ভিপিএন দিয়ে কি ফ্রী নেট চালানো যায়? বা নেটের গতি বাড়ানো যায়?

ভিপিএন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও ফোরাম সাইটে ভিপিএন দিয়ে ফ্রি নেট চালানো বা ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর অনেক ট্রিক দেখা যায়। এসব আসলে কতটুকু সত্যি? ভিপিএন দিয়ে কি আসলেই ফ্রি নেট চালানো যায় বা নেটের গতি বাড়ানো যায়? এই পোস্টে জানবেন এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর। 

ভিপিএন দিয়ে কি ফ্রী নেট চালানো যেতে পারে?

ভিপিএন দিয়ে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি সবচেয়ে অধিক প্রচলিত। বাস্তবে কিন্তু ভিপিএন দ্বারা বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব নয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে একটিভ ইন্টারনেট কানেকশন অর্থাৎ ডাটা না থাকলে ভিপিএন কোনোভাবেই চলবেনা। ভিপিএন এর মূল কাজ হলো ইন্টারনেট কানেকশনকে প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা প্রদান করা। ওয়েব ট্রাফিককে এনক্রিপ্ট করে ইন্টারনেট এনোনিমাসলি ব্রাউজ করার সুযোগ করে দেয় ভিপিএন।

ভিপিএন চলতে একটিভ ইন্টারনেট কানেকশন লাগে। ভিপিএন নিজ থেকে ইন্টারনেট এক্সেস করতে পারবেনা। যতক্ষণ একটিভ ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে, ততক্ষণ ভিপিএন টানেল চালু থাকতে পারবে। ভিপিএন নিজেই একটি ইন্টারনেট কানেকশ প্রোটোকল, সুতরাং ভিপিএন ব্যবহার করে কোনো ধরনের ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে, এমন ভাবলে ভুল হবে।

ভিপিএন ব্যবহার করে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করে থাকে জিওগ্রাফিকাল রেস্ট্রিকশন বাইপাস করতে বা ব্লক করা কনটেন্ট দেখতে। ভিপিএন ব্যবহার করে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব নয়। ভিপিএন এর কাজ হলো মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে সহায়তা করা। বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারে ভিপিএন কোনোভাবেই সহায়তা করেনা। বরং এ ধরনের লোভ দেখিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করা হয় এবং তাদের অনলাইন একাউন্টের ক্ষতি সাধন করা হয়।

ভিপিএন দিয়ে কি নেটের গতি বাড়ানো যেতে পারে?

ভিপিএন দ্বারা অনলাইনে বাড়তি সিকিউরিটি পেলেও ইন্টারনেট স্পিড এর ক্ষেত্রে কিছুটা কমতি দেখা যেতে পারে। তবে স্পিডের তারতম্য অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করে স্পিড কমে গেলেও কিছুক্ষেত্রে স্পিড বেড়ে যায় বলে দাবি অনেকের। 

প্রশ্ন হলো ভিপিএন কি সত্যিই ইন্টারনেট স্পিড বাড়াতে পারে নাকি এটি সম্পূর্ণ ভুয়া একটি বিষয়? চলুন জানার চেষ্টা করি।

ভিপিএন কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা না থাকলে ভাবতে পারেন একটি সিকিউরিটি প্রোটোকোল কিভাবে ইন্টারনেট স্পিডে ইফেক্ট ফেলবে। চলুন তবে ভিপিএন কিভাবে ইন্টারনেট কানেকশনের সাথে ইন্টারফেয়ার করতে পারে সে সম্পর্কে জানা যাক।

ভিপিএন ব্যবহারের সময় আপনার ইন্টারনেট ট্রাফিককে এনক্রিপশন এর জন্য একটি রিমোট সার্ভারে পাঠানো হয়। এই এনক্রিপশন এর কারণে ডিভাইসে ইন্টারনেট পৌঁছাতে কিছুটা সময় বেশি লাগবে এটাই স্বাভাবিক। এই কারণে ভিপিএন ব্যবহার করলে অধিকাংশ সময় নেটওয়ার্ক স্পিড সাধারণের চেয়ে কিছুটা কমে যায়।

তবে সবসময় আবার এই ঘটনা হয়না। মাঝেমধ্যে ভিপিএন ব্যবহার করে ইন্টারনেট স্পিড বাড়তে দেখা যায়। বিশেষ করে অনলাইন গেমিং এর ক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করলে ইন্টারনেট স্পিডে উন্নতি দেখা যায়। ইন্টারনেট কানেকশনকে রি-রাউট করে বলে ভিপিএন ব্যবহারে ব্যান্ডউইথ থ্রটলিং কমে যায়, যার ফলে ভিপিএন ব্যবহার করে স্পিডে উন্নতি দেখা যায়।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

👉 ভিপিএন কী? এটা কী কাজে লাগে?

আপনি যদি অনেক বেশি স্ট্রিমিং, ভিডিও কলিং বা অনলাইন গেমিং করে থাকেন তবে আপনি বুঝতেই পারবেন যে ব্যান্ডউইথ থ্রটলিং এর শিকার হচ্ছেন। এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ভিপিএন সাহায্য করতে পারে। ভিপিএন যেহেতু আপনার আইডেন্টিটি লুকিয়ে রাখে তাই ব্যান্ডউইথ পুনরায় রিসেট হয়ে যায় ও সেই নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

তাহলে এই পোস্ট থেকে আমরা যা যা জানলাম তা আরেকবার আলোচনা করে নেওয়া যাক।

ভিপিএন দিয়ে কোনোভাবেই ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব নয়, ভিপিএন শুধুমাত্র ইন্টারনেটে নিজের পরিচয় গোপন রেখে নিরাপত্তা রক্ষা করতে ব্যবহার করা হয়। 

ভিপিএন দিয়ে সবসময় ইন্টারনেট কানেকশন এর স্পিড বাড়ানো না গেলেও কিছুক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করে ইন্টারনেট স্পিডে উন্নতি দেখা যেতে পারে।

👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,568 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *