বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ব্র্যানো ডটকম এবং লাইটস ফাউন্ডেশন এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ১লা নভেম্বর ২০১৫ থেকে ৩১শে জানুয়ারী ২০১৬ পর্যন্ত ৪৫০০ টাকার উপরে যেকোনো বিক্রয়ের জন্য ব্র্যানো ডটকম ২০০ টাকা করে প্রদান করবে লাইটস ফাউন্ডেশনকে। সেই অর্থ দিয়ে লাইটস ফাউন্ডেশন অন্ধকার ঘরে আলো জ্বালাবে তাদের বোতল বাতি প্রকল্পের মাধ্যমে।
ব্র্যানো’র প্রধান নির্বাহী রাজীব রায় এবং লাইটস ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট সানজিদুল আলম সিবান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে সই করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন লাইটস ফাউন্ডেশন এর এডভাইজর সোলায়মান শুখন, হেড অব প্রজেক্ট অপারেশন রবিউল হোসেন রাহাত, হেড অব ফিন্যান্স এন্ড এইচআর আহমেদ সাকিব আর রাফি, হেড অব রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সালমান খান ইয়াসিন, ব্র্যানোর এইচআর হেড রনি বনিক, অপারেশন হেড সাগর দে।
প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য মতে, লাইটস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বোতল বাতি প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যের আলো ব্যবহার করে অন্ধকার দূর করার জন্য কাজ করে চলছে। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশের কোন ঘর অন্ধকার থাকবে না এবং যে টাকা দিয়ে মানুষ কেরোসিন ক্রয় করে ঘরে কেরোসিন বাতি জ্বালায় তার চেয়ে অনেক কম টাকা খরচ করে কিভাবে মানুষ তার ঘরের অন্ধকার দূর করতে পারে তার জন্য কাজ করছে। তারই প্রয়াস এই বোতল বাতি প্রকল্প।
ব্র্যানো সব সময় পণ্য ও সেবার মানের দিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি সমাজের মানুষের জন্য কিছু না কিছু করে চলেছে। ভেজাল বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি সমাজের মানুষ যাতে মানসম্পন্ন পন্য পায় তার নিশ্চয়তা দিয়ে আসছে। শুধু তাই না, ব্র্যানো তার জন্মলগ্ন থেকেই কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি পালন করে আসছে। অন্যদিকে লাইটস ফাউন্ডেশন এর রয়েছে নিবেদিতপ্রাণ কর্মী যারা অক্লান্তভাবে কাজ করে চলছে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে।
এই চুক্তি বিষয়ে রাজীব রায় বলেন, “ব্যবসার পাশাপাশি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কিছু সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি থাকা দরকার। আর সেই রেস্পন্সিবিলিটি থেকেই ব্র্যানো লাইটস ফাউন্ডেশন এর সাথে এগিয়ে আসছে। লাইটস ফাউন্ডেশন একটি তারুন্যের সংগঠন এবং তারা তাদের তারুণ্য দিয়ে ব্যতিক্রম কিছু সমাজে উপহার দিতে পারবে। ব্র্যানো তাদের সাথে থাকতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত”।
লাইটস ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট সানজিদুল আলম বলেন, “ বর্তমানে ব্র্যানো বাংলাদেশের নামকরা একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তাদের সাথে চুক্তি করতে পেরে আমরা অনেক আনন্দিত। আমরা দেশের সমস্যা গুলোর তাৎক্ষনিক সমাধান না করে স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা করি, আর এই পরিবর্তন কে আমরা বলি ‘সাস্টেইনেবল চেইঞ্জ’। আর তেমনি দেশের ৪৪.৮০% সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ঘরে অন্ধকারের সমস্যা দূর করবে আমাদের ‘বোতল বাতি প্রুকল্প”
সোলায়মান শুখন, এডভাইজর, লাইটস ফাউন্ডেশন; কর্পোরেট আইকন; হেড অব বিজনেস, আমরা স্মার্ট সলিউশন্স বলেন, “এই তরুণ ছেলে গুলো চাইলেই পারত নিজের ব্যাপারে ভাবতে এসব বাদ দিয়ে, কিন্তু তারা সেটা করেনি, তারা দেশের সমস্যার কথা শুধু চিন্তাই করেনি, সমাধানও খুঁজে বের করেছে। এদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া দরকার. আমি খুবই খুশি ব্র্যানো এর মত একটি প্রতিষ্ঠান তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে।”
প্রসঙ্গত, “ভেজাল থেকে মুক্ত হতে ব্র্যানো’র সাথেই থাকুন কারণ গ্রাহক সন্তুষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য”এই স্লোগান নিয়ে ২০১৪ এর মাঝামাঝি সময়ে হোম ডেলিভারি ভিত্তিক সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু করে ব্র্যানো। ব্র্যানোর মাধ্যেমে ভোক্তারা ঘরে বসে সহজেই অনলাইনে পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারেন। এজন্য কোনো একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন কিংবা লগইন এর প্রয়োজন হয়না। সেই সাথে এই ধরণের প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়ে কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটির একটি অন্যতম উদাহরন সৃষ্টি করেছে ব্র্যানো।
সূত্রঃ ব্র্যানো প্রেস রিলিজ
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।