অভিব্যক্তি: যুক্তরাজ্যে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেসবুক

ব্যবহারকারীদের নিউজফিডে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন এনে তাদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করার নিরীক্ষা প্রকাশ পাওয়ার পর প্রযুক্তি বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে ফেসবুক। এবার আরও একটি দুঃসংবাদ আছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটির জন্য। ফেসবুক উক্ত গবেষণায় তথ্য সংরক্ষণ আইনের কোনও লঙ্ঘন করেছে কিনা সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের দপ্তর (ইনফরমেশন কমিশনার’স অফিস বা আইসিও)।

আমাদের ব্লগের নিয়মিত ভিজিটর হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই জানেন, ২০১২ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সাথে একজোট হয়ে প্রায় ৭ লক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীর নিউজফিড ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন করে দেয় ফেসবুক। এক সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত ঐ পর্যবেক্ষণে ৭ লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি দলকে তাদের ফেসবুক হোমপেজে শুধুমাত্র ভাল খবর দেখানো হয় এবং বাকীদের শুধুমাত্র হতাশাজনক পোস্ট দেখানো হয়। ভালো ও মন্দ খবর দেখে ফেসবুকাররা নিজেদের ওয়ালে কেমন পোস্ট করে বা তাদের নিজেদের মানসিক অবস্থা কী হয় সেটাই পর্যবেক্ষণ করা হয় এসময়।

কিন্তু, ঐ বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীদের কেউই জানতেন না যে, ফেসবুক তাদেরকে ‘গিনিপিগ’ বানিয়ে তাদের ওপর এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছে। আর এখানেই সবার আপত্তি।

ইতোমধ্যেই উক্ত রিসার্সের সাথে যুক্ত একজন গবেষক এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের কোনও ভুল হয়েছে বলে এখনও মানছে না।

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 7,998 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.