কিশোর-তরুণদের ফেসবুকে অনাগ্রহঃ দুই বছরে ১১ মিলিয়ন উধাও!

টিনএজাররা ফেসবুক থেকে আগ্রহ হারাচ্ছে। সম্প্রতি ডিজিটাল কনসালটেন্সি ফার্ম আইস্ট্র্যাটেজি ল্যাবস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১১ থেকে এ পর্যন্ত ১১ মিলিয়নের বেশি কিশোর-তরুণ ফেসবুক ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়েছে। গবেষণামূলক এ প্রতিষ্ঠানটি দাবী করেছে তারা রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত ডেটাই ব্যবহার করেছে। সাইটটির সোশ্যাল অ্যাডভার্টাইজিং প্ল্যাটফর্ম থেকে তথ্য নিয়ে আইস্ট্র্যাটেজি জানাচ্ছে, ২০১১ সালের তুলনায় বর্তমানে ফেসবুকে ৪,২৯২,০৮০ জন হাইস্কুল পড়ুয়া, ৬,৯৪৮,৮৪৮ কলেজ লেভেল ব্যবহারকারী কম আছে।

গত বছর ফেসবুকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা (সিএফও) নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে টিনএজাররা সেবাটির প্রতি অনাগ্রহী হয়ে পড়ছে। আর এই মন্তব্যের পর পরই শেয়ার মার্কেটে ফেসবুকের স্টক-প্রাইস কমে গিয়েছিল।

তবে বর্তমানে সাইটটিতে মোট কত সংখ্যক কিশোর ব্যবহারকারী আছে কিংবা কত কমে গেছে সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট অফিসিয়াল ফিগার প্রকাশ করেনি ফেসবুক।

আরেকটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, টিনএজাররা ফেসবুক ত্যাগ করার পেছনে এতে লোকজনের অতিরিক্ত শেয়ারিং এবং প্রাইভেসির অভাববোধই বেশি দায়ী। কোন কোন ফেসবুকার তাদের গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট করে, তুচ্ছ বিষয়ে স্ট্যাটাস দেয়- যা কিশোররা পছন্দ করেনা বলেই লিখছে আইস্ট্র্যাটেজি।

অনেকসময় ফেসবুক ব্যবহারকারী বাবা-মায়ের চোখ এড়াতেও কেউ কেউ (সন্তানরা) তাদের ফেসবুক আইডি বন্ধ করে দিয়েছে।

একই জরিপে আরও উঠে এসেছে, ফেসবুক বাদ দিয়ে তরুণরা টুইটার, স্ন্যাপচ্যাট প্রভৃতি সেবার দিকে বেশি ঝুঁকছে যেখানে তারা আরও ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে পারে।

ঐ গবেষনায় টিনএজারদের অনলাইন এক্টিভিটির দিকেও নজর দেয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কিশোররা সামাজিক যোগাযোগের সাইটে তাদের নিজেদের ছবি এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ফোন নাম্বার, ইমেইল প্রভৃতি শেয়ার করতে বেশি পছন্দ করে! এখনও তাদের ফেসবুক আইডি থাকলেও তাতে খুব কম সময় ব্যয় করে তারা।

আপনি কি স্কুল/ কলেজে পড়েন? ফেসবুক ব্যবহার করতে আপনার কেমন লাগে?

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,145 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.