বিকাশ বর্তমানে আমাদের দেশে সবথেকে জনপ্রিয় মোবাইল ওয়ালেট। বিকাশ সবখানেই ছড়িয়ে গেছে এবং বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করাও অনেক সহজ হয়ে গেছে আজকাল। এই ডিজিটাল যুগে নগদ অর্থের ব্যবহার কমে আসার সাথে সাথে বিকাশ ও অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনও দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। তাই অনেকেই বিকাশের মাধ্যমেই তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় লেনদেন করে থাকেন। এছাড়াও অনেকে ব্যবসার পেমেন্ট নেবার ক্ষেত্রেও বিকাশ ব্যবহার করে থাকেন। এজন্য ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট এর মতই বিকাশ ষ্টেটমেন্ট সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।
বিকাশের মাধ্যমে দৈনন্দিন লেনদেনগুলো হবার কারণে অনেকেরই বিভিন্ন কাজে বিকাশ অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দরকার হতে পারে। অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেনের বিবরণ পেলেও স্টেটমেন্ট আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পুরো অ্যাকাউন্টের সকল বিবরণ দেবে।
তাই স্টেটমেন্ট ও লেনদেনের ইতিহাস কিছুটা আলাদা। ব্যাংকের মতো তাই বিকাশ অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টও আপনি নিতে পারবেন এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনঃ ট্যাক্স ফাইলিং, ভিসা অ্যাপ্লাই, লোন নেয়া ইত্যাদি কাজে স্টেটমেন্ট দরকার হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিকাশের স্টেটমেন্ট সাধারন ব্যাংক স্টেটমেন্টের মতোই কাজ করবে।
বিকাশ তাদের অ্যাপে লেনদেনের ইতিহাস হিসেবে সাম্প্রতিক কিছু লেনদেনের তথ্য দেখার সুযোগ দেয়। তবে আপনার বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজের জন্য দরকারি পূর্ণ স্টেটমেন্টের জন্য আপনি বিকাশের কাছে অনুরোধ করতে পারেন। বিকাশ দুই ভাবে আপনাকে স্টেটমেন্ট দিতে পারে আপনার চাহিদা অনুযায়ী। অনলাইনে পিডিএফ ফাইলে ডিজিটাল স্টেটমেন্ট অথবা হার্ড কপি বা কাগজে ছাপানো স্টেটমেন্ট। এই পোস্টে জানাবো যে কী কী উপায়ে বিকাশ স্টেটমেন্ট আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।
কাস্টমার কেয়ার পয়েন্ট হতে
বিকাশ বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলা শহরেই কাস্টমার কেয়ার সেন্টার স্থাপন করেছে। প্রতিটি কাস্টোমার পয়েন্ট থেকেই আপনি স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। কাস্টোমার পয়েন্ট হতে আপনি হার্ড কপি বা অনলাইন কপি দুটির জন্যই অনুরোধ করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে যাবেন। এনআইডি কার্ড দেখার মাধ্যমে আপনার পরিচয় যাচাই করতে চাইতে পারেন গ্রাহকসেবা প্রতিনিধি।
এছাড়াও আপনার সর্বশেষ লেনদেনের বিবরণ সাথে নিয়ে যেতে পারেন। সর্বশেষ কত টাকা লেনদেন করেছেন এবং কবে করেছেন এটি জানতে চাইতে পারে। পরিচয় নিশ্চিত হবার পর আপনি তাদের জানিয়ে দিতে পারেন কত তারিখ হতে কত তারিখের স্টেটমেন্ট আপনি চাইছেন। আপনার অনুরোধের বিস্তারিত জেনে নিয়ে তারা স্টেটমেন্ট দেবার জন্য কিছুদিন সময় নিতে পারে। অনলাইনে ডিজিটাল মাধ্যমে স্টেটমেন্ট চাইলে আপনার ইমেইল এড্রেস বা ইমেইল আইডি দিতে হবে। ডিজিটাল স্টেটমেন্ট ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে প্রদান করবে বিকাশ। আপনার নিকটস্থ কাস্টমার পয়েন্টের ঠিকানা জেনে নিতে পারেন বিকাশের ওয়েবসাইট থেকে।
কল সেন্টার বা হেল্প লাইনের মাধ্যমে
বিকাশ তাদের কল সেন্টারে ২৪ ঘণ্টাই সেবা দিয়ে থাকে। বিকাশের কল সেন্টার নাম্বার ১৬২৪৭ বা ০২৫৫৬৬৩০০১ । এই দুটি নাম্বারের যে কোন একটিতে কল করার পর আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য দেবার মাধ্যমে স্টেটমেন্ট নেবার জন্য অনুরোধ জানাতে পারেন। এসময় আপনার বিকাশ নাম্বার, নাম, এনআইডি নাম্বার, পিতা-মাতার নাম, সর্বশেষ লেনদেনের তথ্য ইত্যাদি তথ্যগুলো জানতে চাওয়া হতে পারে আপনার পরিচয় নিশ্চিত হতে। এগুলো কাছে রেখে এরপর কল করুন।
এরপর আপনি স্টেটমেন্টের অনুরোধ রাখতে পারেন। এই পদ্ধতিতে বিকাশ আপনাকে অনলাইনে আপনার ইমেইলে ডিজিটাল স্টেটমেন্ট প্রদান করবে। এজন্য আপনার ইমেইল আইডি ও কতদিনের স্টেটমেন্ট আপনার দরকার সে সম্পর্কে অবহিত করুন। বিকাশ আপনার কাছে নির্দিষ্ট কিছুদিন সময় নেবে স্টেটমেন্ট প্রদান করতে। সাধারনত অনুরোধ জানানোর পরবর্তী ২-৩ কর্ম দিবসেই স্টেটমেন্ট দিয়ে দেয় বিকাশ।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
👉 বিকাশ অ্যাপের সেরা সুবিধাগুলো জানুন
ইমেইলে যোগাযোগের মাধ্যমে
বিকাশের ইমেইলে যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল স্টেটমেন্ট নেবার অনুরোধ করতে পারেন। বিকাশ তাদের সেবা দেয়ার জন্য [email protected] এই ইমেইলটি ব্যবহার করে থাকে। এই ইমেইলে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য দেবার মাধ্যমে স্টেটমেন্ট চাইতে পারেন। তবে ইমেইল পাঠানোর সময় অবশ্যই আপনার বিকাশ নাম্বার, নাম, এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, সর্বশেষ লেনদেনের তথ্য সংযুক্ত করে দেবেন। কত দিনের স্টেটমেন্ট চাইছেন এবং যে ইমেইলে চাইছেন সেটিও জানিয়ে দেবেন। এছাড়াও অন্য কোন তথ্যের প্রয়োজন হলে তারা আপনার ইমেইলের রিপ্লাই দেবার মাধ্যমে জানতে চাইবে। এভাবে ইমেইলের মাধ্যমেই এই সেবা পেয়ে যেতে পারেন সহজেই।
লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে
বিকাশে স্টেটমেন্ট পাবার দ্রুততম একটি মাধ্যম লাইভ চ্যাট। বিকাশের যে কোনো সমস্যায় বিকাশ লাইভ চ্যাট সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করতে আপনাকে বিকাশের মূল ওয়েবসাইটে যেতে হবে এবং ডানে নিচে কোণায় ‘Live Chat” অপশনে গিয়ে একজন কাস্টমার প্রতিনিধির সাথে কথা বলতে হবে। আপনার মোবাইল নাম্বার, নাম, এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, শেষ লেনদেনের তথ্য এগুলো জানতে চাইবে যাচাইয়ের জন্য। এরপর কতদিনের স্টেটমেন্ট নেবেন ও আপনার ইমেইল প্রদান করে স্টেটমেন্ট পাঠাতে অনুরোধ করতে পারেন। এখানেও বিকাশ কিছুদিন সময় চেয়ে নেবে। দ্রুতই আপনার ইমেইলে স্টেটমেন্ট পেয়ে যাবেন পিডিএফ আকারে।
স্টেটমেন্ট সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য
বিকাশের স্টেটমেন্ট হার্ড কপি বা ডিজিটাল কপি যেটিই নিন না কেনো বর্তমানে আমাদের জানা তথ্যমতে এজন্য আপনাকে কোনো চার্জ করা হবেনা না। অর্থাৎ স্টেটমেন্ট ফ্রিতেই দেবে বিকাশ।
বিকাশের স্টেটমেন্ট অনলাইনে ইমেইলের মাধ্যমে পিডিএফ আকারে দেয়া হয়। এই পিডিএফ পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত থাকে। পাসওয়ার্ড সাধারণত আপনার বিকাশ নাম্বার হয়ে থাকে। আপনার পাসওয়ার্ড সম্পর্কে তথ্য ইমেইলে জানিয়ে দেয় বিকাশ। যদি স্টেটমেন্টটি বিকাশের দেয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইমেইল ইনবক্সে খুঁজে না পান তবে স্প্যাম বক্স চেক করে দেখতে পারেন।
বিকাশ একটি মোবাইল ব্যাংক হিসেবে কাজ করে বলে বিকাশ থেকে প্রাপ্ত স্টেটমেন্ট আপনি প্রযোজ্য অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। তাই নিজের হিসাব রাখতে বা অফিসিয়াল কাজের জন্য এই স্টেটমেন্ট সংগ্রহে রাখতে পারেন।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।
In how many days my statesman can get
Generally within 2-3 working days. Thanks.
Ok vi
I NEED STATEMENT FROM ACCOUNT OPENING DATE TO TILL TODAY
IS IT POSSIBLE TO PROVIDE ME THE SAID PERIOD STATEMENT
IF POSSIBLE HOW MANY DAYS IT REQUIRE TO SEND MY EMAIL (E-STATEMENT)?
PLEASE LET ME KNOW I NEED IT VERY URGENTLY
THANKS,,,
RUHUL AMIN
বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।