স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনী কার্যক্রমের অভিযোগ

Samsung-Galaxy-S4-vs-HTC-Oneতাইওয়ানের কর্তৃপক্ষ দেশটিতে স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ এনেছে। এএফপি জানাচ্ছে, কোরিয়ান কোম্পানিটি অনলাইনে এইচটিসি সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কিছু ছাত্রছাত্রী নিয়োগ দিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এছাড়া নিজেদের সম্পর্কে ভাল রিভিউ লেখার জন্যও অর্থ খরচের অভিযোগ এসেছে গ্যালাক্সি ডিভাইস নির্মাতার বিরুদ্ধে। যদিও এইচটিসি সম্পর্কে ঠিক কী অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সেটি নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।

এইচটিসির সাথে লড়াইয়ে “ডার্টি ট্রিক্স” ব্যবহার করছে স্যামসাং?

বলাই বাহুল্য, বেস্ট সেলার এন্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানুফ্যাকচারার স্যামসাংয়ের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে তাইওয়ানের এইচটিসি যা “ওয়ান” সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন নিয়ে শক্ত প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

স্যামসাং বলেছে, তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতোমধ্যেই তাইওয়ান শাখার “বেনামী মন্তব্য” সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিপণন কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে। তারা বিশ্বাস করে, সন্দেহজনক যদি কিছু ঘটে থাকে তবে তা কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবেই হয়েছে এবং এগুলো স্যামসাংয়ের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কোম্পানিটি “সততা ও স্পষ্টতার” সাথেই ব্যবসায়িক যোগাযোগ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে এক বিবৃতিতে উল্লখ করা হয়েছে।

এএফপি আরও জানাচ্ছে, প্রশ্নবিদ্ধ অনলাইন ক্যাম্পেইনটি স্যামসাং কর্তৃক তাইওয়ানের একটি স্থানীয় বিজ্ঞাপনদাতা কোম্পানি ভাড়া নিয়েই পরিচালিত হচ্ছিল। উক্ত অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে গ্যালাক্সি নির্মাতার বিরুদ্ধে ৮৩৫,০০০ মার্কিন ডলার জরিমানা ধার্য্য করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাইওয়ানের ফেয়ার ট্রেড এজেন্সি গত বছর স্যামসাংকে অন্তত দুইবার অর্থদণ্ড দিয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগ ছিল সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভের মূল্য পূর্বনির্ধারণ এবং অপরটি গ্যালাক্সি ওয়াই ডুয়োসের বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন প্রচার।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

1 Comment

  1. Zahidur Rahman Reply

    আমাদের দেশেও স্যামসাং প্রথম দিকে পণ্যের দাম অযথা বাড়িয়ে রাখে তারপর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দাম কমায়। গ্রাহক পর্যায়ে বেশী সচেতনতা প্রয়োজন যাতে ব্রান্ড নেম ভ্যালু দিয়ে তারা অযথা পকেট কাটতে না পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *