স্মার্টফোন বাদ দিয়ে ডাম্বফোন ব্যবহারের সুবিধা জানুন

স্মার্টফোন এর ব্যবহার দিনেদিনে বেড়েই চলেছে, আর তারই সাথে আমাদের জীবনের প্রচুর মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে এই ফোনের কারণেই। সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রলিং, বা ভিডিও দেখে অলস সময় পার করা যেনো বর্তমানে আমাদের দৈনিক স্বভাব হয়ে  গিয়েছে। আর এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে স্মার্টফোন এর পরিবর্তে ডাম্বফোন বা বেসিক বাটন ফোন ব্যবহার। এই পোস্টে জানবেন কেনো স্মার্টফোন বাদ দিয়ে ডাম্বফোন ব্যবহার করা উচিত তার কয়েকটি যুক্তিযুক্ত কারণ।

কম ফিচার

বলা হয় সবকিছুর জন্যই অ্যাপ রয়েছে, আর বর্তমান স্মার্টফোনের সমস্যা মূলত এখানেই। পুরোনো ধাচের ডাম্বফোন বা বাটন ফোনগুলোর ফিচার বেশ সীমিত (যেমন, নকিয়া ৮২১০), যার ফলে এসব ফোন আপনার সময় নষ্ট করবেনা। আপনার ফোনে যদি ইন্সটাগ্রাম না ই চলে, তাহলে ইন্সটাগ্রামে দুই ঘন্টা সময় নষ্টের কোনো উপায়ই থাকছেনা।

বর্তমানের ফ্লিপ ফোন ও ব্রিক ফোনগুলো বেশ এডভান্সড হয়ে গিয়েছে। অনেক ডাম্বফোনে আবার কাইওএস ব্যবহৃত হয়, যা একটি লাইটওয়েট অপারেটিং সিস্টেম যাতে হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, গুগল ম্যাপসহ অনেক গেমস ও অ্যাপস সাপোর্ট করে।

এই অল্প কিছু অ্যাপ ডাম্বফোনকে এডিক্টিচ না বানিয়ে বরং প্রয়োজনীয় ফিচার ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। আবার ডাম্বফোনের স্ক্রিন ছোট হওয়ায় বেশ সুবিধা পাওয়া যায়। আপনার বাটন ফোনে ইউটিউব দেখা গেলেও ছোট স্ক্রিনে তা দেখে তেমন মজা পাবেন না, তাই এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটানোর সুযোগ নেই।

বর্তমানে কাইওএস নেই এমন ডাম্বফোনের সংখ্যাও বেশ কমে আসছে। ফিচার ফোনের যুগ বলে বেসিক বা ডাম্বফোন গুলোতেও ফিচার এর কমতি নেই। তবে হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল ম্যাপস এর মত প্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকার বিষয়টি তেমন মন্দ নয়।

তবে ডাম্বফোন সারাজীবন ব্যবহার করতে হবে এমন কোনো বিষয় নয়। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্মার্টফোন বাদ দিয়ে পড়ালেখা, পরিবার বা ছুটি কাটানোর উপর ফোকাস রাখতে চান, তাহলে কিছুদিনের জন্য আপনার সিমকার্ড ডাম্বফোনে ব্যবহার করতে পারেন।

মাথানষ্ট ব্যাটারি

ব্যাটারি প্রযুক্তি দিনদিন উন্নত হয়েই চলেছে। বর্তমানের স্মার্টফোনগুলো অনেক সময় দিনে দুইবার চার্জে দিতে হয়, যেখানে ডাম্বফোনগুলোর ব্যাটারি নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে হয়না। ছোট স্ক্রিন ও অ্যাপের সল্পতা থাকার ফলে ডাম্বফোনের ব্যাটারি ব্যাকাপ পুরোই অন্য লেভেলের।

বর্তমানের ফ্লিপ ফোন ও ব্রিক ফোনগুলোতেও অসাধারণ ব্যাটারি লাইফ রয়েছে। নকিয়া ৩৩১০ ৪জি থেকে প্রায় ২২ঘন্টা টকটাইম পাওয়া যায়, আবার স্ট্যান্ডবাই মোডে ফোনটি পুরো এক মাস চার্জ থাকে। নিয়মিত ব্যবহার করলেও যেকোনো ডাম্বফোন এর ব্যাটারি আরামসে এক বা একাধিক সপ্তাহ ব্যাটারি ব্যাকাপ দিতে পারে। অর্থাৎ স্মার্টফোন এর মত ডাম্বফোনে ব্যাটারি সবসময় শেষ হয় যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে চিন্তার সমস্যা নেই। 👉 Vivo Y20 Price in Bangladesh .

আপনি যদিও কোনো ধরনের ডিসট্রাকশন ছাড়া থাকার ক্ষেত্রে বদ্ধ পরিকর না হোন, তবুও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডাম্বফোনের ব্যাটারি অনেক বিশাল একটি বিষয়। এই কারণে এখনো বিভিন্ন ওয়ার্কসাইট, ক্যাম্পিং ট্রিপ বা সেকেন্ডারি ফোন হিসেবে ডাম্বফোন বেশ জনপ্রিয়।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

স্মার্টফোন বাদ দিয়ে ডাম্বফোন ব্যবহার করার সুবিধা জানুন

👉 বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

কম খরচ

স্মার্টফোন ব্যবহারে খরচের অসংখ্য উপায় রয়েছে। প্রথমত কথা বলার জন্য ব্যালেন্সের পাশাপাশি প্রয়োজন ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ডাটা প্যাক। আবার আপনি যদি নেটফ্লিক্স, স্পটিফাই বা চড়কি এর মত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, সেখানে রয়েছে আলাদা খরচ। ডাম্বফোন এর ক্ষেত্রে এসব ব্যবহারের সুযোগ নেই, তাই বাড়তি খরচের কোনো সুযোগ নেই। ডাম্বফোনের ক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ ব্যালেন্স ব্যবহার করে ফোনে কথা বলতে পারেন, যার ফলে ডাম্বফোন ব্যবহারের খরচ শুধুমাত্র একমুখী।

ঝুঁকি কম

বিভিন্ম ধরনের স্মার্টফোন হ্যাকিং এর ঘটনা শুনে আমরা প্রতিদিন আঁতকে উঠি, তবে ডাম্বফোনের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঝুঁকি নেই বললেই চলে। হ্যাকিং বা স্প্যামিং এর প্রায় কৌশল স্মার্টফোন এর নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তৈরী। অন্যদিকে ডাম্বফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকেনা বিধায় এই ধরনের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই।

দামে কম

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে দাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে ডাম্বফোনের ক্ষেত্রে দাম নিয়ে তেমন একটা সমস্যা নেই, কেননা সব বেসিক ফোন বা ডাম্বফোন এর দাম স্মার্টফোন এর দামের চেয়ে অনেক অনেক কম। 

তবে দাম কম হলেও মানে কিন্তু খারাপ থাকেনা ব্র্যান্ডেড ডাম্বফোনগুলো। ডাম্বফোনে উজ্জ্বল ডিসপ্লে, ব্লুটুথ, ইত্যাদি ফিচারের পাশাপাশি বেশ টেকসই হয়। তবে এসব ফোনে ক্যামেরা থাকেনা, থাকলেও তা বিশেষ একটা কাজের না। তবুও এই ফোন ব্যবহারে আপনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে এসবে আপনার সমস্যা হবেনা। চাইলে ডাম্বফোনের পাশাপাশি একটি ডিজিটাল ক্যামেরা সাথে রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে।

👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *