বিকাশ থেকে লোন নেয়ার আগে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করুন

বিকাশে লোন নেওয়া যায়, এই খবর এখন সবার জানা। বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ও এনআইডি এর তথ্য সঠিকভাবে এড করা হয়ে গেলে বিকাশ লোন নিতে পারবেন উপযুক্ত গ্রাহক। ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ লোন নেওয়া যায়। বেশ সহজ একটি প্রক্রিয়া হওয়ায় অনেকে না ভেবে এই বিকাশ লোন নিয়ে ফেলেন। এই পোস্টে জানবেন বিকাশ থেকে লোন নেয়ার আগে যা ভাবা উচিত সে সম্পর্কে।

ইন্টারেস্ট রেট

বিকাশ লোন এর ইন্টারেস্ট রেট বাৎসরিক ৯% হারে প্রযোজ্য হবে। এখন কথা হচ্ছে এই উচ্চ ইন্টারেস্ট রেটের লোন আসলে আপনার প্রয়োজন কিনা, সেটা বিবেচনা করতে হবে। উল্লেখ্য যে, অন্য বিকল্প লোন এর ব্যবস্থাসমূহ যাচাই করা একান্ত জরুরি। লোন এর অন্যান্য অপশনগুলোর সাথে মিলিয়ে যদি বিকাশ এর ইন্টারেস্ট রেট কম মনে হয়, তবে বিকাশ লোন গ্রহণ করুন। অন্যথায় বিকাশ লোন এর বিকল্প অন্য কোনো লোন গ্রহণ করা শ্রেয়।

ফেরত দেওয়া

বিকাশ লোন কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দিতে হয়। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিকাশ লোন হিসেবে নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে সক্ষম না হোন, তবে পরবর্তীতে আপনি লোন পেতে সমস্যায় পড়তে পারেন। এছাড়া একবার লোন নিলে উক্ত লোনের অর্থ পরিশোধের আগে আবার লোন নেওয়া যায়না।

বলে রাখা ভালো যে নির্দিষ্ট সময়ে লোন ফিরিয়ে দিতে অপারগ হলে বিকাশ ও সিটি ব্যাংক আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে। তাই অবশ্যই লোন নেওয়ার আগে উল্লেখিত সময়েত মধ্যে টাকা ফেরত দিতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

লোনের প্রয়োজনীয়তা

অনেকে মজা করে বা ফিচারটি পরীক্ষা করতে বিকাশ লোন নিয়ে থাকেন। তবে এমনটা করা উচিত নয়। কেননা বিকাশ লোন একবার নিয়ে ফেললে তা ইন্টারেস্ট সহ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন একজন লোন গ্রহণকারী। তাই বিকাশ লোন ফিচারটি পরীক্ষা করতে গিয়ে লোন নিয়ে বসবেন না। এছাড়া হতে পারে আপনার আরো বেশি পরিমাণ টাকা দরকার। সেক্ষেত্রে বিকাশ লোনের পরিবর্তে ব্যাংক লোন হতে পারে আপনার জন্য বেশি উপযুক্ত।

আবার এক ট্যাপে লোন নেওয়ার সুবিধা থাকায় অনেকে এই টাকা নিয়ে বসেন। আপনার যদি অর্থের প্রয়োজন হয়, তবে তা আগে পরিবার বা অন্য সুদমুক্ত মাধ্যম থেকে যোগার করার চেষ্টা করুন। এতে বিকাশ লোন এর ইন্টারেস্ট রেট থেকে বেচে যাচ্ছেন। 

লোন গ্রহণের সময় কিছু সময় ভেবে দেখুন এই লোন আসলেই আপনার প্রয়োজন কিনা। যদি আপনার লোন এর টাকা জরুরি প্রয়োজন না হয়, তবে বিকাশ লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

লোন লিমিট

একবার লোন নেওয়ার পর উক্ত লোনের অর্থ যদি পরিশোধ না করেন, তবে পুনরায় লোন নিতে পারবেন না। অর্থাৎ পূর্ববর্তী লোন এর অর্থ পরিশোধ না করে নতুন লোন নেওয়ার সুযোগ থাকছেনা। তাই আপনি যদি অপ্রয়োজনে লোন নিয়ে ফেলেন, তাহলে পরে হয়ত কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিকাশ লোন নিতে পারবেন না।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

নিয়মকানুন

বিকাশ লোন এর শর্ত ও নিয়মাবলী অনুযায়ী লোন সম্পর্কিত সকল বিষয়ে বিকাশ সম্পূর্ণ অধিকার রাখে। আবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইন্টারস্ট সহ লোন এর টাকা ফিরিয়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক। সময়ের মধ্যে বিকাশ লোন এর অর্থ ফেরত দিতে না পারলে সিটি ব্যাংক বা বিকাশ চাইলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে।

বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের লোন সম্পর্কে যেসব তথ্য আপনার জানা দরকার

অর্থাৎ আমরা বুঝলাম এই যে, আপনি যদি ইন্টারেস্ট সমেত বিকাশ লোন এর অর্থ যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারেন তবে তার জন্য আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই খুব বেশি দরকার না হলে ও ইন্টারেস্টসহ বিকাশ লোন পরিশোধ সম্ভব না হলে বিকাশ লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম।

বিকাশ লোন এর ফিচারটি বেশ সহজ ও সুবিধাজনক হলেও এর ইন্টারেস্ট রেট ও অন্যান্য নিয়ম বিবেচনা করে তবেই লোন নেওয়া উচিত। অনেকে তো বিকাশ লোন এর ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট প্রযোজ্য হয়, সেই বিষয়টিও জানেনা। তাই জরুরি প্রয়োজন ব্যাতিত বিকাশ লোন না নেওয়া ভালো।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,551 other subscribers

2 comments

  1. Hasibur rahman Hasib Reply

    অনেক ভালো লাগলো

    Ami ekhnbKash er niyomito lenden kre thaki

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *