কম দামে পুরাতন আইফোন কেনা কি ঠিক? জানুন

বর্তমান সময়ে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে তুমুল জনপ্রিয় ডিভাইস হলো আইফোন। আইফোন তার প্রযুক্তি ভিত্তিক উন্নতির মাধ্যনে স্মার্টফোনের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছে।

আইফোন যেমন দিন দিন ব্যবহারকারীকে বিস্তর সুবিধা প্রদান করছে তেমনি আইফোনের দাম ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধ্য আয়ের মানুষদের জন্য আইফোন নাগালের বাইরে বলা যায়। এজন্য বর্তমান সময়ে অনেকে ব্যবহৃত আইফোন ক্রয় করে থাকেন। এতে করে তারা কিছু অর্থ সাশ্রয় করতে পারেন। পুরাতন ব্যবহৃত আইফোনের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ব্যবহৃত আইফোনের সুবিধা

পুরাতন আইফোন থেকে নতুন আইফোন এর মূল্যের ভালোই পার্থক্য দেখা যায়। অনেক সময় মাত্র অল্প কয়েকদিন ব্যবহার করা সত্ত্বেও ফোনের দাম মডেল ভেদে প্রায় ১০-১৫ হাজার পর্যন্ত কমে যায়। তবে পুরানো আইফোন কেনার ক্ষেত্রেও কোথা থেকে ফোন ক্রয় করা হচ্ছে সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কেননা অ্যাপল এর অফিশিয়াল শপ থেকে রিফার্বিশড আইফোন এর মূল্য থার্ড পার্টি মাধ্যম থেকে বেশি মূল্যের হতে পারে।

অ্যাপল তাদের নতুন কোনো মডেলের ফোন লঞ্চ করার সাথে সাথে তাদের পুরানো কিছু মডেল বিক্রয় করা বন্ধ করে দেয়। যার ফলে আপনি যদি পুরানো মডেলের আইফোন কিনতে চান তাহলে ব্যবহৃত ফোনই আপনার একমাত্র ভরসা। যেমন বর্তমান সময়ে অ্যাপল এর অফিশিয়াল শপ থেকে আইফোন ১১ পাওয়া যাবে না। কিন্তু আইফোন ১১ এখনো বর্তমান বাজারে অনেক ভালো একটি ফোন হিসেবে বিবেচিত হয়। পুরাতন আইফোন কেনার ক্ষেত্রে আরো একটি সুবিধা হলো এই ফোনগুলোর ভ্যালু ফর মানি অনেক দিন পর্যন্ত একই থাকে। নতুন মডেল যখন বাজারে আসে তখন এই ফোনের দাম কমে গেলেও এর পরে আর এসকল ফোনের দাম খুব বেশি একটা কম হয় না। এসকল দিক থেকে পুরাতন আইফোন কেনা লাভজনকই বলা যায়।

পুরাতন ব্যবহৃত আইফোনের অসুবিধা

যদিও পুরাতন আইফোনের কিছু সুবিধা আছে তবে তার মানে এই না যে এর কোন অসুবিধা নেই। পুরাতন আইফোনের ক্ষেত্রে ও কিছু জিনিস মাথায় রেখে পুরাতন আইফোন কেনার ব্যাপারে চিন্তা করতে হয়। পুরাতন আইফোন ক্রয় এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটি থাকে সেটি হচ্ছে এর ওয়ারেন্টি। যেহেতু পুরাতন আইফোন কিছু সময় ব্যবহার করা হয়েছে তাই অ্যাপল থেকে প্রদানকৃত ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে অ্যাপল থেকে রিফার্বিশড ফোন ক্রয় করলে এক বছরের ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে।

এছাড়া নতুন আইফোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছামত মডেল, কালার এবং মেমোরি অপশন নির্বাচন করে ফোন ক্রয় করা যায়। কিন্তু পুরাতন ব্যবহৃত আইফোনের ক্ষেত্রে বাজারে যেই মডেলটি পাওয়া যাবে শুধুমাত্র সেই মডেলটি কেনা সম্ভব। এই ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ মত ফোন খুজে পেতে একটু সময় খরচ করতে হবে।

এছাড়া পুরাতন আইফোন ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় ফোনের সাথে থাকা এক্সেসরিজ পাওয়া যেতে নাও পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা করে এ সকল এক্সেসরিজ গুলো কিনতে হবে। থার্ড পার্টি এক্সেসরিজ ব্যবহার করা অনেক সময় আইফোনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এক্সেসরিজ কেনার সময় অবশ্যই অফিশিয়ালগুলো কেনা উচিত।

অ্যাপল সাধারণত তাদের আইফোনগুলিতে পাঁচ থেকে ছয় বছরের জন্য সফটওয়্যার আপডেটের সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি যদি দুই, তিন অথবা চার বছর পুরনো ফোন ক্রয় করে থাকেন তাহলে আপনার সফটওয়্যার আপডেটের সুবিধা কম সময়ের জন্য পাবেন। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময়ের জন্য আইফোন সিকিউরিটি আপডেট পাওয়া সম্ভব হবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আইওএস ১৭ আপডেট আইফোন টেন এর জন্য পাওয়া যাবেনা।

Should you buy an old iPhone?

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

পুরাতন আইফোন কেনা উচিত কি না?

এই প্রশ্নের উত্তর আসলে সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। এটি আসলে ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করবে। পুরাতন আইফোনের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি অসুবিধাও রয়েছে। ব্যবহারকারীকে সর্বপ্রথম চিহ্নিত করতে হবে তার জন্য উপযোগী হিসেবে পুরাতন আইফোন নাকি নতুন আইফোন ক্রয় করা ভালো হবে।

আপনার যদি বাজেট খুবই সীমিত থাকে তাহলে পুরাতন আইফোন ক্রয় করা অবশ্যই ভালো সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে বেশি পুরনো আইফোন না ক্রয় করাই ভালো যেহেতু সেখানে সফটওয়্যার আপডেট কম পাবেন। এছাড়া পুরতান আইফোন ক্রয় করার ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি যুক্ত আইফোন কেনা সবচেয়ে উত্তম। তাছাড়া আইফোনটির মালিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে যাতে কেনার পর কোনো ঝামেলা না হয়। আইফোন সম্পর্কিত আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *