অ্যামাজন ফায়ার ফোন কি ব্যর্থ হলো?

বহুল আলোচিত অ্যামাজন ফায়ার ফোন বাজারের অন্যান্য মোবাইল কোম্পানীর সাথে প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছে। দ্যা ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে, অ্যামাজন তাদের সিলিকন ভ্যালির প্রতিষ্ঠান ল্যাব-১২৬ থেকে বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী ছাঁটাই করেছে, বিশেষ করে সেই সকল ইঞ্জিনিয়ার যারা এই ফোনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

২০০৪ সালে কিন্ডল ই-রিডার নিয়ে কাজ শুরু করে ল্যাব-১২৬। কিছুদিন আগে এদের বেশ কয়েকটি নতুন ডিভাইস বাজারজাত করা হয়ছে। ডিভিশনটির মূল লক্ষ্য ছিলো অ্যামাজনের বিক্রয় বৃদ্ধি করা।

কিন্তু এখন অ্যামাজন তাদের লক্ষ্যকে এই ধরনের ডিভাইস থেকে সরিয়ে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এটি ছিল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অ্যামাজনের একটি কৌশল। সেপ্টেম্বর ২০১৪ তে প্রকাশ পায় যে, অ্যামাজন নতুন প্রকৌশলী নিয়োগ দিচ্ছে যারা নতুন একটি ফোন বাজারে আনতে যাচ্ছে যেটি মানুষকে খুশির জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

এখন দ্যা ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল জানাচ্ছে, ল্যাব-১২৬ যে জায়ান্ট ট্যাবলেট ও স্মার্টফোন প্রজেক্ট নির্মাণের উপর গুরুত্ব দিয়েছিল সেই সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে আসছে। অ্যামাজনের নতুন পণ্য কিন্ডল পেপারওয়েট এবং ইকো বাজারে অনেক সমাদৃত হয়েছে কিন্তু ফায়ার ফোন ফ্লপ করে।

এত কিছুর পরেও অ্যামাজন তাদের ব্যবসায়িক অগ্রগতি ধরে রেখেছে। কিছুদিন পূর্বে অ্যামজন ৯২ মিলিয়ন ডলার নেট ইনকাম প্রকাশ করেছে। এতে তারা তাদের আরেক প্রতিযোগী ওয়ালমার্টকে পিছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

এখন মনে করা হচ্ছে যে, ফায়ার ফোন আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ ঘোষণা করে দেওয়া হবে কিন্তু অ্যামাজনের নতুন কিছু ডিভাইস বাজারে আসবে যেগুলো ক্রেতাদের চমৎকৃত করতে সমর্থ হবে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *