জেনেটিক্সের যাদুঃ জন্ম নিল বিশ্বের প্রথম আলো-ছড়ানো উদ্ভিদ!

অনেকেই মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃদু আলোতে থাকা পছন্দ করেন। কিন্তু নতুন এক প্রজাতির উদ্ভিদ আপনাকে কোনো প্রকার বাতি ছাড়াই আলো দেবে! হ্যাঁ, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা এই বিশেষ ধরণের উদ্ভিদ তার দেহ থেকে আলো ছড়ায় যা আপনার রুমে রাতের অন্ধকার দূর করতে যথেষ্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের রিসার্স ফার্ম বায়োগ্লো’র বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফসল এই গাছটির নাম দেয়া হয়েছে স্টারলাইট এভাটার যাতে বায়োলুমিনিসেন্ট ব্যাকটেরিয়ার জিন ব্যবহৃত হয়েছে। কোম্পানিটি দাবী করছে, বায়োগ্লো’র ফার্মে বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদগুলোই হচ্ছে এ ধরণের প্রথম উদ্ভিদ যা আলোক বিচ্ছুরণ করতে পারে।

স্টারলাইট অ্যাভাটার মূলত এক প্রজাতির তামাক গাছের জেনেটিক্যালি মডিফাইড ভার্সন যা এর পুরো জীবনকালব্যাপী আলো ছড়াতে থাকবে। এর উৎপাদনকারী কোম্পানি বায়োগ্লো এখন চমৎকার এই উদ্ভিদগুলো বিক্রির জন্য নিলাম আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

জীবিত উদ্ভিদ বা প্রাণীর মধ্য থেকে আলোক বিচ্ছুরিত হলে এই ঘটনাকে বায়োলুমিনিসেন্স বলা হয়। প্রকৃতিতে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা ২০টির অধিক বায়োলুমিনিসেন্ট মেকানিজম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে জোনাকী অন্যতম। কিছু কিছু সামুদ্রিক প্রাণীও দেহ থেকে আলো ছড়াতে পারে।

বায়োগ্লো বলছে, তাদের গাছগুলো জোনাকির মতই আলো দেয়। উদ্ভিদগুলোর আলোদানকারী মেকানিজম এর কোষের মধ্যে এনকোড করে দেয়া আছে। এগুলোর পুরো জীবনকাল ২ থেকে ৩ মাস এবং এই পুরো সময়ই এরা আলো দেয়।

অন্ধকার কক্ষে স্টারলাইট অ্যাভাটার উদ্ভিদ রেখে দিলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লোকজন আলোর উপস্থিতি দেখবে। আর মানুষের চোখের সাথে ঐ আলোকরশ্মি সমন্বয় করতে ২-৩ মিনিট সময় লাগবে। পরিবেশের অক্সিজেন ও পরিমিত পুষ্টি উপাদান পেলে এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

গত ৩০ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা আলো দানকারী উদ্ভিদ জন্মানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বায়োগ্লোর আগে যারাই এ জাতীয় প্ল্যান্ট দেখিয়েছেন তাদের প্রোজেক্টগুলোতে স্বাধীনভাবে আলো ছড়ানোর উদ্ভিদ ছিলনা। সেগুলোতে বরং আল্ট্রা-ভায়োলেট রে এবং বিশেষ রং দরকার হত। Image credit: Bioglow/bnps.co.uk

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *