দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা জেনে নিন

ব্যবসা বাণিজ্য বা কাজের খোঁজে অনেকেই বিদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানতে চান। অনেকেই বাইরের দেশে ব্যবসা কিংবা চাকরি খুঁজতে চান। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে তাই অনেকেরই থাকে নানা রকম কৌতূহল। বাইরের দেশগুলোতে চাকরি সন্ধান করলে প্রথমেই প্রশ্ন আসে সেখানে বেতন কেমন পাওয়া যায়। সাধারণত এই বেতনের তথ্য সেই দেশের নির্দিষ্ট মুদ্রায় জানা যায়।

কাজেই অনেকেরই এই মুদ্রার বাংলাদেশি মান নিয়ে থাকে কৌতূহল। এমন একটি জনপ্রিয় চাকরি কিংবা ব্যবসার শহর হচ্ছে দুবাই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই শহরটিতে রয়েছেন অনেক প্রবাসি বাংলাদেশি। মূলত ব্যবসা এবং চাকরির জন্যই বাংলাদেশিদের কাছে এই উন্নত শহরটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

অনেকে দুবাইতে চাকরির খোঁজ করে থাকেন। এছাড়া দুবাই ভ্রমণের জন্যও জনপ্রিয় এক গন্তব্য। যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন দুবাই যেতে চাইলে সে দেশের মুদ্রা ও তার বাংলাদেশি টাকায় তার মান সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। কেননা ধনী দেশ হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুদ্রার মান স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের মুদ্রা থেকে বেশ খানিকটা বেশি হয়ে থাকে। সেই সাথে এসব দেশে থাকা-খাওয়ার খরচও আমাদের দেশ থেকে বেশি। আর তাই মুদ্রার মান সম্পর্কে ধারণা রেখে তবেই এসব দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত।

আজকের পোস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশি টাকা অনুযায়ী দুবাইয়ের মুদ্রার মান সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হবে। এছাড়া কেন এই মান বাড়ে বা কমে সে বিষয়েও পাবেন কিছুটা ধারণা। কাজেই দুবাই সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকলে এই পোস্ট পড়ে নিতে পারেন।

টাকার মান কীভাবে নির্ধারিত হয়

টাকা কিংবা মুদ্রার মান কোন দেশের সাপেক্ষে কীভাবে নির্ধারিত হয় এটি অনেক জটিল একটি আলাপ। তবে সাধারনভাবে কোনো দেশের মোট সম্পদ ও দেশটির মুদ্রার চাহিদার উপর নির্ভর করেই সেই দেশের মুদ্রার মান বেশি কিংবা কম হয়ে থাকে। আমরা সকলেই জানি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বেশ ধনী ও উন্নত দেশ। মূলত মধ্যপ্রাচ্য প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ হওয়ায় তাদের অর্থনীতিও অনেক উন্নত। স্বাভাবিকভাবেই এই দেশগুলোর মুদ্রার মান তাই বাংলাদেশি মুদ্রা থেকে অনেক বেশি হয়। 

বাংলাদেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নত হলেও সেই সাথে উন্নত দেশগুলোও এগিয়ে যাচ্ছে। কাজেই অনেকের মনেই এই ব্যাপারে প্রশ্ন জাগতে পারে। আসলে টাকার মান অর্থনীতি ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। মূলত চাহিদা এবং যোগানের ভিত্তিতে আধুনিক মুদ্রার মান নির্ধারিত হয়। চাহিদা বেড়ে গেলে মুদ্রার মূল্য বাড়ে আর চাহিদা কম থাকলে সেই মুদ্রার মূল্য কমতে থাকে। মুদ্রাস্ফিতি বা অর্থনীতির খারাপ অবস্থা হলে মুদ্রার মূল্য কমে যায় অনেকটাই। এসব বিভিন্ন কারণেই বাংলাদেশি টাকার মান এখনও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হতে কম আছে বর্তমানে।

দুবাইয়ের মুদ্রার নাম কী?

দুবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি উন্নত ও বড় শহর। দুবাইয়ের নিজস্ব মুদ্রা নেই, মুদ্রা শুধু একটি দেশের থাকতে পারে। কাজেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুদ্রাই দুবাইয়ের মুদ্রা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুদ্রার নাম দিরহাম। আমাদের দেশের মুদ্রার যেমন নিজস্ব নাম রয়েছে তেমনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুদ্রারও নিজস্ব নাম রয়েছে। আমাদের ১ টাকা সৌদি আরবের ১ দিরহামের সমান নয়। কেন এই মান এক নয় সেটি উপরে সংক্ষেপে কিছুটা আলোচনা করা হয়েছে।

দুবাইতে যে কোন কাজের বেতন কিংবা যে কোন অর্থের হিসাবে মূলত দিরহামের হিসাবই করা হয়। কাজেই যদি আপনি দুবাইতে ব্যবসা, বাণিজ্য, ভ্রমণ কিংবা চাকরির কাজে যেতে চান দুবাইয়ের দিরহাম সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন। এতে দেশের সাপেক্ষে মূল্যমান হিসাব করা সহজ হয়ে যাবে অনেকটাই। 👉 ঢাকা টু দুবাই এয়ার টিকেট প্রাইস বাংলাদেশ বিমান

dirham to taka rate today

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

দুবাইয়ের ১ টাকা বাংলাদেশের কত?

দুবাইয়ের টাকার রেট নিয়মিত পরিবর্তিত হয় অন্য যে কোন মুদ্রার মতোই। দুবাইয়ের দিরহাম সারা বিশ্বের অন্যান্য সকল মুদ্রার মতই চাহিদা এবং যোগানের উপর নির্ভর করে মান নির্ধারিত হয় প্রতি মুহূর্তে। আবার আমাদের দেশের টাকার মানও একইভাবে নিয়মিত পরিবর্তন হতে থাকে। কাজেই টাকা এবং দিরহামের মানও পরস্পর প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হচ্ছে।

প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হয় বলে একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তে টাকার মান কত হবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কোন মুহূর্তের দিরহাম থেকে টাকার মানের সঠিক ধারণা পেতে আপনাকে অনলাইন থেকে সেটি দেখে নিতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ থেকেও এক দিরহামে কতো টাকা কিংবা ১ টাকায় কত দিরহাম এটি জেনে নিতে পারবেন।

মুদ্রার মানের ব্যাপারে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ব্যাংক রেটের সঙ্গে খোলা বাজারের পার্থক্য। দিরহাম এবং টাকার মধ্যে প্রতিদিন যে ব্যাংক রেট থাকবে সেটি খোলা বাজার থেকে কিছুটা কম হয়ে থাকে। কেননা খোলা বাজারে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জাররা কিছুটা বাড়তি লাভ রাখতে পারেন। কাজেই আপনি যখন টাকা দিয়ে দিরহাম কিনবেন তখন ব্যাংক রেট থেকে কিছুটা বেশি মূল্যে আপনাকে কিনতে হতে পারে। একইভাবে দিরহাম পরিবর্তন করে টাকা নিলে আপনি কিছুটা কম পেতে পারেন ব্যাংক রেট থেকে। 👉 দুবাই কাজের সন্ধান | দুবাইতে কোন কাজের চাহিদা বেশি জানুন

গত ৩১ মে ২০২৩ এ ব্যাংক রেট অনুযায়ী দুবাইয়ের ১ দিরহামের বিপরীতে ২৯.২০ বাংলাদেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছিল। বিগত কয়েক মাস ধরেই দিরহামের বিপরীতে টাকার মূল্য ২৯ টাকার উপরে রয়েছে। কিছুদিন এই রেট এই অবস্থানের আশেপাশে থাকবে বলেই ধারণা করা যায়। অর্থাৎ আপনি বাংলাদেশি ১ টাকায় এখন পাবেন ০.০৩৪ দিরহাম। টাকা ও দিরহামের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক মূল্যমান জানতে গুগলের লিংক থেকে দেখে নিতে পারেন যে কোন সময়।

তবে খোলা বাজারে আপনাকে দিরহাম কিনতে হবে ২৯.২০ রেটের কিছুটা বেশি দিয়েই। বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জার থেকে বিনিময় মূল্য সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন। কাজেই দেশ থেকে দুবাই যেতে চাইলে সঠিক পরিমাণ হিসাব করে তবেই টাকা নিয়ে যাবেন।

দুবাইয়ে দিরহামের মূল্য বেশি হলেও মনে রাখতে হবে যে সেখানে জীবন-যাপনের খরচও বাংলাদেশের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। কাজেই দুবাইয়ের টাকার মূল্য দেখে অন্ধের মতো সেখানে ছোটা একটি ভুল কাজ। দুবাইতে চাকরি কিংবা ব্যবসা করতে চাইলে এই বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে তবেই কাজ করা উচিত। 👉 দুবাই থেকে ঢাকা বিমান ভাড়া | দুবাই টু ঢাকা টিকেটের দাম কত জানুন

অর্থাৎ দুবাইয়ের দিরহামের মূল্য সম্পর্কে আশা করি একটি ধারণা এই পোস্ট থেকে পেয়ে গেছেন। এই মূল্য নিয়মিত পরিবর্তন হলেও সাধারণত এর আশেপাশেই থাকে বড় কোন অর্থনৈতিক পরিবর্তন না হলে। তবে দুবাইয়ে যাবার আগে অবশ্যই ভালোভাবে এই মান দেখে নেয়া উচিত।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *