ওয়েব জায়ান্ট গুগল মার্কিন সরকার পরিচালিত এনএসএ (ন্যাশনাল সিক্যুরিটি এজেন্সি) এর “প্রিজম” প্রোগ্রামকে চ্যালেঞ্জ করে কোর্টে গিয়েছে। কোম্পানিটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের ভিত্তিতে এই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গুগল দাবী জানিয়েছে যে, প্রিজমের অধীনে তাদের গ্রাহকদের সম্পর্কে যে পরিমাণ তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে সেই সংখ্যা যাতে তারা প্রকাশ করতে পারে প্রতিষ্ঠানসমূহকে সে অনুমতি দেয়া হোক।
বর্তমানে এনএসএ বিষয়ে কোম্পানিগুলো খুবই সীমিত তথ্য প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে। তবে গুগলের উক্ত দাবী পূরণ হলে ঠিক কতজন ব্যবহারকারী প্রিজম দ্বারা মনিটর হয়েছেন/হচ্ছেন তা জানা যাবে। অবশ্য, তবুও তাদের কী পরিমাণ তথ্য সরকারের কাছে আছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যাবেনা।
আগেই হয়ত জেনে থাকবেন, প্রিজম এর মাধ্যমে অ্যামেরিকান কর্তৃপক্ষ গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট, অ্যাপল, ইয়াহু প্রভৃতি কোম্পানির কাছ থেকে বিশেষ ক্ষমতাবলে (গ্যাগিং অর্ডার) ব্যবহারকারীদের অগোচরেই তাদের ব্যক্তিগত তথ্য পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ২০০৭ সাল থেকে এটি পরিচালিত হচ্ছে।
তবে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার প্রিজমের অন্তর্ভুক্ত নয়। কেউ কেউ বলছেন, টুইটার হয়ত সরাসরি তাদের সার্ভারে এক্সেস দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যদিও আইনগতভাবে সকল কোম্পানিই এসব তথ্য দিতে বাধ্য, কিন্তু এসব প্রক্রিয়া সব সময় সহজ না হওয়ায় সম্ভবত টুইটারের কাছ থেকে ডেটা নেয়া যায়নি।
“প্রিজম” এর পূর্ণরূপ হচ্ছে “প্ল্যানিং টুল ফর রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন, সিঙ্ক্রোনাইজেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট”, যা একটি “ডেটা টুল”; এটি মূলত অ্যামেরিকান সার্ভারে থাকা অন্য দেশের গোয়েন্দা তৎপরতা বা ব্যবহারকারীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে বলে দাবী করছে। এডওয়ার্ড স্নোডেন নামক ২৯ বছর বয়সী একজন প্রাক্তন এনএসএ কন্ট্রাক্টর সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট এবং দ্যা গার্ডিয়ান পত্রিকার কাছে গোপনীয় এই প্রিজম প্রোগ্রামটি ফাঁস করে দেন।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।