আইফোন ১০ উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছে অ্যাপল?

অ্যাপল আইফোনের ১০ বছর পূর্তিতে বাজারে এসেছিল আইফোন ১০, যেটি ওএলইডি ডিসপ্লেযুক্ত প্রথম আইফোন ডিভাইস। নতুন ডিজাইন ও উন্নততর সুবিধা সম্বলিত আইফোন ১০ নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছিল শুরুতেই। ১০০০ ডলারের মত দামের এই ফোনটি নিয়ে আলোচনা হলেও এর স্ক্রিনের উপরের দিকের খাঁজ/নোচ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছিল বেশ। এ পর্যন্ত সবচেয়ে দামী এই আইফোন মডেল নিয়ে খুব একটা খুশি হতে পারেনি অ্যাপল নিজেও।

কারণ এটি আশানুরূপ পরিমাণে বিক্রি হয়নি। আর এসব মিলিয়ে আইফোন ১০ এর প্রতি স্বভাবতই নাখোশ এর নির্মাতা। এখন নতুন কিছু সূত্র বলছে, শেষ পর্যন্ত আইফোন ১০ এর দিক থেকে মুখ ফিরিয়েই নিচ্ছে অ্যাপল।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র ইটিনিউজ তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, আইফোন ১০ এর বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে এবছরই। পত্রিকাটি নির্দিষ্ট করে লিখছে, এ বছর সেপ্টেম্বরেই আইফোন ১০ এর উৎপাদন বন্ধ করে দেবে অ্যাপল।

আগেই জানা গেছে যে, গতবারের হলিডে সিজনে মাত্রাতিরিক্ত কম চাহিদা ছিল আইফোন ১০ এর। এজন্য জানুয়ারিতে প্রত্যাশার মাত্র অর্ধেক পরিমাণ আইফোন ১০ ডিভাইস উৎপাদনের অর্ডার দেয় অ্যাপল। ডিভাইসটির এত কম চাহিদা দেখে স্যামসাং তাদের নতুন একটি ওএলইডি স্ক্রিন উৎপাদন কারখানাও বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে, কারণ আইফোন ১০ এর ওএলইডি ডিসপ্লে তৈরির জন্য স্যামসাংকে পার্টনার হিসেবে নিয়েছিল অ্যাপল।

আইফোন ১০ এর বিক্রি ধারণাতীত কম হওয়ায় স্যামসাংয়ের ওএলইডি স্ক্রিন তৈরির কাজও কমে যায়, ফলে তাদের একটি কারখানাই বেকার হয়ে পড়ে।

ওদিকে চীনের কন্ট্রাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি ফক্সকন, যেটি আইফোন এসেম্বল করে থাকে (অর্থাৎ পার্টসগুলো জোড়া লাগিয়ে আইফোন ডিভাইসের পূর্ণ রূপ দেয়), সেই ফক্সকনও আইফোন ১০ এর চাহিদা কম হওয়ায় হতাশ। এতে ফক্সকনেরও কাজ কমে যায়, ফলে চীনা কোম্পানিটি নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে অ্যাপলের কন্ট্রাক্টের পাশাপাশি অন্য আরো কাজ খুঁজতে শুরু করেছে। আরো কয়েকটি অ্যাপল-পার্টনার কোম্পানি একই পথ বেছে নিয়েছে।

এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার আরেকটি সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনভেস্টর জানাচ্ছে, আইফোনের পার্টস সরবরাহকারী কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে মোট ৩টি মডেলের আইফোন রিলিজ দেবে অ্যাপল। এদের মধ্যে ২টি হবে ওএলইডি স্ক্রিনের, এবং অন্যটিতে থাকবে এলসিডি স্ক্রিন।

ওএলইডি স্ক্রিনের আইফোন এবার মাত্র ৫০-৫৫ মিলিয়ন ইউনিট তৈরি হবে, যেখানে গত বছর আইফোন ১০ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০ মিলিয়ন, যা কম চাহিদার কারণে অর্জন করতে সমর্থ হয়নি অ্যাপল। দেখা যাক ২০১৮ কী নিয়ে আসে অ্যাপলের আইফোন ভাগ্যে!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *