ভিসা কার্ড বিকাশে ব্যবহার করতে পারবেন বেশ সহজে। তবে বিকাশ একাউন্টে ভিসা কার্ড সেভ করলে অধিক সুবিধা পাওয়া যাবে, কেননা ভিসা কার্ড থেকে এড মানি করতে প্রতিবার কার্ডের তথ্য প্রদান করতে হবেনা।
এছাড়া বিকাশ অ্যাপে ভিসা কার্ড সেভ করে বিকাশ একাউন্টে দুই বার এক হাজার টাকা বা তার বেশি এড মানি করলে পাওয়া যাবে বোনাস। দুই বার এক হাজার টাকা করে (বা তার বেশি টাকা) বিকাশ এড মানি করলে প্রতিবার ৫০টাকা করে মোট ১০০টাকা বোনাস। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের ৩০তারিখ পর্যন্ত এই অফারের মেয়াদ রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ একাউন্টে ভিসা কার্ড ব্যবহারের নিয়ম বিস্তারিত।
বিকাশ একাউন্টে ভিসা কার্ড ব্যবহারের উপায় ও সুবিধা
বাংলাদেশে যেকোনো ব্যাংক হতে লোকালি ইস্যু করা ভিসা ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্টে এড মানি করা যাবে। এই সেবা ব্যবহার করতে কোনো ধরণের ফি প্রদান করতে হবেনা। এছাড়া প্রথমবার এড মানি করার পর উক্ত কার্ড ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সেভ করে রাখতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্টে ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে
- বিকাশ অ্যাপে বিকাশ পিন প্রদান করে প্রবেশ করুন
- “Add Money” অপশন সিলেক্ট করুন
- এরপর “Card to bKash” সিলেক্ট করুন
- এবার “Visa” সিলেক্ট করুন
এখানে ডিফল্টভাবে আপনার বিকাশ নাম্বার বসে যাবে। আপনি যদি অন্য কোনো বিকাশ নাম্বারে ভিসা দ্বারা এড মানি করতে চান, তবে উক্ত নাম্বার প্রদান করুন। নাম্বার প্রদানের পর টাকার পরিমাণ লিখুন।
এরপর আপনার ভিসা কার্ডের তথ্য, যেমনঃ কার্ড নাম্বার, এক্সপায়ারি ডেট ও সিভিভি নাম্বার প্রদান করুন। সিভিভি নাম্বার হলো ভিসা কার্ড এর পেছনে থাকা ৩ বা ৪ ডিজিটের নাম্বার। পরবর্তীতে একই কার্ড দ্বারা এড মানি করতে চাইলে কার্ডের তথ্য সেভ করে রাখার অপশন সিলেক্ট করতে পারেন।
এরপর পরবর্তী পেজে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) প্রদান করে ট্রানজেকশন সম্পন্ন করুন। একদিনে ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে সর্বোচ্চ ৩০,০০০টাকা ও ৫টি লেনদেন করা যায়। প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ২৫বারে ২০০,০০০টাকা পর্যন্ত ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে এড করা যাবে।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
বিকাশ একাউন্টে ভিসা কার্ড ব্যবহার সম্পর্কিত কিছু সমস্যা ও সমাধান
বিকাশ একাউন্টে ভিসা কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সমস্যার ক্ষেত্রে কি সমাধান প্রযোজ্য হবে।

এড মানি এর অর্থ ব্যাংক একাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয় এই সমস্যায়, কিন্তু টাকা বিকাশ একাউন্টে জমা হয়না। আশা করা যায় এই অবস্থায় ভিসা কার্ডে উক্ত এমাউন্ট পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত পেয়ে যাবেন।
কোনো কারণে ফান্ড ফিরে না পেলে বিকাশ কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন। আশা করা যায় পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করে দিবে বিকাশ। এসবের পরেও যদি টাকা ফেরত না আসে তবে ইস্যুকারী ব্যাংকে অভিযোগ জানান। এরপর ভিসা কার্ডের পলিসি অনুসারে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
👉 ভিসা কার্ড ও মাস্টার কার্ডের পার্থক্য কী?
মানি ট্রান্সফার করতে, কার্ড সেভ করতে কিংবা ওটিপি স্ক্রিনের কোনো সমস্যার কারণে কোনো প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ না করলে ইস্যুকারী ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন ও কার্ডের ‘e-commerce transaction’ ফিচারটি অনলাইন ট্রানজেকশনের জন্য চালু করে দিতে বলুন।
আবার অনলাইন ট্রানজেকশন এর ফিচার চালু করার পরও একই সমস্যায় পড়তে পারেন আইফোন ব্যবহারকারীগণ। এমন অবস্থায় কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে আপনার সমস্যা সম্পর্কে জানান।
আবার ই-কমার্স ট্রানজেকশন চালু থাকার পরও সেভ করা কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করা যাচ্ছেনা, কিন্তু সেভ না করা কার্ড দ্বারা ট্রানজেকশন করা যাচ্ছে, এমন অবস্থায় ইস্যুকারী ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে আপনার সমস্যার কথা জানান। সিভিভি ছাড়া সেভড কার্ড ব্যবহার করে ট্রানজেকশন এর ফিচার চালু করার কথা জানান কার্ড ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে।
👉 ক্রেডিট কার্ড নেয়ার আগে যা জানা দরকার
আবার ই-কমার্স ট্রানজেকশন চালু থাকার পর ওটিপি স্ক্রিনের বারবার সমস্যা হতে পারে যদি ইস্যুকারী ব্যাংকের ওটিপি বা টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিস্টেম চালু না থাকে। এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে ইসুকারী ব্যাংককে উক্ত সমস্যার কথা জানান।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।