কিছু পুরাতন আইফোন ব্যবহারকারীকে ৭০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!

জেনেশুনে নিজেদের কাস্টমারের ব্যাটারি স্লো করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অ্যাপল এর বিরুদ্ধে। প্রায় এক বছর এই বিষয়ে মামলা মোকাদ্দমা চলার পর আইফোন ব্যবহারীদের ৫০০ মিলিয়ন ডলার প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অ্যাপলকে। 

ব্যাটারিগেইট নামে আখ্যা পাওয়া এই স্ক্যান্ডাল প্রযুক্তি বিশ্বে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় বিতর্কিত ঘটনাগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকবে। মূলত জেনেশুনে পুরোনো আইফোন মডেল ব্যবহারকারীদের ডিভাইস স্লো করে দেয় অ্যাপল যা রাগান্বিত করে তোলে ব্যবহারকারীদের।

২০২০ সালেই উক্ত পেআউট এর জন্য রাজি হয় অ্যাপল যেখানে প্রতি গ্রাহককে ৬৫ ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তখন থেকেই কোনো ধরণের ভুল কাজ করেনি বলে জোর গলায় দাবি করে অ্যাপল।

দুইজন আইফোন ইউজার সেটেলমেন্ট এর শর্তে আপত্তির কারণে এতোদিন ধরে উল্লেখিত পেমেন্ট আটকে ছিলো। এই সপ্তাহে উক্ত গ্রাহকগণ তাদের আপিল হারেন যার ফলে অবশেষে নিজেদের অর্থ পেতে যাচ্ছেন গ্রাহকগণ। মামলাটি চলে গোপনে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে ফোন স্লো করে দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাপল স্বীকার করে আইওএস সফটওয়্যার এমনভাবে টুইক করা হয়েছে যাতে ব্যাটারির পারফরম্যান্স কমে গেলে পুরোনো আইফোন মডেলগুলো স্লো হয়ে যায়। তখন পুরোনো ফোনগুলো কোনো কারণ ছাড়াই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছিলো। অ্যাপলের দাবি হচ্ছে এই অনাকাঙ্ক্ষিত শাট ডাউন প্রতিরোধ করার জন্যই আইফোনগুলো স্লো করে দেয়া হয়েছিল।

অ্যাপল বরাবরই তাদের গ্রাহকদের নতুন মডেলে আপগ্রেড করতে প্রলুব্ধ করে এসেছে। এই বিষয়টি স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর জন্য স্বাভাবিক হলেও ফোনের পারফরম্যান্স ও ব্যাটারি লাইফ স্লো করে দেওয়ার বিষয়টির কারণে বেশ সমালোচনায় পড়ে অ্যাপল।

যেসব ফোনে অ্যাপল সফটওয়্যার আপডেট এর মাধ্যমে টুইক করে পারফরম্যান্স কমিয়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে সেসব ডিভাইস হলোঃ আইওএস ১০.২.১ বা তার পরের ভার্সনে চালিত আইফোন ৬, আইফোন ৬ প্লাস, আইফোন এসই এবং আইওএস ১১.২ বা তার পরের ভার্সনে চলা আইফোন ৭ ও ৭ প্লাস। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ৬ তারিখের মধ্যে যেসব ব্যবহারকারী ক্লেইম করেছেন তারা এই ক্ষতিপূরণ পেতে যাচ্ছেন। 👉 আইফোনের সাধারণ কিছু সমস্যা এবং সেগুলোর সহজ সমাধান

iPhone 6s

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

মোট ৩ মিলিয়ন ক্লেইম পাওয়া যায় বলে যায়, এর মানে হলো গড়ে ৬৫ ডলার করে পেআউট পাবেন গ্রাহকগণ।

আইফোন এর এই অজানা কারণে শাটডাউন এর বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হয় ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়াতে, তবে জানা যায় এই সমস্যা ২০১৫ সালে প্রথম শুরু হয়। ফোনে ৩০ পারসেন্ট চার্জ থাকার পরেও বন্ধ হওয়ার বিষয়ে ব্যবহারকারীগণ এই ধরনের সমস্যায় পড়েন।

তখন অ্যাপল সরাসরি এক বিবৃতিতে জানায় তারা কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো অ্যাপল প্রোডাক্ট ব্যবহারের যোগ্যতা কমিয়ে রাখেনি বা রাখবেনা যা ব্যবহারকারীদের আপগ্রেডে বাধ্য করবে। কিন্তু এই মামলার মাধ্যমে জানা গেলো অ্যাপল আসলে কী করেছিল।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *