ভারতে আঘাত হানল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পাইলিন [আপডেট]

আপডেট (১৩-১০-২০১৩) সকাল: ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে গতকাল রাত সোয়া ৯টার দিকে ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানার পর প্রচুর বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় পাইলিন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে উড়িষ্যায় ৫ থেকে ৭ জনের মৃত্যুর খবর দিলেও পাইলিনের কারণে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য এখনো দিতে পারেনি। প্রবল ঝড়ে তার ছিড়ে উড়িষ্যায় সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার রাত থেকে রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাই বিদ্যুৎবিহীন।

আজ রোববার সকালে ঝড়ের কেন্দ্র অবস্থান করছিল উড়িষ্যার সম্বলপুর এলাকায়। তখন বাতাসের বেগ কমে এসে ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে বইছিল। 

গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঝড় সামনে রেখে শনিবার পর্যন্ত আট লাখেরও বেশি মানুষকে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল থেকে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। — বিডিনিউজ২৪.কম, বিবিসি, এনডিটিভি।

একদিন আগের (১২-১০-২০১৩) খবরঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পাইলিন আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিকেল নাগাদ ভারতের পূর্ব উপকূলে আঘাত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উড়িষ্যা উপকূলের তিন লাখ বাসিন্দাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং ভারতের গোপালপুর এবং পুরীতে মহাবিপদ সংকেত ১০ জারি করা হয়েছে। আর এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে মহাবিপদ সংকেত ৯ জারি করা হয়েছে।

ভারতের গোপালপুর এবং পুরীতে মহাবিপদ সংকেত ১০

শনিবার সকাল নাগাদ ভারতের ওইসব এলাকায় ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে ও আকাশ প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেছে। সেখানকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

উড়িষ্যার যে সাতটি জেলায় ঝড়ের বেশি প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেই জেলাগুলোতে ২৩টি সাইক্লোন শেল্টারের সাথে আরো ১০০টি  অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দেশটির অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তমের মৎস পোতাশ্রয়ে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়া শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত ২

এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, বাংলাদেশের পনেরোটি উপকূলীয় জেলাতেও ঘূর্ণিঝড় পাইলিনের প্রভাব পড়তে পারে। এসব এলাকার মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত ২ জারি আছে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট উুঁচ জোয়ারের আশঙ্কা

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে বিডিনিউজ২৪ ডটকম জানাচ্ছে, ভারত উপকূলমুখী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট উুঁচ জোয়ার হতে পারে।

শনিবার সকাল ৯টায় ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আরো দূরে সরে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম এবং কক্সবাজার বন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। ১২ ঘণ্টায় মংলা বন্দর থেকে এর দূরত্ব ২০ কিলোমিটার কমেছে। সকাল ৯টায় মংলা থেকে ঝড়টি ৬৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আপনার এলাকায় কি ঘূর্ণিঝড় পাইলিনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে? যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে সুযোগ পেলে আপনাদের সর্বশেষ পরিস্থিতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ থাকল। শুভকামনা জানবেন।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,552 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *