কাইওএস চালিত কিছু বাটন ফোন, সস্তায় আধুনিক সুবিধা

ফিচার ফোন বা বাটন ফোনের ক্ষেত্রে বর্তমানে কাইওএস খুবই জনপ্রিয় একটি নাম হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গুগলের সহায়তায় বাটন ফোনগুলোর জন্য তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেম দিনে দিনে আরো উন্নত হচ্ছে। নতুন নতুন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে কাইওএস ফোনগুলো সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। এখন বাজারে কাইওএস ফোন একটু খুঁজলেই পাওয়া যায়। মূলত সস্তায় স্মার্টফোনের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিতে পারে কাইওএস চালিত ফোনগুলো।

তবে এখনও সাধারণ বাটন ফোন থেকে কাইওএস চালিত বাটন ফোনের দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। এই ফোনগুলোতে ৪জি, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ ইত্যাদি আধুনিক সুবিধা থাকে বলে বাজারে এই ফোনের বাড়তি একটি চাহিদা রয়েছে। অনেকেই ব্যাকাপ ফোন হিসেবে কাইওএস ফোন ব্যবহার করতে চান। এছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের পক্ষে স্মার্টফোন কেনা সম্ভব হয় না তাদের মাঝেও এই ফোনের চাহিদা বাড়ছে ধীরে ধীরে। সকলের হতে স্মার্টফোনের মতো কিছু প্রয়োজনীয় সুবিধা তুলে দেয়াই কাইওএসের লক্ষ্য। কাইওএস নিয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন আমাদের আগের পোস্ট থেকে।

কাইওএস সাধারণত স্থানীয় বিভিন্ন ফোন ব্র্যান্ড ও টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ফোন বাজারে আনে। ফলে বেশিরভাগ কাইওএস ফোন ওই স্থানীয় বাজারের বাইরে তেমন একটা পাওয়া যায় না। যেমন: ভারতের বাজারে কাইওএসের ফোন তৈরি করছে টেলিকম কোম্পানি জিও এবং মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড মাইক্রোম্যাক্স। এই ফোনগুলো প্রধানত ভারতের বাজারেই পাওয়া যায়। তবে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মোবাইল ব্র্যান্ডও কাইওএস ফোন তৈরি করছে বর্তমানে। যেমন: নোকিয়া, এলকাটেল, এনার্জাইজার ইত্যাদি। ফলে তাদের ফোনগুলো বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। 

আমাদের পোস্টে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় এমন কিছু সস্তা কাইওএস ফোনের পরিচিতি তুলে ধরা হবে। দেশের বাজারে নোকিয়া, এনার্জাইজারের মতো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের কাইওএস ফোন পাওয়া যায়। এছাড়া স্থানীয় ব্র্যান্ড জিওফোনের কাইওএস ফোনও রয়েছে বাজারে। ফলে কাইওএস ফোন কিনতে চাইলে সহজেই আমাদের পোস্ট থেকে ধারণা নিয়ে নিতে পারেন।

নোকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ

স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তার পূর্বে নোকিয়ার বাটন ফোনগুলো ছিল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এই বাটন ফোনের মাঝেও ফ্লিপ ফোনের ছিল আলাদা কদর। নোকিয়ার স্বর্ণযুগের একটি জনপ্রিয় ফ্লিপ ফোন ছিল নোকিয়া ২৭২০। ফোনের সামনে সময় দেখার জন্য ছোট একটি ডিসপ্লে এবং ফোন খুললে খুবই প্রিমিয়াম ডিজাইনের এই ফোনটি ছিল নোকিয়ার ফ্ল্যাগশিপ বাটন ফোনের একটি। নোকিয়ার এই ক্লাসিক ফ্লিপ ফোনকেই আবার জীবন দিয়েছে নতুন নোকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ। একই ডিজাইন নিয়ে এই ফোন বাজারে আছে নতুন ভাবে, নতুন রূপে। নোকিয়ার বাটন ফোনগুলোর মধ্যে এটি এখনও দামের দিক থেকে আছে উপরের দিকেই। বর্তমানে বাজারে ৯ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যায় কাইওএস চালিত এই ফ্লিপ ফোনটি।

নোকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ

সামনে আগের মতোই আছে সময় ও অন্যান্য জরুরি তথ্য দেখানোর জন্য ছোট একটি ডিসপ্লে। এছাড়া ক্যামেরাও রয়েছে এতে ২ মেগাপিক্সেলের। কাইওএস চালিত ফোনগুলোর মধ্যে এটি বেশ দামী একটি ফোন। আপনি যদি আরও কম দামে কাইওএস ফোন খোঁজেন তাহলে আমাদের পোস্টের মধ্যে অন্য ফোনগুলো দেখতে পারেন।

এতে আছে ডুয়াল সিম ৪জি সাপোর্ট। ভিতরে দেয়া হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ২০৫ নামের একটি প্রসেসর, এমনকি ৫১২ মেগাবাইট র‍্যামও রয়েছে এই ফোনে। অর্থাৎ বাটন ফোন হলেও এটি যথেষ্ট শক্তিশালী। কাইওএস চালিত হওয়ায় বিভিন্ন দরকারি অ্যাপ ও স্মার্ট বিভিন্ন ফিচারও উপভোগ করা যাবে ২.৮ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোনটিতে।

নোকিয়া ৮১১০ ৪জি

নোকিয়া ৮১১০ ৪জি

নোকিয়ার আরেকটি ক্ল্যাসিক মডেলের রিনিউড ফোন এটি। বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এই ফোনটি পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। এই ফোনটি পরিচিত হয়েছে ‘বানানা ফোন’ নামে। কলার মতো ডিজাইন বলেই ফোনের এই নাম দেয়া হয়েছে। এই ফোনেও ব্যবহার করা হয়েছে কাইওএস। ফলে কাইওএসের সমস্ত সুবিধা পাওয়া যায় ভিন্নরকম ডিজাইনের এই ফোনে।

এখানেও আপনি পাবেন ৪জি, ব্লুটুথ, জিপিএস, এফএম রেডিও, ওয়াইফাই ইত্যাদি আধুনিক সকল সুবিধা। এছাড়া ফোনের পিছনে আছে ফ্ল্যাশসহ ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ফোনের সামনে ২.৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে রয়েছে। ফোনের বাটনগুলো ঢাকা থাকে আলাদা একটি অংশ দ্বারা, এই অংশকে টেনে নামিয়ে এরপর ফোনে সকল কাজ করতে হয়। এই ধরণের ডিজাইনের ফোন বাজারে এই একটিই রয়েছে। এছাড়া কাইওএস চালিত ফোন হওয়ায় ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, গুগল ম্যাপ ইত্যাদি জরুরি অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। অফিসিয়াল কাই স্টোর থেকে নতুন নতুন অ্যাপও ইন্সটল করা যাবে। বাজারে ফোনটি পাওয়া যায় ৬,৫০০ টাকার মধ্যেই।

নোকিয়া ৬৩০০ ৪জি

নোকিয়া ৬৩০০ ৪জি

খুবই সুন্দর দেখতে এই বাটন ফোনটি নোকিয়ার লাইনআপে সবথেকে কম দামী কাইওএস যুক্ত ফোন। এই ফোন কাইওএস সুবিধা ছাড়াও আরও বেশ কিছু সুবিধা দিচ্ছে যা এই ফোনকে সাধারণ বাটন ফোন থেকে অনেক বেশি কার্যকরী করে তুলেছে।

২.৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে রয়েছে ফোনটির সামনে। ফোনের পিছনে পাওয়া যাবে একটি ভিজিএ ক্যামেরা। তবে এতে কোন সেলফি ক্যামেরা নেই। ফোনটিতে অন্য সকল কাইওএস ফোনের মতোই আছে ৪জি, ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, হটস্পট, জিপিএস ইত্যাদির সুবিধা। ফলে সহজে ইন্টারনেট ব্যবহার, দিক নির্ণয় থেকে শুরু করে ভিডিও দেখার মতো কাজগুলো করা যাবে। পারফর্মেন্স দিতে আছে স্ন্যাপড্রাগনের ২১০ প্রসেসর, সেই সাথে ৫১২ এম্বি র‍্যাম ও ৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজও পাওয়া যাবে। ছোট এই ফোনটি তাই চমৎকার পারফর্মেন্স প্রদান করতে পারে। কাইওএস থাকায় এতে ব্যবহার করা যাবে নানা রকমের অ্যাপ। অফিসিয়াল অ্যাপস্টোর হতে নতুন নতুন অ্যাপও নামিয়ে নেয়া যাবে সহজেই। বাজারে ফোনটি পাওয়া যায় মাত্র ৫,২৯৯ টাকায়।

👉 জাভা ফোন কি? জাভা ফোনের সুবিধা জানুন

নোকিয়া ৮০০০ ৪জি

নোকিয়া ৮০০০ ৪জি

নোকিয়ার প্রিমিয়াম সেগমেন্টের একটি কাইওএস চালিত ফোন এটি। এই ফোনটিও দেখতে বেশ সুন্দর ও প্রিমিয়াম। ফোনে রয়েছে আধুনিক অনেক সুযোগ-সুবিধা। এছাড়া ফোনটিতে পাবেন স্মার্টফোনের মতো কিছু ফিচারও। কাইওএস থাকায় ফোনটিতে ইন্সটল করা যাবে নতুন অ্যাপ। বাড়ানো যাবে এর ফিচার ও সুবিধা।

২.৮ ইঞ্চির বড় একটি কালারফুল ডিসপ্লে রয়েছে ফোনের সামনে। ডুয়াল সিমে ৪জি সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন এই ফোনে। এছাড়া পাবেন নানারকম কানেক্টিভিটি অপশন। রয়েছে ওয়াইফাই, হটস্পট, জিপিএস, রেডিও ইত্যাদির সুবিধা। পিছনে রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। তাছাড়া ফোনের মধ্যে স্টোরেজ পাবেন ৪ জিবি। মাইক্রোএসডি কার্ডের স্লট থাকায় নিজের ইচ্ছামতো স্টোরেজ বাড়ানো যায়। সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এই ফোনে থাকা কাইওএস। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অ্যাপ নিজের ইচ্ছামতো কাইওএস স্টোর হতে ডাউনলোড করে নেয়া যায়। ব্যাকাপ ফোন হিসেবে সেরা একটি ফোন হতে পারে এটি। ফোনটি বাজারে পাওয়া যায় ৮,৯৯৯ টাকায়।

জিওফোন টি১৫

জিওফোন টি১৫

জিওফোনের ছোট মডেলের ফোন এটি। কাইওএস ছাড়াও এই ফোন আছে বেশ কিছু ভালো ভালো ফিচার। দেশের বাজারে অন্যতম কম দামের কাইওএস ফোন এটি।

এই ফোনে VoLTE ৪জি সুবিধা পাবেন দুটি সিমেই একসাথে। এছাড়া আধুনিক ফোনের বিভিন্ন সুবিধারও কোন কমতি নেই। আছে ওয়াইফাই, হটস্পট, জিপিএস, ব্লুটুথ ইত্যাদি। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে সহজেই। কাইওএস স্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে পারবেন। কিছু অ্যাপ আগে থেকেই ইন্সটল করা থাকে।

ফোনটিতে আপনি ২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা পাবেন সামনে এবং পিছনে। এছাড়া আছে ১৭০০ মিলিএম্প ব্যাটারি। মাত্র ২.৪ ইঞ্চির ফোন হওয়ায় এই ব্যাটারি দিয়ে কয়েকদিন ব্যাকাপও পাওয়া সম্ভব। ৫১২ এম্বি র‍্যাম ও ৪ জিবি স্টোরেজ রয়েছে এখানে। সুতরাং কাইওএসের সকল ফিচারসহ ভালো সুবিধা পাবেন এই ফোনে। ফোনটির দাম বাজারে মাত্র ২ হাজার ৮০০ টাকা।

👉 নকিয়ার নতুন স্টাইলিশ ফিচার ফোন, ২৭৮০ ফ্লিপ (৪জি)

জিওফোন টি১৯

জিওফোন টি১৯

জিওফোন টি১৯ ফোনটি আগের মডেলের ফোনটির বড় ভার্সন। এই ফোনে রয়েছে কাইওএস এবং একই রকম সুযোগ ও সুবিধা। তবে এতে আরেকটু বড় ব্যাটারি এবং ডিসপ্লে পেয়ে যাবেন।

২.৮ ইঞ্চির এই ফোনেও আছে আধুনিক সকল সুবিধা। ৪জি, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস ইত্যাদি সকল কিছুই পাওয়া যাবে যে কোন কাইওএস ফোনের মতোই। ব্যাটারি হিসেবে আছে ২০০০ মিলিএম্পের বিশাল ব্যাটারি। ফলে এই ফোন আরও বেশি সময় ব্যাকাপ দিতে পারবে। এছাড়া কাইওএস স্টোর থেকে যে কোন জরুরি অ্যাপ ইন্সটল করার সুবিধা তো থাকবেই। ফোনটির বাজার মূল্য বর্তমানে ২ হাজার ৯০০ টাকা।

জিওফোন টি১৯আই

জিওফোন টি১৯আই

জিওফোন টি১৯ ফোনের মতোই একই রকম সুবিধা নিয়ে বাজারে আছে এই ফোনটি। এখানে শুধুমাত্র ব্যাটারি আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আগের মতই রয়েছে কাইওএসের সকল সুবিধা। কাইওএস অ্যাপ সাপোর্টসহ বাড়তি বিভিন্ন ফিচার পাবেন যে কোন ফোনের মতোই। আছে ৪ জি,ওয়াইফাই ইন্টারনেট এবং ব্লুটুথ, জিপিএসের সুবিধা। তবে এই ফোনে ব্যাটারি আছে ৩০০০ মিলিএম্পের। ফলে আরও বেশি সময় এটি ব্যাকাপ দিতে পারবে। তাই দামও এই ফোনটির কিছুটা বেশি। ৩,১০০ টাকায় এটি পাওয়া যাচ্ছে বর্তমানে।

👉 বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

এনার্জাইজার এনার্জি ই২৪১এস

এনার্জাইজার এনার্জি ই২৪১এস

এনার্জাইজার ফোনের জন্য খুব বেশি পরিচিত ব্র্যান্ড না হলেও কাইওএসের এই ফোনের মাধ্যমে তারা বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। এই ফোনটি বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়। কাইওএস চালিত এনার্জাইজার এনার্জি ই২৪১এস মডেলের ফোনটি কম দামে ভালো সুবিধা দিতে পারছে। 👉 বাটন ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক সহ আরও অনেক সুবিধা!

ফোনটিতে আছে ডুয়াল সিম ৪জি সুবিধা। এছাড়া ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। হটস্পট ব্যবহার করে ইন্টারনেট শেয়ার করার সুবিধাও রয়েছে। জিপিএস, ব্লুটুথ ইত্যাদি আধুনিক সেবা তো আছেই। কাইওএস থাকায় ফোনে বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করা যায়। ফেসবুক, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপের মতো বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যাটারি আছে ১৯০০ মিলিএম্পের। ফলে দীর্ঘ সময় ব্যাটারি ব্যাকাপও দিতে পারে এটি। এতো সকল সুবিধা নিয়েও ফোনটির দাম মাত্র ৩ হাজার ৫০ টাকা।

এই কয়েকটি কাইওএস চালিত ফোন বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া আরও ফোন হয়ত আপনি পেয়ে যাবেন নিকটস্থ স্টোরে। কাইওএসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলায় আরও ফোন বাজারে পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। শক্তিশালী ফিচার যুক্ত বাটন ফোন চাইলে কাইওএস ফোন হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,581 other subscribers

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *