সেরা ক্যামেরা ফোন ২০২৪

স্মার্টফোনের অন্যান্য ফিচারের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্যামেরাও আগের থেকে অসাধারণ হয়ে উঠছে। বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোর ক্যামেরা এতোটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে রীতিমত ডিএসএলআর এর সাথে তুলনা করে চলে। চলুন জেনে নেয়া যাক বিশ্বের সেরা কিছু ক্যামেরা ফোন সম্পর্কে যেগুলো অভাবনীয় চমৎকার সব ছবি ও ভিডিও ধারণে সক্ষম।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আল্ট্রা – Samsung Galaxy S23 Ultra

Samsung Galaxy S23 Ultra

প্রতি বছরের ন্যায় ২০২৩ সালেও স্যামসাং তাদের সেরা ক্যামেরা ফোন নিয়ে এসেছে তাদের সবথেকে দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোনে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আল্ট্রা প্রতিবারের মতো এবারও থাকবে এই বছরের সেরা কিছু ফোন ক্যামেরার কাতারে। স্যামসাং তাদের সবথেকে সেরা ও লেটেস্ট ক্যামেরা প্রযুক্তি দিয়ে এই সিরিজের ফোনের ক্যামেরা ডিজাইন করে থাকে। এবারও থাকছে না তার ব্যতিক্রম। ২০০ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা লেন্স নিয়ে বাজারে এসেছে ফোনটি!

এই ফোনের পিছনে আপনি পেয়ে যাবেন মোট চারটি ক্যামেরা। মূল সেন্সর বরাবরের মতোই সবথেকে সেরা ২০০ মেগাপিক্সেলের একটি সেন্সর যেটি আগের বছরের ১০৮ মেগাপিক্সেল থেকে আরও উন্নত হয়েছে। মূল ক্যামেরায় ওআইএস, লেজার অটোফোকাস সহ আধুনিক সকল ফিচার রয়েছে। ফলে ছবি কিংবা ভিডিও সব ক্ষেত্রেই একদম সেরা মোবাইল ক্যামেরার খেতাব পেতে পারে ফোনটির মূল লেন্স।

এছাড়াও পাবেন ১০ মেগাপিক্সেলের একটি পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্স যা ১০ গুন পর্যন্ত জুম সাপোর্ট করে। আরেকটি ১০ মেগাপিক্সেলের সাধারণ টেলিফটো লেন্সও রয়েছে যেটি ৩ গুন জুম করবে সহজেই। ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরাটিও অনেক ওয়াইড জায়গা নিয়ে ছবি তুলতে পারে এবং মূল ক্যামেরার মতো মান বজায় রেখেই ছবি তুলে ফেলতে সক্ষম। এবারে স্যামসাং নাইট ফটো এবং ভিডিওগ্রাফির দিকেও নজর দিয়েছে। ফলে রাতের বেলাও অসাধারণ সব ছবি আর ভিডিও করা সম্ভব ফোনের মাধ্যমে। সামনে পাবেন ১২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা যার মেগাপিক্সেল কম হলেও খুবই মানসম্মত একটি ক্যামেরা। সেলফি তোলার ক্ষেত্রে মানের দিকে প্রথম দিকেই স্থান পাবে এটি।

ক্যামেরা ছাড়াও কোন ফ্ল্যাগশিপ ফিচারই এখানে অনুপস্থিত নেই। বাজারের সবথেকে শক্তিশালী স্ন্যাপড্র্যাগন ৮ জেন ২ চিপ, ৬.৮ ইঞ্চির অসাধারণ ১২০ হার্টজ ডায়নামিক অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২ জিবি র‍্যাম, ৫০০০ মিলিএম্প বিশাল ব্যাটারি, ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ইত্যাদি অসংখ্য ফিচার পাবেন এই ফোনে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ আল্ট্রা এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৮ ইঞ্চি / ডায়নামিক অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ 
র‍্যাম১২ জিবি
স্টোরেজ২৫৬/৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরাকোয়াড ক্যামেরা (২০০+১২+১০+১০ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা১২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১৩
দাম১,৮৭,৪৯৯ টাকা ( ১২+২৫৬ জিবি)২,০৩,৫৯৯ টাকা ( ১২+৫১২ জিবি)

শাওমি ১৩ প্রো – Xiaomi 13 Pro

Xiaomi 13 Pro

২০২৩ সালের শাওমির সবথেকে সেরা ফ্ল্যাগশিপ ফোন এটি। এটি তৈরিই করা হয়েছে ক্যামেরা ফোন হিসেবে। তবে এর পারফর্মেন্স বা অন্যান্য ফিচারও পুরোপুরি ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের। শাওমি এই ফোনটির ক্যামেরা তৈরিতে বিশ্বখ্যাত ক্যামেরা ব্র্যান্ড লেইকার সাথে মিলে কাজ করেছে। ফলে এটি হয়ে উঠেছে বর্তমানের অন্যতম সেরা ক্যামেরা ফোন।

ফোনের পিছনে ৩ টি ক্যামেরা রয়েছে। ক্যামেরাগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে লেইকার প্রফেশনাল অপটিক্যাল লেন্স। মূল ৫০.৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায় পুরো ১ ইঞ্চির একটি লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। লেন্স যত বড় হয় ক্যামেরার ছবির মান তত ভালো হয়। আর তাই এই ক্যামেরা অন্যতম সেরা মোবাইল ক্যামেরা হতে পেরেছে। মূল ক্যামেরার সাথে ওআইএস, লেজার অটোফোকাসের মতো আধুনিক সুবিধাতো আছেই। ফোনের পিছনের বাকি দুটি ক্যামেরাও ৫০ মেগাপিক্সেলের।

টেলিফটো ক্যামেরাটি ৩.২ গুন পর্যন্ত জুমে ছবি তুলতে পারে। আর অপরটি আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা। সবকটি ক্যামেরাই খুবই উঁচু মানের ছবি তোলে। এছাড়া ৮কে তে খুব ভালো মানের ভিডিও করা যায় ক্যামেরা থেকে। রাতেও ক্যামেরার পারফর্মেন্স অবাক করার মতো। এছাড়া সামনের ক্যামেরা হিসেবে আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাটি মোটামুটি মানের সেলফি তুলতে পারে।

ক্যামেরা ফোন হলেও এটি ফ্ল্যাগশিপ ফিচারে পরিপূর্ণ। আছে স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ চিপ, ১২০ হার্টজের ৬.৭৩ ইঞ্চি এলটিপিও অ্যামোলেড, ৪৮২০ মিলিএম্প ব্যাটারি, ১২০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ইত্যাদি অসংখ্য ফিচার। কাজেই সব মিলিয়ে এটি ২০২৪ সালের সেরা একটি ফোন।

শাওমি ১৩ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭৩ ইঞ্চি / এলটিপিও অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ 
র‍্যাম১২ জিবি
স্টোরেজ২৫৬/৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরাট্রিপল ক্যামেরা (৫০.৩+৫০+৫০ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১৩
দাম৮৯,৯৯০ টাকা ( ১২+২৫৬ জিবি)

গুগল পিক্সেল ৭এ – Google Pixel 7a

Google Pixel 7a

নতুন এই ফোনটি গুগল মধ্যম বাজেট ফোন হিসেবে বাজারে আনলেও ক্যামেরার ক্ষেত্রে তাদের সুনাম বরাবরের মতোই ধরে রেখেছে। গুগলের পিক্সেল ফোনগুলোর ক্যামেরা হার্ডওয়্যারের দিক থেকে চোখ ধাঁধানো না হলেও তাদের সফটওয়্যার প্রসেসিং দিয়ে অসাধারণ সব ছবি তুলতে সক্ষম। গুগল পিক্সেল ৭এ সেই ধারাই বজায় রেখেছে।

এই ফোনে আপনি পিছনে মাত্র দুটি ক্যামেরা পাবেন। একটি ক্যামেরা ৬৪ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা এবং অপরটি ১৩ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা। তবে ৬৪ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা থেকে অসধারন সব ছবি পাওয়া যায় যা ফ্ল্যাগশিপ বিভিন্ন ফোনের ছবির সাথে সহজেই পাল্লা দিতে পারে।

এতে গুগলের ফ্ল্যাগশিপ ফোনে পিক্সেল ৭ প্রো এর মতো একই চিপ টেন্সর জি২ ব্যবহার করায় ছবি প্রসেসিং করতে পারে ফ্ল্যাগশিপ ফোনের মতোই। মূল লেন্সের সাথে ওআইএসও দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৩ মেগাপিক্সেলের আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা থেকেও সুন্দর সব ছবি পাওয়া যায়। পিক্সেল ছবি তোলার ক্ষেত্রে প্রসেসিংকে গুরুত্ব দেয়। আর এখানে ভালো প্রসেসিং ক্ষমতা থাকায় ভালো ছবি তোলে সব অবস্থাতেই এই ফোনটি। এছাড়া ৪কে তে ভিডিও রেকর্ড করা যায়। ফোনের সামনে আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা।

এছাড়া ফোনটির পারফর্মেন্সে ফ্ল্যাগশিপ গুগল চিপ ব্যবহার করায় স্মুথ ও দ্রুতগতিতে সব করা যায়। তবে ৬.১ ইঞ্চির ওলেড ৯০ হার্টজ ডিসপ্লে ফ্ল্যাগশিপ মানের নয়। এর ব্যাটারি মাত্র ৪৩৮৫ মিলিএম্প এবং ১৮ ওয়াটে ফাস্ট চার্জ হতে পারে। সব মিলিয়ে অনেক জায়গাতেই এই ফোন ফ্ল্যাগশিপ ফোন হতে পিছিয়ে থাকলেও ক্যামেরার ক্ষেত্রে ফোনটি থাকবে সামনের দিকেই। 

গুগল পিক্সেল ৭এ এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.১ ইঞ্চি / ওলেড
প্রসেসরগুগল টেন্সর জি২
র‍্যাম৮ জিবি
স্টোরেজ১২৮ জিবি
মেইন ক্যামেরাডুয়াল ক্যামেরা (৬৪+১৩ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৩৮৫ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১৩
দাম৫৯,৯৯৯ টাকা (আনঅফিসিয়াল)

সনি এক্সপেরিয়া ৫ IV – Sony Xperia 5 IV

Sony Xperia 5 IV

সনির এক্সপেরিয়া সিরিজের এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো মূলত প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের অনেক পছন্দের ফোন। এর কারণ এই ফোনগুলোতে সনি তাদের হাই এন্ড ক্যামেরার সফটওয়্যার ব্যবহার করে। ফলে ছবি তোলার সময় ছবির খুঁটিনাটি সকল ডিটেইলস নিজের ইচ্ছামতো পরিবর্তন করে নেয়া যায়। আর তাই সবথেকে সেরা ফোন ক্যামেরার মধ্যে সনির নতুন ফোনটি জায়গা করে নেবে নিঃসন্দেহে।

সনি এই ফোনে ব্যবহার করেছে ট্রিপল ক্যামেরা। তবে অবাক হবেন জেনে যে এই ফোনের তিনটি ক্যামেরাই মাত্র ১২ মেগাপিক্সেলের। সবাই যেখানে মেগাপিক্সেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেখানে সনি ব্যতিক্রম। এর কারণ সনির ক্যামেরার বিশেষত্ব এর অসংখ্য ফিচার। আপনি প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার হলে নিজের ইচ্ছামতো ছবি তুলতে পারবেন এই ফোন থেকে। মূল লেন্স ও টেলিফটো লেন্সে ওআইএস ব্যবহার করা হয়েছে।

জেইসের অপটিক্যাল লেন্স রয়েছে ক্যামেরায়। একটি আল্ট্রাওয়াইড লেন্সও পাবেন পিছনে। অটো ফোকাস আছে লেন্সে। যে কোন অবস্থায় অসাধারণ সব ছবি তুলতে পারবে ফোনটি। ভিডিওর দিক থেকেও পিছিয়ে নেই। আলাদা ভিডিও সফটওয়্যার রয়েছে সনির। সামনে পাবেন ১২ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা। সব মিলিয়ে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি ফোন হিসেবে এটি অসাধারণ।

এছাড়া ফোনটির সব স্পেকই ফ্ল্যাগশিপ ধরণের। স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ চিপ, ৬.১ ইঞ্চি ১২০ হার্টজ ওলেড ডিসপ্লে, ৮ জিবি র‍্যাম, ৫০০০ মিলিএম্প ব্যাটারি ইত্যাদি সবকিছুই পেয়ে যাবেন এই ফোনে।

সনি এক্সপেরিয়া ৫ IV এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.১ ইঞ্চি / ওলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১
র‍্যাম৮ জিবি
স্টোরেজ১২৮ জিবি
মেইন ক্যামেরাট্রিপল ক্যামেরা (১২+১২+১২ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা১২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১২
দাম১,০০,০০০ টাকা (আনঅফিসিয়াল)

ভিভো এক্স৯০ প্রো – Vivo X90 Pro

Vivo X90 Pro

ভিভোর এক্স সিরিজ সবসময় ক্যামেরা ফোকাসড ফ্ল্যাগশিপ বাজারে নিয়ে আসে। এই ফোনটিও ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে ভিভোর সেরা ক্যামেরা ফোনের একটি এই ফোনটি। জেইসের সাথে মিলে অসাধারণ ১ ইঞ্চি সাইজের সেন্সর দিয়েছে ভিভো এই ফোনে।

ফোনের ক্যামেরা ডিজাইন ও সকল কাজে ভিভোকে সাহায্য করে বিশ্বখ্যাত ক্যামেরা ব্র্যান্ড জেইস। ফোনে মোট ৩ টি ক্যামেরা দেয়া হয়েছে। আর ছবি প্রসেসের জন্য ভিভো আলাদা ভি২ নামের একটি চিপ দিয়েছে ফোনে। ফলে ছবি খুব দ্রুত এবং অসধারনভাবে তৈরি হয়ে যায়। ফোনের মূল ৫০ মেগাপিক্সেল লেন্সতির সাইজ ১ ইঞ্চি।

লেজার অটোফোকাস এবং ওআইএস ফিচারও আছে এই লেন্সে। দিনে কিংবা রাতে অসাধারণ সব ছবি পেয়ে যাবেন এই লেন্স থেকে। টেলিফটো লেন্সটিও ৫০ মেগাপিক্সেলের এবং ওআইএস যুক্ত। ২ গুন পর্যন্ত অপটিক্যাল জুম করা যায় এটি থেকে। পিছনের অপর ক্যামেরাটি ১২ মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স। সামনে সেলফি ক্যামেরা হিসেবে আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের আরও একটি ক্যামেরা। 

ফ্ল্যাগশিপ অন্য সকল ফিচারও পাবেন এখানে। চিপ হিসেবে আছে মিডিয়াটেকের ফ্ল্যাগশিপ চিপ ডাইমেন্সিটি ৯২০০। পাবেন ৬.৭৮ ইঞ্চির সুন্দর একটি ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড প্যানেল, ৪৮৭০ মিলিএম্প ব্যাটারি, ১২০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জ ইত্যাদি অসংখ্য ফ্ল্যাগশিপ ফিচার। 

ভিভো এক্স৯০ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭৮ ইঞ্চি / অ্যামোলেড
প্রসেসরমিডিয়াটেক ডাইমেন্সিটি ৯২০০
র‍্যাম১২ জিবি
স্টোরেজ২৫৬ জিবি
মেইন ক্যামেরাট্রিপল ক্যামেরা (৫০+৫০+১২ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৮৭০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১৩
দাম১,০৯,০০০ টাকা (আনঅফিসিয়াল)

অপো ফাইন্ড এক্স৬ প্রো – Oppo Find X6 Pro

Oppo Find X6 Pro

সম্প্রতি বাজারে আনা এই ফোনটি এই বছরে অপোর সেরা ক্যামেরা ফোন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। ফ্ল্যাগশিপ সকল ফিচারের সাথে আছে বিখ্যাত হ্যাসেলব্লাডের ক্যামেরা প্রযুক্তি। অসাধারণ সব ছবি তুলতে সক্ষম এই ফোনটি অনেকেরই প্রিয় ক্যামেরা ফোন হয়ে উঠবে।

ফোনের পিছনের ক্যামেরা সেটআপে আছে ৩ টি লেন্স। ৩ টি লেন্সই ৫০ মেগাপিক্সেলের। এখানেও ব্যবহার করা হয়েছে ১ ইঞ্চি সাইজের লেন্স যা মূল ক্যামেরায় রয়েছে। লেজার অটোফোকাস এবং ওআইএস এর মতো ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরা ফিচারও রয়েছে। পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্সটি ২.৮ গুন পর্যন্ত জুম করতে পারে এবং এখানেও ওআইএস আছে। আল্ট্রাওয়াইড লেন্সটিও একই মানের ছবি তুলতে পারে অন্য দুটি ক্যামেরার মতোই।

দিন কিংবা রাত যে কোন সময় ভালো ছবি তোলার ক্ষমতা আছে এই ফোনের। হ্যাসেলব্লাডের ভিডিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৪কে পর্যন্ত খুব ভালো ভিডিওগ্রাফিও করা সম্ভব। সবদিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ এই ক্যামেরা পাল্লা দিতে পারবে যে কোন ফোনের সঙ্গেই। সামনে পাবেন ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা।

ফোনের সকল ফিচারও এই বছরের সেরা ফ্ল্যাগশিপ ফোনের মতোই। স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ চিপ, ৬.৮২ ইঞ্চির এলটিপিও৩ অ্যামোলেড ১২০ হার্টজ প্যানেল, ১২ থেকে ১৬ জিবি র‍্যাম, ৫০০০ মিলিএম্প ব্যাটারি, ১০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জ ইত্যাদি অসংখ্য ফিচার দিয়ে পরিপূর্ণ ফোনটি।

অপো ফাইন্ড এক্স৬ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৮২ ইঞ্চি / এলটিপিও৩ অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
র‍্যাম১৬ জিবি
স্টোরেজ৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরাট্রিপল ক্যামেরা (৫০+৫০+৫০ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১৩
দাম১,৪২,৯৯০ টাকা (১৬+৫১২ জিবি) (আনঅফিসিয়াল) 

ওয়ানপ্লাস ১১ ৫জি – OnePlus 11 5G

OnePlus 11

ওয়ানপ্লাসের ফ্ল্যাগশিপ ফোন প্রতি বছরই সেরা ক্যামেরার কাতারে থাকে। ওয়ানপ্লাস ১১ তাদের লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ ফোন। হ্যাসেলব্ল্যাডের সাথে মিলে ওয়ানপ্লাস তাদের ক্যামেরাকে আরও উন্নত করে তুলেছে। অসাধারণ সব ছবি তুলতে তাই এই ফোনের জুড়ি নেই।

ফোনের পিছনে পাওয়া যাবে ৩ টি ক্যামেরা যা সবগুলোই হ্যাসেলব্লাডের নিজস্ব প্রযুক্তি ও অ্যালগরিদমে ছবি তোলে। মূল ক্যামেরাটি ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি ওয়াইড অ্যাপারচার লেন্স। ওআইএস আছে এখানে, এছাড়া অটো ফোকাস ফিচারও পাবেন। ৩২ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্সটি ২ গুন পর্যন্ত জুম করতে পারবে। এছাড়া ৪৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা একই মানের ছবি তুলতে সক্ষম। ৮কে পর্যন্ত ভিডিওগ্রাফিও করতে পারবেন এই ফোন থেকে। সামনে আছে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি ভালো মানের সেলফি ক্যামেরা।

এছাড়া ওয়ানপ্লাসের ফ্ল্যাগশিপ ফোন হিসেবে সব ফিচারই পাওয়া যাবে এখানে। ৬.৭ ইঞ্চির এলটিপিও৩ ফ্লুয়িড ১২০ হার্টজ অ্যামোলেড ডিসপ্লে, স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ চিপ, ৫০০০ মিলিএম্প ব্যাটারি, ১০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জ ইত্যাদি অসংখ্য ফিচার থাকবে ফোনের সাথে।

ওয়ানপ্লাস ১১ ৫জি এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭ ইঞ্চি / এলটিপিও৩ ফ্লুয়িড অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
র‍্যাম১২/১৬ জিবি
স্টোরেজ১২৮/২৫৬/৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরাট্রিপল ক্যামেরা (৫০+৩২+৪৮ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা১৬ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১৩
দাম৭৩,৫০০ টাকা (১২+২৫৬ জিবি) (আনঅফিসিয়াল)৭৬,৫০০ টাকা (১৬+২৫৬ জিবি) (আনঅফিসিয়াল)১,১৩,০০০ টাকা (১৬+৫১২ জিবি) (আনঅফিসিয়াল)

হুয়াওয়ে মেট ৫০ প্রো – Huawei Mate 50 Pro

Huawei Mate 50 Pro

হুয়াওয়ে স্মার্টফোন দুনিয়ায় আবারও তার জায়গা খুঁজে নিতে একের পর এক অসাধারণ সব ক্যামেরা ফোন বাজারে আনছে। এই ফোনটিও তার ব্যতিক্রম নয়। হুয়াওয়ে এই ফোনের ক্যামেরাকে বলছে আল্ট্রা অ্যাপারচার সিনে ক্যামেরা। ক্যামেরায় তারা এক্সমেজ নামের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

তিনটি ক্যামেরা আছে পিছনে। মূল ক্যামেরা ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি ওয়াইড ক্যামেরা লেজার অটোফোকাস এবং ওআইএস প্রযুক্তির সাথে। এই ক্যামেরার অ্যাপারচার ১.৪ থেকে ৪ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই ভিন্ন ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে অসাধারণ সব ছবি পাওয়া যায় এই ক্যামেরা হতে। রাতেও এই ক্যামেরা সমান তালে পারফর্ম করতে পারে।

সেই সাথে হুয়াওয়ের নিজস্ব ছবি অপটিমাইজেশন পাল্লা দিতে পারবে যে কোন ফ্ল্যাগশিপ ফোন ক্যামেরার সাথেই। ৬৪ মেগাপিক্সেলের ৩.৫ গুন জুম করতে সক্ষম একটি পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্সও আছে এখানে। এই লেন্সেও ওআইএস দেয়া রয়েছে। অপর ক্যামেরাটি ১৩ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। সামনে সেলফি ক্যামেরা হিসেবে আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের একটি লেন্স।

ফোনটির অন্যান্য সকল ফিচারও ফ্ল্যাগশিপ ক্যাটাগরির। পাবেন ৬.৭৪ ইঞ্চির একটি ১২০ হার্টজ ওলেড ডিসপ্লে, স্ন্যাপড্রাগন ৮+ জেন ১ চিপ, ৪৭০০ মিলিএম্প ব্যাটারি, ৬৬ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ইত্যাদি অসংখ্য সুবিধা। 

হুয়াওয়ে মেট ৫০ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭৪ ইঞ্চি / ওলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮+ জেন ১
র‍্যাম৮ জিবি
স্টোরেজ২৫৬ জিবি
মেইন ক্যামেরাট্রিপল ক্যামেরা (৫০+৬৪+১৩ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৭০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারইএমইউআই ১৩
দাম১,২৭,০০০ টাকা (৮+২৫৬ জিবি) (আনঅফিসিয়াল)

হুয়াওয়ে পি৬০ প্রো – Huawei P60 Pro

Huawei P60 Pro

হুয়াওয়ে পি সিরিজ মানেই ক্যামেরার জন্য সেরা ফোন। এই সিরিজের একদম লেটেস্ট ফোন পি৬০ প্রো আধুনিক সব ক্যামেরা ফিচার নিয়ে এই বছরের অন্যতম সেরা ক্যামেরা ফোন হওয়ার দাবীদার। এছাড়া ফ্ল্যাগশিপ অনেক ফিচারও পাবেন ফোনটিতে।

ফোনের মূল ক্যামেরা ৩ টি। আগের বছরের ফোন থেকে ক্যামেরা সংখ্যা একটি কমে গেলেও বেড়েছে ক্যামেরার মান। এখানেও মূল ক্যামেরা হিসেবে আছে একটি ভ্যারিয়েবল অ্যাপারচারের ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এই লেন্সে দেয়া হয়েছে লেজার অটোফোকাস এবং ওআইএস। ক্যামেরার অ্যাপারচার ১.৪ থেকে ৪ পর্যন্ত ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করে ছবি তোলা যায়। ফলে অসাধারণ ছবি তুলতে পারবেন দিনে কিংবা রাতে। আরেকটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো ক্যামেরাও আছে এতে।

এখানে দেয়া রয়েছে সেন্সর শিফট ওআইএস প্রযুক্তি। পোট্রেইট ছবি তোলার ক্ষেত্রে এই ক্যামেরা সেরা। ৩.৫ গুন পর্যন্ত অপটিক্যাল জুম সুবিধাও আছে এতে। আরেকটি ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর। সামনে সেলফি ক্যামেরা হিসেবে আছে ১৩ মেগাপিক্সেলের আরেকটি আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। ৪কে পর্যন্ত ভিডিওগ্রাফিও করা যাবে এই ফোনে।

এছাড়া এটি পুরদস্তুর একটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন। আছে স্ন্যাপড্রাগন ৮+ জেন ১ চিপ, ৬.৬৭ ইঞ্চির এলটিপিও ওলেড ডিসপ্লে, ৪৮১৫ মিলিএম্প ব্যাটারি, ৮৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ইত্যাদি অসংখ্য আধুনিক ফিচার।

হুয়াওয়ে পি৬০ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৬৭ ইঞ্চি / এলটিপিও ওলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮+ জেন ১
র‍্যাম৮ জিবি
স্টোরেজ২৫৬ জিবি
মেইন ক্যামেরাট্রিপল ক্যামেরা (৪৮+৪৮+১৩ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৮১৫ মিলিএম্প
সফটওয়্যারইএমইউআই ১৩.১
দাম১,২২,৫০০ টাকা (৮+২৫৬ জিবি) (আনঅফিসিয়াল)

মটোরোলা এজ ৪০ প্রো – Motorola Edge 40 Pro

Motorola Edge 40 Pro

সম্প্রতি বাজারে আসা মটোরোলার এই ফোনটি ক্যামেরা পারফর্মেন্সে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ফোনের ক্যামেরায় বেশ উন্নতি করেছে তারা, ফ্ল্যাগশিপ স্পেকের সাথে অসাধারণ ক্যামেরা দিয়ে এই ফোনটি পেয়েছে জনপ্রিয়তা।

ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ আছে এই ফোনে। মূল লেন্সটি ৫০ মেগাপিক্সেলের বড় সেন্সরের একটি ওআইএস প্রযুক্তির লেন্স। দিনে কিংবা রাতে স্পষ্ট ও সুন্দর ছবি তুলতে পারে এই ক্যামেরা। এছাড়া আছে অসাধারণ একটি ১২ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স যেখানে দুই গুন পর্যন্ত অপটিক্যাল জুম করা যায় এবং শার্প পোট্রেইট তোলা যায়।

অপর ক্যামেরাটি ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স। মূল লেন্সের সাথে মিলিয়ে একই মানের ছবি তুলতে সক্ষম এই লেন্সটি। ভিডিওগ্রাফি করা যায় ৮কে পর্যন্ত। চমক রয়েছে এর সামনের সেলফি ক্যামেরাতেও। ব্যবহার করা হয়েছে ৬০ মেগাপিক্সেলের খুবই ভালো মানের একটি সেলফি ক্যামেরা। ফলে যারা সেলফি ছবি তুলতে পছন্দ করেন কিংবা ভ্লগ তৈরি করেন তাদের জন্য ভালো একটি ক্যামেরা ফোন এটি। ৪কে পর্যন্ত ভিডিও করা যায় সামনের ক্যামেরা থেকে। 

এছাড়া ফোনের বাকি সব স্পেকই বর্তমান ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর মতো। স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২ চিপ, ৬.৬৭ ইঞ্চির ১৬৫ হার্টজ ওলেড ডিসপ্লে, ৪৬০০ মিলিএম্প ব্যাটারি, ১২৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ইত্যাদি অসংখ্য ভালো ভালো ফিচার পেয়ে যাবেন ফোনটির সাথে।

মটোরোলা এজ ৪০ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৬৭ ইঞ্চি / ওলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ২
র‍্যাম১২ জিবি
স্টোরেজ২৫৬ জিবি
মেইন ক্যামেরাট্রিপল ক্যামেরা (৫০+১২+৫০ মেগাপিক্সেল)
ফ্রন্ট ক্যামেরা৬০ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৬০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১৩
দাম১,১০,০০০ টাকা (১২+২৫৬ জিবি) (এক্সপেক্টেড)

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ৫জি – Samsung Galaxy S22 Ultra 5G

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ৫জি – Samsung Galaxy S22 Ultra 5G

২০২২ সালে স্যামসাংয়ের সেরা ফ্ল্যাগশিপ ফোন এটি। প্রতিবারই স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ ফোন সেরা মোবাইল ক্যামেরার তালিকায় স্থান করে নেয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। এই ফোনের স্যামসাং তাদের সেরা ক্যামেরা প্রযুক্তি ও প্রসেসর ব্যবহার করেছে বরাবরের মতই। ক্যামেরার ক্ষেত্রে এ সময় এসে যেসব ফিচার আপনি কল্পনা করতে পারেন তার সবই পেয়ে যাবেন এই ফোনটিতে। আছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের বড় সেন্সরের মূল ক্যামেরা, অটো ফোকাস ফিচারসহ আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা আর একটা নয় বরং দুইটি টেলিফটো ক্যামেরা। অর্থাৎ মোট ৪ টি ক্যামেরা পেয়ে যাবেন এই ফোনের পিছনে।

প্রতিটি ক্যামেরাই খুব ভালো ডায়নামিক রেঞ্জ বজায় রেখে হাই রেজ্যুলেশনের ছবি তুলতে পারে দিন অথবা রাত উভয় সময়েই। এই ক্যামেরার মাধ্যমে ৮কে ভিডিও রেকর্ড করাও সম্ভব। খুব ভালো ভিডিও রেকর্ডিং কোয়ালিটি পাওয়া যায় এই ফোন থেকে। এছাড়া ফোনের স্ট্যাবিলাইজেশন প্রজুক্তিও বাজারের সেরা।

দুইটি জুম ক্যামেরা থাকায় ১০গুন পর্যন্ত খুব সহজেই জুম করে ভালো কোয়ালিটি ছবি তোলা সম্ভব। বর্তমান বাজারে সেরা জুম মোবাইল ক্যামেরা বলা যায় একে। আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরাটিও আগের থেকে উন্নতি করেছে এবং খুব ভালো কোয়ালিটির ছবি তোলা যায়। সেই সঙ্গে এবছর এই ক্যামেরাতেও অটো ফোকাস ফিচার দেয়ায় ভালো ছবি তোলা আরও সহজ হয়ে গেছে। সামনের সেলফি ক্যামেরাও বাজারের অন্যতম সেরা। ৪০ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরাটি খুব ভালো ও শার্প ছবি তুলতে পারে। স্যামসাংয়ের ছবির প্রসেসিং ক্ষমতাও বর্তমানে অন্যতম সেরা। সব মিলিয়েই বেশ অসাধারন ক্যামেরা পারফর্মেন্স এই ফোনটির। 

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা ৫জি এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৮ ইঞ্চি / ডায়নামিক অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ / এক্সিনোস ২২০০
র‍্যাম৮/১২ জিবি
স্টোরেজ১২৮ জিবি / ২৫৬ জিবি / ৫১২ জিবি / ১ টিবি
মেইন ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার১০ মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো১০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো১২ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা৪০ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১২
দাম১,৫৪,৯৯৯ টাকা

শাওমি ১২এস আল্ট্রা – Xiaomi 12S Ultra

শাওমি ১২এস আল্ট্রা – Xiaomi 12S Ultra

ক্যামেরা ফোন হিসেবে খুব বেশি পরিচিতি না থাকলেও শাওমি তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ক্যামেরায় সবসময় তাদের সেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। আর শাওমি ২০২২ সালে তাদের এই ফ্ল্যাগশিপ ফোনে বড় একটি সেন্সর ব্যবহার করেছে যা ফোনের ক্ষেত্রে বর্তমান বাজারে সবথেকে বড়।

৫০.৩ মেগাপিক্সলের ক্যামেরা হলেও এটি ফোনের ক্যামেরার ক্ষেত্রে সবথেকে সেরা ছবি তুলতে সক্ষম। যদিও শাওমির ছবির প্রসেসিং অন্যান্য বড় ব্র্যান্ডের ফোনগুলোর মতো নয়, কিন্তু প্রসেসিং ছাড়াই এই বড় লেন্সের ক্যামেরা অসাধারন সব ছবি তুলে ফেলতে পারে। এছাড়া পিছনের ট্রিপল ক্যামেরা সিস্টেমে আরও আছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি টেলিফটো লেন্স ও ৪৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড লেন্স। যদিও মূল ক্যামেরার মতো ভালো নয় তবে এই দুটি ক্যামেরাও খুব ভালো পারফর্মেন্স দিতে পারে।

তবে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে থাকবে ফোনটি। যদিও এটি অপটিমাইজেশনের অভাবে, তাই আপডেট দেয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এটি শাওমি আরও উন্নতি করবে আশা করা যায়। তাছাড়াও এই ক্যামেরায় আধুনিক মোবাইল ক্যামেরার সকল ফিচার যেমনঃ লেজার অটোফোকাস, ওআইএস, ৫এক্স পর্যন্ত অপটিক্যাল জুম ইত্যাদি সবই পেয়ে যাবেন। নিঃসন্দেহে ২০২৪ সালের অন্যতম সেরা ফোন ক্যামেরা পাবেন এই ফোনে।

শাওমি ১২এস আল্ট্রা এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭৩ ইঞ্চি / এলটিপিও২ অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮+ জেন ১
র‍্যাম৮/১২ জিবি
স্টোরেজ২৫৬ জিবি / ৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০.৩ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার৪৮ মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো৪৮ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১২
দাম১,২৩,০০০ টাকা

অ্যাপল আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স – Apple iPhone 14 Pro Max

অ্যাপল আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স – Apple iPhone 14 Pro Max

প্রতি বছর সেরা ক্যামেরা ফোনের তালিকায় অ্যাপলের আইফোন নিশ্চিতভাবেই জায়গা করে নেন। এবছরও অ্যাপল পিছিয়ে নেই ক্যামেরার ক্ষেত্রে। অ্যাপলের আইফোনের মূল শক্তি ভিডিও রেকর্ডিংয়ে। এবারও সেরা ভিডিও রেকর্ডিং এ আইফোনকে হারাতে পারে নি কেউ। তাদের লেটেস্ট মডেলের ফোনটি ৪কে রেজ্যুলেশনে ভিডিও রেকর্ড করতে পারে। অনেকেই ৮কে ভিডিওর সুবিধা না থাকায় হতাশ হলেও অ্যাপলের এই ৪কে ভিডিও কোয়ালিটি হারিয়ে দেবে যে কোন ফোনের ভিডিওকে। পিছনে তিনটি ক্যামেরা রয়েছে ফোনে। মূল ক্যামেরাটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। এছাড়াও আছে ১২ মেগাপিক্সেলের একটি টেলিফটো ও একটি আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা।

প্রতিটি ক্যামেরাই সেরা কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারে। তবে আইফোনের ছবি স্যামসাং ফোনের মতো ন্যাচারাল নয়। তবে অনেকেই আইফোন স্টাইলের ছবি পছন্দ করেন তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবার জন্য। তাই আইফোন পছন্দের ক্যামেরা অনেক ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রেই। সেই সঙ্গে অ্যাপলের ওআইএস সবার থেকে সেরা। তাই দ্রুত গতির কিছুর ছবি নিতে আইফোনটি বেশ পারদর্শী। আর এই আইফোনটির সেলফি ক্যামেরা বরাবরের মতোই সেরা সেলফি তুলতে পারে।

অ্যাপল আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭ ইঞ্চি / এলটিপিও সুপার রেটিনা ওলেড
প্রসেসরঅ্যাপল এ১৬ বায়োনিক
র‍্যাম৬ জিবি
স্টোরেজ১২৮ জিবি/ ২৫৬ জিবি / ৫১২ জিবি / ১ টিবি
মেইন ক্যামেরা৪৮ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার১২ মেগাপিক্সেল টেলিফটো১২ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা১২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৩২৩ মিলিএম্প
সফটওয়্যারআইওএস ১৬
দাম২,০১,৫৯৯ টাকা

শাওমি ১২ প্রো – Xiaomi 12 Pro

শাওমি ১২ প্রো – Xiaomi 12 Pro

২০২২ সালে শাওমির আরেকটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন এটি। এই ফোনের সবকটি ক্যামেরাই এই বছরের সকল ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ক্যামেরার সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম। এই সাথে খুব ভালো সব ফিচার রয়েছে এখানে। পিছনে ৩ টি ক্যামেরা রয়েছে এই ফোনে এবং সব ক্যামেরাই ৫০ মেগাপিক্সেলের। সব রকম অবস্থায় এই মূল ক্যামেরাটি খুব ভালো ছবি তুলতে পারে। এই ফোনের জুম ক্যামেরাটি যদিও ২গুনের বেশি অপটিক্যাল জুম করতে পারে না। এক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ছবির কোয়ালিটিতে ফোনটির কোন ক্যামেরাই পিছিয়ে থাকবে না।

এমনকি ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরাটিও অসাধারন সব সেলফি তুলতে পারে। এছাড়া ভিডিও রেকর্ডিং বেশ ভালো ফোনটির। ৮কে তে ভিডিও রেকর্ড করা যায়। ফোনের স্ট্যাবিলাইজেশন বেশ ভালো হওয়ায় ভিডিও ও ছবি তোলার ক্ষেত্রে খুব ভালো অভিজ্ঞতা পাওয়া যায় ফোনটি থেকে। তিনটি ক্যামেরাই উচ্চ রেজ্যুলুশনের হওয়ায় ছবির কোয়ালিটির ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্যামেরাই ভালো ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

সুতরাং বেশি জুমের ক্ষমতা না থাকলেও ২০২২ সালে বাজারে আসা অন্যতম সেরা ফোন এটি। শাওমি প্রতিনিয়ত তাদের ক্যামেরার প্রসেসিংয়ে উন্নতি করছে। সেই সঙ্গে এই ক্যামেরার ফ্ল্যাগশিপ হার্ডওয়্যার মিলে অসাধারন ক্যামেরার অভিজ্ঞতা দিতে পারে শাওমি ১২ প্রো।

শাওমি ১২এস আল্ট্রা এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭৩ ইঞ্চি / এলটিপিও২ অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১
র‍্যাম৮/১২ জিবি
স্টোরেজ১২৮ জিবি / ২৫৬ জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার৫০ মেগাপিক্সেল টেলিফটো৫০ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৬০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১২
দাম৯৯,৯৯৯ টাকা

সনি এক্সপেরিয়া ১ মার্ক ৪ – Sony Xperia 1 IV

সনি এক্সপেরিয়া ১ মার্ক ৪ – Sony Xperia 1 IV

সনির এক্সপেরিয়া মার্ক সিরিজের ফোনগুলো সবসময় সনির আধুনিক ক্যামেরা প্রযুক্তি নিয়ে আসে। ক্যামেরার সেন্সরগুলো সনি নিজেই তৈরি করে এবং সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ফিচার দেয় যা অন্য ব্র্যান্ডের ফোনে পাওয়া যায় না। এসব মিলিয়েই এক্সপেরিয়া ১ মার্ক ৪ ফোনটি অন্যরকম। পিছনের ৩ টি ক্যামেরাই ১২ মেগাপিক্সেলের। কম মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা হলেও এই ক্যামেরার পারফর্মেন্স পাল্লা দেবে বাজারের যে কোন মোবাইল ক্যামেরার সঙ্গে। ফোন ক্যামেরার মধ্যে সবথেকে ন্যাচারাল ছবি তুলতে পারে সনির এই ফোনটি।

সেই সঙ্গে ক্যামেরায় প্রফেশনাল অনেক ফিচার রয়েছে যা ফটোগ্রাফারদের জন্য খুবই কাজের। ক্যামেরা নিজের মতো করে নিয়ন্ত্রন করে ছবি তোলা যায় এই ফোনে। ৫.২ এক্স পর্যন্ত জুম করতে পারে ফোনটির জুম ক্যামেরা। এছাড়া ওআইএস, ডুয়াল পিক্সেলের মতো প্রিমিয়াম ফিচার তো রয়েছেই। যদিও সনির নিজস্ব কোন নাইট মোড নেই, তবে কম আলোতে বা রাতে এরপরও সেরা কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারে এই ফোন। ভিডিও সেকশনেও বেশ ভালো ফোনটি, ৪কে তে ভিডিও রেকর্ড করা যায়। সামনের সেলফি ক্যামেরাটিও ১২ মেগাপিক্সেলের এবং খুব ভালো পারফর্ম করে থাকে সেলফি তোলার ক্ষেত্রে। 

সব মিলিয়েই সনির এই ফোনটির ক্যামেরা অবাক করা সব ছবি তুলতে সক্ষম। তাই ২০২৪ সালের সেরা ক্যামেরা ফোনের তালিকায় এটি উপরের দিকেই থাকবে।

সনি এক্সপেরিয়া ১ মার্ক ৪ এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৫ ইঞ্চি / ওলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১
র‍্যাম১২ জিবি
স্টোরেজ২৫৬ জিবি / ৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরা১২ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার১২ মেগাপিক্সেল টেলিফটো১২ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা১২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১২
দাম১,৪৯,৯৯০ টাকা

গুগল পিক্সেল ৭ প্রো – Google Pixel 7 Pro

গুগল পিক্সেল ৭ প্রো – Google Pixel 7 Pro

সেরা ক্যামেরা ফোনের তালিকায় গুগলের পিক্সেল সিরিজ সবসময় উপস্থিত থাকে। ২০২২ সালে বাজারে আসা গুগল পিক্সেল ৭ প্রো ফোনটিও এই তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে। এই ফোনের ক্যামেরা মূলত তাদের অসাধারন সব সফটওয়্যার ফিচার ও প্রসেসিংয়ের জন্য বিখ্যাত। এবারও গুগল তাদের সেরা সফটওয়্যার ফিচার দিয়েছে ক্যামেরায়। তাছাড়া ছবি প্রসেস করতে আলাদা চিপ থাকায় গুগলের এই ফোনটি অসাধারন সব ছবি তুলতে পারে খুব দ্রুত। পিছনে তিনটি ক্যামেরা আছে যার মূল সেন্সর ৫০ মেগাপিক্সেলের।

এছাড়া ৪৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স আছে যা ৫ এক্স পর্যন্ত অপটিক্যাল জুম করতে সক্ষম। ১২ মেগাপিক্সেলের একটি আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরাও পাবেন এখানে। পিক্সেলের ক্যামেরায় গুগল অসাধারন সব এআই ফিচার দেয়ায় এই ক্যামেরা থেকে পাওয়া ছবির নিজস্ব একটি স্টাইল রয়েছে যা অনেক ব্যবহারকারী বেশ পছন্দ করে থাকেন। এছাড়া ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রেও গুগল এবছর বেশ উন্নতি এনেছে। তাদের ওআইএস ফিচারটি বেশ ভালো হওয়ায় ছবি ও ভিডিওর অভিজ্ঞতায় অনেকটাই উন্নতি এসেছে এবার।

গুগল পিক্সেল ৭ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭ ইঞ্চি / এলটিপিও অ্যামোলেড
প্রসেসরগুগল টেনসর জি২
র‍্যাম৮ জিবি / ১২ জিবি
স্টোরেজ১২৮ জিবি/ ২৫৬ জিবি / ৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার৪৮ মেগাপিক্সেল টেলিফটো১২ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা১০.৮ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১৩
দাম১,০০,০০০ টাকা

ভিভো এক্স৮০ প্রো – vivo X80 Pro

ভিভো এক্স৮০ প্রো – vivo X80 Pro

ভিভো ক্যামেরার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি এনেছে তাদের ফোনগুলোতে এবং আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এই ফোনটি ২০২২ সালে বাজারে আসা অন্যতম সেরা ক্যামেরা ফোন। পিছনে ভিভো ৪ টি ক্যামেরা দিয়েছে যার মূল সেন্সরটি ৫০ মেগাপিক্সেলের। এছাড়া ৮ মেগাপিক্সেলের প্রেইস্কপ টেলিফটো লেন্স আছে। এই ফোনে দুইটি টেলিফটো লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। দ্বিতীয়টি ১২ মেগাপিক্সেলের গিম্বল ক্যামেরা যুক্ত।

গিম্বল প্রযুক্তির ওআইএস থাকায় ২ এক্স জুমেও আপনি অসাধারন ছবি তুলে ফেলতে পারবেন। গিম্বল ক্যামেরার কারণে স্ট্যাবিলাইজেশনে এই ফোনটি সেরা। এছাড়াও ৪৮ মেয়াগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা আছে একটি। জেইসের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে সেরা ক্যামেরার প্রসেসিং দিচ্ছে ভিভো। ফলে এই ফোনের ক্যামেরার ছবিগুলো পাল্লা দেবে যেকোনো ফ্ল্যাগশিপ ফোনের সাথে। ভিডিওতেও পিছিয়ে নেই এই ক্যামেরা, ৮কে পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন। সেলফি ক্যামেরা রয়েছে ৩২  মেগাপিক্সেলের। 

সব মিলিয়েই ২০২৪ সালের অন্যতম সেরা ক্যামেরা পারফর্মেন্স দেখিয়েছে এই ফোনটি। এতো ফিচারযুক্ত ক্যামেরা ফোন বাজারে খুব একটা নেই বর্তমানে। 

ভিভো এক্স৮০ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭৮ ইঞ্চি / এলটিপিও৩ অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১
র‍্যাম৮ জিবি / ১২ জিবি
স্টোরেজ২৫৬ জিবি / ৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার৮ মেগাপিক্সেল টেলিফটো১২ মেগাপিক্সেল গিম্বল টেলিফটো৪৮ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৭০০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১২
দাম৮০,০০০ টাকা

গুগল পিক্সেল ৬এ – Google Pixel 6a

গুগল পিক্সেল ৬এ – Google Pixel 6a

মিড বাজেটে খুব ভালো ফ্ল্যাগশিপ কোয়ালিটির ক্যামেরা চাইলে বর্তমানে বাজারে এর থেকে ভালো অপশন আর পাবেন না। গুগলের এই ফোনটির ক্যামেরায় আপনি খুব বেশি নজরকারা কিছু না দেখতে পেলেও এর থেকে পাওয়া ছবি দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। গুগল তাদের ছবির প্রসেসিংয়ের জাদু দেখিয়েছে এই ফোনের মাধ্যমে।

পিছনে মাত্র দুটি ক্যামেরা রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের। তবে মেইন ক্যামেরা ও আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা উভয়েই খুব ভালো কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারে যা অনেক ক্ষেত্রে গুগলের নিজস্ব ফ্ল্যাগশিপ মডেলকেও হারিয়ে দিতে সক্ষম। ক্যামেরায় ওআইএস রয়েছে। ফলে খুব ভালো স্ট্যাবিলাইজেশনের এটি ছবি তুলতে সক্ষম। ভিডিওর ক্ষেত্রেও এটি তেমন পিছিয়ে নেই অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ হতে। ৪কে রেজ্যুলেশনে ভিডিও করা যায় এই ক্যামেরা দিয়ে। সেলফি ক্যামেরার ক্ষেত্রে কিছুটা কমতি থাকলেও বেশ ভালো সেলফি পেয়ে যাবেন এর মাধ্যমে। 

কম বাজেটের মধ্যেই গুগলের ফ্ল্যাগশিপ ক্যামেরার ফিচার নিয়ে বাজারে আসা এই ফোনটি অনেকেরই পছন্দের ক্যামেরা ফোন হয়ে উঠেছে। একে ২০২৪ এর অন্যতম সেরা ক্যামেরা ফোন বলা যায় নিঃসন্দেহে।

গুগল পিক্সেল ৬এ এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.১ ইঞ্চি / ওলেড
প্রসেসরগুগল টেন্সর
র‍্যাম৬জিবি
স্টোরেজ১২৮ জিবি
মেইন ক্যামেরা১২.২ মেগাপিক্সেল মেইন শুটার১২ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা৮ মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৪১০ মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১২
দাম৩৮,০০০ টাকা

স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আলট্রা – Samsung Galaxy Note 20 Ultra

স্যামসাং এর গ্যালাক্সি নোট সিরিজে সবচেয়ে বড় ব্লাস্ট ছিলো স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আলট্রা ফোনটি। ২০২৪ সালে এসেও স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আলট্রা ফোনটির জৌলুস এতটুকুও কমেনি।

৫এক্স টেলিফটো, ৫০এক্স হাইব্রিড জুম বা ৮কে ভিডিও নিয়ে সব ক্যামেরা ডিপার্টমেন্টে ২০২০ সালের স্ট্যান্ডার্ডে তো বটেই, এমনকি ২০২৪ সালের অনেক ফোনকেও হারিয়ে দিতে কোনো সমস্যাই হবেনা স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আলট্রা ফোনটির। ফোনটির অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন আর স্টিরিও সাউন্ড রেকর্ড এর অপশন ফোনটিকে একটি কমপ্লিট ক্যামেরা প্যাকেজে পরিণত করেছে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আলট্রা - Samsung Galaxy Note 20 Ultra

স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ২০ আলট্রা এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৯ইঞ্চি ডায়নামিক অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫
র‍্যাম৮জিবি / ১২জিবি
স্টোরেজ১২৮জিবি / ২৫৬জিবি / ৫১২জিবি
মেইন ক্যামেরা১০৮মেগাপিক্সেল মেইন শুটার
১২মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো
১২মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা১০মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৫০০মিলিএম্প
সফটওয়্যারওয়ান ইউআই ৩
দাম১,৩৪,৯৯৯টাকা

অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো – Oppo Find X3 Pro

ক্যামেরা ফোনই যাদের ব্র‍্যান্ড ট্যাগলাইন, সেই কোম্পনির ফোন বিশ্বের সেরা ক্যামেরা স্মার্টফোন এর তালিকায় থাকবেনা, সেটা কি হতে পারে? কথা বলছি অপো কে নিয়ে। অপো’র লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ, অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো এর প্রতিটি ক্যামেরাই এক কথায় অসাধারণ।

আরো জানুনঃ স্মার্টফোন কেনার সময় খেয়াল করবেন যে বিষয়গুলো

তিনটি মেইন ক্যামেরা লেন্সের পাশাপাশি অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো এর ক্যামেরাতে রয়েছে অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট ও ফ্লিকার ডিটেকশন সিস্টেম যা এর ক্যামেরাকে করেছে দিন বা রাত, যেকোনো সময়ে অসাধারণ ছবি তোলার উপযোগী। ফটোর পাশাপাশি অপো ফাইন্ড এক্স ৩ প্রো ফোনটির ক্যামেরা অসাধারণ স্ট্যাবিলাইজেশন ও ফাস্ট অটো ফোকাস এর কারণে ভিডিও ডিপার্টমেন্টেও চমৎকার ফলাফল দিতে সক্ষম।

অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো - সেরা ক্যামেরা ফোন ২০২১

অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭ইঞ্চি / অ্যামোলেড
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮
র‍্যাম৮জিবি / ১২জিবি / ১৬জিবি
স্টোরেজ২৫৬জিবি / ৫১২জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০মেগাপিক্সেল মেইন শুটার
১৩মেগাপিক্সেল টেলিফটো
৫০মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
৩মেগাপিক্সেল মাইক্রোস্কোপিক
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৫০০মিলিএম্প
সফটওয়্যারকালার ওএস ১১
দাম১,০৯,০০০টাকা

আরও জানুনঃ বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্মার্টফোন তালিকা (সবদিক মিলিয়ে)

ওয়ানপ্লাস ৯ প্রো – Oneplus 9 Pro

ওয়ানপ্লাস ৯ প্রো

হ্যাসেলব্লেড ব্রান্ডেড নতুন ক্যামেরা সেন্সর নিয়ে আমাদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ওয়ানপ্লাস ব্র্যান্ড এর ফ্ল্যাশশিপ স্মার্টফোন, ওয়ানপ্লাস ৯ প্রো। অসাধারণ সফটওয়্যার এক্সপেরিয়েস এর জন্য পরিচিত ওয়ানপ্লাস ব্র্যান্ডের এই বছরের ক্যামেরা সেকশনে নতুনত্ব এসেছে। সকল দিক বিবেচনায় ওয়ানপ্লাস ৯ প্রো ফোনটি বিশ্বের সেরা ক্যামেরা ফোনের তালিকায় খুব সহজেই জায়গা করে নিয়েছে।

ওয়ানপ্লাস ৯ প্রো এর স্পেসিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭ইঞ্চি
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ ৫জি
র‍্যাম৮জিবি/১২জিবি
স্টোরেজ১২৮জিবি/১২৮জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০মেগাপিক্সেল মেইন সেন্সর৮মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা৫০মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা২মেগাপিক্সেল মনোক্রম সেন্সর
ফ্রন্ট ক্যামেরা১৬মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৫০০মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১১
দাম৬৬৯ডলার

অ্যাপল আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স – iPhone 12 Pro Max

প্রতিবছরই স্মার্টফোন এর ক্যামেরায় নতুন প্রযুক্তি যোগ করে সবাইকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেয় অ্যাপল। আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স ও ছিলো আইফোন লাইন-আপ এর এমনই একটি সংযোজন। লাইডার সেন্সর এর মত শক্তিশালী প্রযুক্তির যথাযথ কার্যকরীতা আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্সে যোগ করেছে নতুনত্বের ছোয়া।

এই তালিকার অন্যান্য ফোনের সাথে তুলনা করলে সংখ্যায় কিংবা ফিচারে আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্সকে দুর্বল মনে হতে পারে। কিন্তু অ্যাপল কথায় নয়, কাজেই বিশ্বাসী। তারই প্রমাণস্বরূপ দিনের বেলায় ও রাতের অন্ধকারে লো-লাইট অবস্থাতেও আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স খুব সহজেই এর ক্যামেরার খেল দেখাতে সক্ষম। বিশেষ করে আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স এর ভিডিও এর কথা না বললেই নয়, যাতে রয়েছে ডলবি স্টিরিও রেকর্ডিং এর মত অসাধারণ ফিচার।

অ্যাপল আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স - iPhone 12 Pro Max

অ্যাপল আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭ইঞ্চি / সুপার রেটিনা এক্সডিআর ওলেড
প্রসেসরএ১৪ বায়োনিক
র‍্যাম৬জিবি
স্টোরেজ১২৮জিবি / ২৫৬জিবি / ৫১২জিবি
মেইন ক্যামেরা১২মেগাপিক্সেল মেইন শুটার
১২মেগাপিক্সেল টেলিফটো
১২মেগাপিক্সল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা১২মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৩৬৮৭মিলিএম্প
সফটওয়্যারআইওএস ১৪
দাম১,১০,৯৯৯টাকা

হুয়াওয়ে পি৫০ প্রো – Huawei P50 Pro (ভালো ক্যামেরা ফোন ২০২৪)

হুয়াওয়ে এর স্মার্টফোনগুলো সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে উঠেছে মুলত এদের দারুণ ক্যামেরা কোয়ালিটির মাধ্যমে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্বের সেরা ক্যামেরা ফোনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে হুয়াওয়ে এর পি৫০ প্রো ফোনটি। এই ফোনটির সবকয়টি ক্যামেরাই রীতিমতো জাদু দেখাতে সক্ষম।

হয়াওয়ে পি৫০ প্রো এর ক্যামেরা এতোটাই অসাধারণ যে DXOMARK এর স্মার্টফোন ক্যামেরার তালিকায় র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে। যেকোনো কন্ডিশনে মিনিমাম নয়েজ ও ওয়াইড ডায়নামিক রেঞ্জে ফটো তুলতে ও ভিডিও রেকর্ডে সক্ষম ফোনটির প্রাইমারি ও আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা। এছাড়াও প্রায় ন্যাচারাল হোয়াইট ব্যালেন্স ও স্ট্যাবল অটোফোকাস এর সাথে কায্কর ভিডিও স্ট্যাবিলাইজেশন এর মিশ্রণ, হুয়াওয়ে পি৫০ প্রো এর ক্যামেরা এক্সপেরিয়েন্সকে নিয়ে গেছে অনন্য মাত্রায়।

হুয়াওয়ে পি৫০ প্রো - Huawei P50 Pro

হুয়াওয়ে পি৫০ প্রো এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৬ইঞ্চি / ওলেড
প্রসেসরকিরিন ৯০০০
র‍্যাম৮জিবি / ১২ জিবি
স্টোরেজ১২৮জিবি / ২৫৬জিবি / ৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০মেগাপিক্সেল মেইন শুটার
৬৪মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো১৩
মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
৪০মেগাপিক্সেল মনোক্রোম লেন্স
ফ্রন্ট ক্যামেরা১৩মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৩৬০মিলিএম্প
সফটওয়্যারহারমোনি ওএস ২
দাম৮৫,০০০টাকা

ভিভো এক্স৭০ প্রো প্লাস – Vivo X70 Pro Plus

ভিভো এক্স৬০ প্রো প্লাস ফোনটির মাধ্যমে স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে মাথানষ্ট সব স্মার্টফোন ক্যামেরা প্রযুক্তির পরিচয় করিয়ে দেয় ভিভো। এই রেকর্ডকে আরেকটু মজবুত করতে ভিভো এক্স৭০ প্রো প্লাস ফোনটি বাজারে আনে ভিভো।

ভিভো এক্স৬০ প্রো প্লাস এর সকল ফিচারকে নিয়ে একধাপ উন্নত করা হয়েছে এই ফোনটিতে। ইতিমধ্যে রিভিউয়ার, মিডিয়া ও ব্যবহারকারীদের প্রশংসা জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছে ভিভোর এই ফোনটি। ভিভো এক্স৭০ প্রো প্লাস ফোনটির জাইস (Zeiss) অপটিকস ফোনটির ক্যামেরা স্ট্যাবিলজেশনকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

ভিভো এক্স৭০ প্রো প্লাস এর স্পেসিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭৮ইঞ্চি
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮+
র‍্যাম৮জিবি/১২জিবি
স্টোরেজ২৫৬জিবি/৫১২জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা৮মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো ক্যামেরা১২মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা৪৮মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৪৫০০মিলিএম্প
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১১
দাম৯৯৯ডলার

শাওমি মি ১১ আলট্রা – Mi 11 Ultra (সেরা ক্যামেরা ফোন ২০২৪)

শাওমির ফোন মানেই যে শুধু বাজেটে সেরা স্মার্টফোন এর এক্সপেরিয়েন্স নয়, তা শাওমি প্রমাণ করেছে এর শাওমি মি ১১ আলট্রা ফোনটির মাধ্যমে। ফোনটির সবকয়টি লেন্স দ্বারা তোলা আকর্ষণীয় ছবি ও যথাযথ স্ট্যাবিলাইজেশন মি ১১ আলট্রাকে আমাদের সেরা ক্যামেরা ফোনের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে।

আরও জানুনঃ ২০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা স্মার্টফোন

মি ১১ আলট্রা ফোনটিকে ক্যামেরা ডিপার্টমেন্টে শাওমির ট্রাম্প কার্ড বলা চলে। ফটো ও ভিডিওতে অসাধারণ টেক্সচার ও লো নয়েজযুক্ত রেজাল্ট দেখাতে সক্ষম হয়েছে ফোনটি। এছাড়াও এর ফটোতে অটো-ফোকাস ও ভিডিওতে স্মুথ-ট্র‍্যাকিং বেশ ভালোভাবেই কাজ করে। দিন, রাত কিংবা ইন-ডোর, যেকোনো কন্ডিশনে মি ১১ আলট্রা ফোনটি দারুণ এক্সপোজার ও ডায়নামিক রেঞ্জ ধরে রাখতে সক্ষম। ফোনটির ক্যামেরাতে আরো রয়েছে ওয়াইড ফিল্ড ও ভিউ। ছবিতে জুম এর ক্ষেত্রেও বেশ দারুণভাবে কার্যকরী মি ১১ আলট্রা ফোনটি।

শাওমি মি ১১ আলট্রা - Mi 11 Ultra

শাওমি মি ১১ আলট্রা এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৮১ইঞ্চি / অ্যামোলেড ডট
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮
র‍্যাম৮জিবি / ১২জিবি
স্টোরেজ২৫৬জিবি / ৫১২ জিবি
মেইন ক্যামেরা৫০মেগাপিক্সেল মেইন শুটার
৪৮মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো
৪৮মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা২০মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০মিলিএম্প
সফটওয়্যারমিইউআই ১২
দাম৯৫,০০০টাকা

গুগল পিক্সেল ৬ প্রো – Google Pixel 6 Pro

google pixel 6 phone

২০২১ সালের গুগল এর ফ্ল্যাগশিপ, গুগল পিক্সেল ৬ প্রো এর ক্যামেরা সেরা ক্যামেরা ফোনের তালিকায় থাকবে না, তা কেমনে হয়। এই বছরের পিক্সেল ফ্ল্যাগশিপে নতুন প্রসেসরের সাথে এসেছে ক্যামেরা সেকশনে বিশাল আপগ্রেড।

বরাবরই পিক্সেল ফোনে তোলা ছবিগুলো অন্য সব ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর সাথে সমানে সমানে টক্কর দিয়ে আসছে। এই বছরও তার ব্যাতিক্রম নয়। তবে ভিডিও ডিপার্টমেন্টে বেশ উন্নতির জায়গা রয়েছে পিক্সেল ফোনের ক্ষেত্রে। তাই সেরা ক্যামেরা ফোনের তালিকায় ফোনটি এই স্থানে অবস্থান করছে।

পিক্সেল ৬ প্রো এর স্পেসিফিকেশনসঃ

ডিসপ্লে৬.৭ইঞ্চি + ১২০হার্জ রিফ্রেশ রেট
প্রসেসরগুগল টেন্সর
ব্যাক ক্যামেরা৫০মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা
১২মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা
৪৮মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা
ফ্রন্ট ক্যামেরা১১মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা
র‍্যামমোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়
স্টোরেজ১২৮জিবি/২৫৬জিবি/৫১২জিবি
সফটওয়্যারঅ্যান্ড্রয়েড ১২
ব্যাটারি৫,০০৩মিলিএম্প
দাম৮৯৯ডলার

আইফোন ১৩ প্রো সিরিজ – iPhone 13 Pro Series (সেরা ক্যামেরা স্মার্টফোন ২০২৪)

বাড়তি কিছু ফিচার যা বাজারের সকল স্মার্টফোনে থাকলেও আইফোন ১৩ প্রো সিরিজে না থাকায় এটি আমাদের সেরা ক্যামেরা ফোন এর তালিকার শীর্ষ অবস্থান দখল করতে পারেনি। তবে আইফোন ১৩ প্রো সিরিজের আইফোন ১৩ ও আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ফোন দুইটির অসাধারণ ক্যামেরা পারফরম্যান্স যেকোনো অবস্থায় যেকোনো ফোনের সাথে টক্কর দিতে সক্ষম।

আইফোন ১৩ প্রো সিরিজের দুইটি ফোন, আইফোন ১৩ ও আইফোন ১৩ প্রো এর যেকোনো ক্যামেরা ফিচার এর দিকে তাকালে তুলনায় হয়ত এই তালিকার অন্যান্য ফোনের চেয়ে ফোন দুইটি তেমন আহামরি মনে হবেনা। কিন্তু আইফোন ১৩ প্রো সিরিজের ফোনগুলোর রিয়েল ওয়ার্ল্ড পারফরম্যান্স বা ক্যামেরা কোয়ালিটি অন্য যেকোনো ফোনকে হারিয়ে দিতে সক্ষম।

আইফোন ১৩ প্রো এর স্পেসিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৭ইঞ্চি
প্রসেসরঅ্যাপল এ১৫ বায়োনিক
র‍্যাম৬জিবি
স্টোরেজ১২৮জিবি/২৫৬জিবি/১টিবি
মেইন ক্যামেরা১২মেগাপিক্সেল ওয়াইড ক্যামেরা১২মেগাপিক্সেল টেলিফটো ক্যামেরা১২মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা
ফ্রন্ট ক্যামেরা১২মেগাপিক্সেল ক্যামেরা
ব্যাটারিমিলিএম্প
সফটওয়্যারআইওএস ১৫
দাম৯৯৯ডলার/১০৯৯ডলার

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রা – Samsung Galax S21 Ultra (সেরা ক্যামেরা ফোন ২০২৪)

স্যামসাং প্রতিবছরই তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো বাজারে এনে স্মার্টফোন ক্যামেরা ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন স্ট্যান্ডার্ড সেট করে। এই বছরের ধামাকার অংশ ছিলো স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রা ফোনটি। রাত হোক কিংবা দিন, ফটো হোক কিংবা ভিডিও, যেকোনো ক্ষেত্রেই অনবদ্য ক্যামেরা পারফরম্যান্স প্রদান করে আমাদের সেরা ক্যামেরা ফোন এর তালিকা চিনিয়ে নিয়েছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রা ফোনটি।

ফোনটির চারটি অসাধারণ মেইন ক্যামেরা যেকোনো চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতেও কোনো সমস্যা ছাড়াই খুব ভালো ফলাফল প্রদানে সক্ষম। সুপার-ফাস্ট অটো ফোকাস, অসাধারণ ভিডিও ট্র‍্যাকিং ও গিম্বল এর মতো ভিডিও স্ট্যাবিলাইজেশন, ইত্যাদি ফিচার, ভিডিও ডিপার্টমেন্টেও স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রাকে অন্যদের চেয়ে শীর্ষস্থানে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে।

সেরা ক্যামেরা ফোন ২০২১ - স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রা - Samsung Galax S21 Ultra

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রা এর স্পেসিফিকেশনঃ

ডিসপ্লে৬.৮ইঞ্চি / ডায়নামিক অ্যামোলেড ২এক্স
প্রসেসরস্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮
র‍্যাম১২জিবি / ১৬ জিবি
স্টোরেজ১২৮জিবি / ২৫৬জিবি / ১৬ জিবি
মেইন ক্যামেরা১০৮মেগাপিক্সেল মেইন শুটার
১০মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো
১০মেগাপিক্সেল টেলিফটো
১২ মেগাপিক্সেল আলট্রাওয়াইড
ফ্রন্ট ক্যামেরা৪০মেগাপিক্সেল
ব্যাটারি৫০০০মিলিএম্প
সফটওয়্যারওয়ান ইউআই ৩
দাম১,১৯,৯৯৯টাকা

উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত ফোনের দাম কম বা বেশি হতে পারে। আমাদের এই বিশ্বের সেরা ক্যামেরা ফোন এর তালিকায় আপনার পছন্দের ক্যামেরা স্মার্টফোন কোনটি? আপনি কি এগুলোর কোনো একটি camera phone ব্যবহার করেন? আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনে!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,550 other subscribers

5 comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *