লক্ষ্য করা যাবে।

মাত্র দুই জনের ফেইস সাপোর্ট করবে

শুরুতে ফেস আইডি মাত্র এক জনের ফেস সাপোর্ট করত। পরে অ্যাপল ফেস আইডিতে ২জনের ফেস বা দুটি ফেস সাপোর্ট যুক্ত করে। দ্বিতীয় ফেসটি অল্টারনেট এপিয়ারেন্স হিসেবে সেভ হবে।

আইফোন ১০ ও ফেইস আইডি

সময়ের সাথে আপডেট হয়

শুনতে অবাক লাগলেও সময়ের সাথে সাথে ব্যবহারকারীর চেহারার সাথে মিল রেখে ফেস আইডি আপডেট হয়। যেমনঃ ব্যবহারকারীর যদি শেষ আনলকের পর নতুন দাড়ি উঠে, সেক্ষেত্রে পাসকোড প্রদান করতে হবে। পাসকোড প্রদানের পর নতুন পরিবর্তনকে আমলে নিয়ে আপনাআপনি ফেস ডাটা আপডেট করবে সিস্টেম, যা ফলে পরেরবার ফেস আইডি দ্বারা ফোন আনলক করা যাবে।

ব্যবহারকারীর বয়স

ফেইস আইডি ব্যবহার করতে চাইলে এর ব্যবহারকারীর বয়স কমপক্ষে ১৩ বছর কিংবা তার বেশি হতে হবে- এরকম পরামর্শ দিয়েছে অ্যাপল। কেননা, এর চেয়ে কম বয়সীদের চেহারা দ্রুত পরিবর্তিত হয় এবং মেশিন লার্নিং সিস্টেমের জন্য এটা আয়ত্ব করতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।

পাসকোড

ফেইস আইডি ব্যবহার করতে চাইলে আগে আপনাকে একটি পাসকোড (পিন নাম্বার) সেট করতে হবে। ফেইস আইডি দিয়ে ফোন আনলক করার চেষ্টা ব্যর্থ হলে কিংবা ফেইস আইডি পরিবর্তন করতে চাইলে এই পাসকোড দরকার হবে। ফোন চালু করার পর ও আনলক করার ৪৮ ঘন্টা পর পুনরায় পাসকোড প্রবেশ করাতে হবে।

👉 আইফোনে ফেস আইডি কিভাবে চালায় জানুন

চোখ খোলা নাকি বন্ধ?

‘ফেইস আইডি’ ব্যবহার করে আইফোন আনলক করতে চাইলে আপনাকে ফোনের দিকে দুই চোখ খোলা রেখে তাকাতে হবে। তবে এই অপশনটি বন্ধ করে রাখা যায়।

ফেইস আইডি

মুখোশ কিংবা ছবি দেখে “ভুল করবে না”

অ্যাপলের দাবী, ফেইস আইডি এতটাই দক্ষ যে, এর সামনে প্রকৃত ব্যবহারকারী জ্বলজ্যান্ত উপস্থিত থাকতে হবে। কোনো ছবি কিংবা মুখোশ দেখিয়ে একে বোকা বানিয়ে আইফোন আনলক করা যাবেনা।

স্কার্ফ, হ্যাট, চশমা পরলে কী হবে?

ব্যবহারকারী যদি চশমা ছাড়া ফেইস আইডি রেজিস্টার করেন এবং এরপর চশমা পরে আইফোন আনলক করার চেষ্টা করেন, সেটাও কাজ করবে। শুধু তাই নয়, স্কার্ফ, হ্যাট, টুপি, সানগ্লাস, কনটাক্ট লেন্সের সাথেও ফেইস আইডি কাজ করবে বলে অ্যাপল জানিয়েছে।

অ্যাপ অ্যাক্সেস

যেসব অ্যাপ এর আগে আইফোনের টাচ আইডি অথোরাইজেশন সিস্টেম ব্যবহার করতে পারত, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ফেইস আইডি সুবিধা পাবে।

ফেইস আইডি ডেটা সুরক্ষা

ফেইস আইডি সংক্রান্ত সকল ডেটা আইফোন বা আইপ্যাডের আভ্যন্তরীণ চিপের মধ্যে সংরক্ষিত হয়। অ্যাপলের দাবী, এটা এনক্রিপ্টেড থাকে। এর মধ্যে ব্যবহারকারীর মুখমণ্ডলের ২ডি ইমেজ, ডেপ্থ ম্যাপ, এবং ২ডি ইনফ্রারেড ইমেজ থাকে। ব্যবহারকারী যদি অ্যাপলের ফেইস আইডি ডায়াগনস্টিকস প্রোগ্রামে সাইন-আপ করে, তাহলেই কেবল এসব ডেটা অ্যাপলের সার্ভারে যেতে পারে, যা আপলোড করার আগে ব্যবহারকারীকে দেখানো হবে।

‘ফেইস আইডি’ নিয়ে আপনার কী মতামত? এটা কতটা নিরাপদ ও ব্যবহারবান্ধব হবে? কমেন্টে জানানোর আমন্ত্রণ রইল।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,581 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *