আইফোন থেকে একে একে বিভিন্ন জিনিস বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে নাম (বা দুর্নাম) রয়েছে অ্যাপলের। নিকট অতীতে তারা প্রথমে বাদ দিয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, যা টাচ আইডি নামে পরিচিত ছিল। এরপর থেকে শুধুমাত্র ফেইস আইডি দিয়েই চালিয়ে আনা হচ্ছে ফ্ল্যাগশিপ আইফোনগুলো। যদিও অনেক স্মার্টফোন কোম্পানি স্ক্রিনের নিচে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বসিয়ে দিব্যি ফোন বাজারে ছাড়ছে, কিন্তু অ্যাপল সেই পথে হাঁটছেই না!
এভাবে চলতে চলতে অ্যাপল ফোনের সাথে চার্জার দেওয়া বন্ধ করে দিলো। পরিবেশ রক্ষার জন্য তারা চার্জার দিচ্ছেনা বলেই অ্যাপলের দাবী। কিন্তু আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে যতজন আইফোন ক্রেতা দেখছি সবাই আলাদা চার্জার কিনছেন। এতে করে পরিবেশের কী লাভ হচ্ছে জানিনা, তবে অ্যাপল এবং চার্জার বিক্রেতা কোম্পানিগুলোর যে লাভ হচ্ছে সে কথা বলেই দেওয়া যায়।
অবশ্য আমাদের দেখার বাইরে হয়ত অনেক ক্রেতাই আছেন যারা আইফোনের সাথে চার্জার না পেয়ে পরিবেশের কথা চিন্তা করে অথবা আগে থেকে চার্জার থাকার কারণে এক্সট্রা চার্জার কিনছেন না। সুতরাং সেসব ক্ষেত্রে অ্যাপলের পরিবেশ রক্ষার উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল বলতে হবে। তবে শুধু চার্জারই না, অ্যাপল কিন্তু তাদের আইফোনের সাথে আগে যে ইয়ারফোন দিত সেটাও দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অ্যাপলের তৈরি চার্জার এবং ইয়ারফোন আলাদাভাবে কিনতে গেলে প্রায় ৪০০০ টাকার মত খরচ হতে পারে।
তবে ঘটনা এখানেই শেষ না। সম্প্রতি বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, অ্যাপল এরপর প্রচলিত সিম কার্ড সাপোর্টবিহীন আইফোন বাজারে আনতে পারে। অর্থাৎ আপনি সেসব আইফোনে সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে এখনই অ্যাপলকে দুই কথা শুনিয়ে দিবেন না! এসব আইফোনে প্লাস্টিক সিমের পরিবর্তে ইসিম সাপোর্ট থাকবে।
বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন বলছে, অ্যাপল আইফোন ১৪ মডেলের ক্ষেত্রে কিছু কিছু মার্কেটে প্লাস্টিক সিম কার্ডের সাপোর্টবিহীন আইফোন বিক্রি করতে পারে। আইফোন ১৪ এর পুরো লাইনআপ এমন হবেনা। অর্থাৎ সচরাচর প্রচলিত প্লাস্টিক সিমের সাপোর্টযুক্ত আইফোন ১৪ ও বাজারে পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি আইফোন ১৪ মডেলের একটা ভ্যারিয়েন্ট থাকতে পারে যেগুলোতে শুধুমাত্র ই-সিম সাপোর্ট থাকবে। যার যেটা পছন্দ সে সেটাই কিনতে পারবে। আপাতত এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। 👉 ই-সিম কিভাবে কাজ করে? বিস্তারিত জানুন।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
প্লাস্টিকের সিম কার্ডের জন্য স্মার্টফোনে আলাদা কিছুটা জায়গা দরকার হয়। এছাড়া এটার কারণে ফোন ওয়াটার-রেজিস্ট্যান্স করাটাও বাড়তি চ্যালেঞ্জ। তাই যদি অ্যাপল ই-সিম অনলি আইফোন বাজারে আনে, তাহলে সেগুলোতে বাড়তি পানিরোধী সুবিধা থাকতে পারে। এছাড়া ভেতরে জায়গা বেশি পাওয়ায় প্রযুক্তিগত সুবিধাও কিছুটা বেশি পাওয়া যেতে পারে।
ইসিম বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়। বাংলাদেশে প্রথম ই-সিম বিক্রি শুরু করছে গ্রামীণফোন। আপনি চাইলে আপনার বিদ্যমান প্লাস্টিক সিম কার্ডটি ই-সিমে রূপান্তর করতে পারেন। এক সময় হয়ত প্লাস্টিকের সিমের চেয়ে ই-সিম অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হবে! (সেটা ঘটার সম্ভাবনাই বেশি মনে হচ্ছে)।
আইফোনের ক্ষেত্রে যদি এমন কোনো মডেল আসে যেটাতে শুধুমাত্র ই-সিম ব্যবহার করা যায়, সেক্ষেত্রে আপনি কি সেটা কিনতে আগ্রহী হবেন? নাকি প্লাস্টিকের সিমকার্ড সমর্থিত ভ্যারিয়েন্ট/মডেলটি কিনবেন? আপনার মতামত কমেন্টে জানান!
👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।