আপনি যদি একজন শাওমি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ খবর রয়েছে। আপনি চাইলে উপরের ভিডিওটি প্লে করে দেখতে পারেন অথবা পুরো আর্টিকেলটি এখানে পড়ে নিতে পারেন।
সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস একজন সাইবার সিকিউরিটি গবেষকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শাওমি তাদের ডিফল্ট ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট ব্রাউজিং এর হিস্ট্রি ট্র্যাক করে। এমনকি ইনকগনিটো বা প্রাইভেট মোডেও আপনি যদি কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করেন কিংবা সার্চ ইঞ্জিনে কিছু সার্চ করেন সেগুলোও সংরক্ষণ করে শাওমি।
শাওমি ফোনে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে থাকে মি ব্রাউজার প্রো, এবং তাদের আরেকটি ব্রাউজার রয়েছে যেটির নাম হচ্ছে মিন্ট ব্রাউজার। গুগল প্লে ডেটা অনুযায়ী এগুলো ১৫ মিলিয়নের বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে।
ওই সাইবার সিকিউরিটি গবেষকের মতে শাওমির তৈরি এই ব্রাউজারগুলো দিয়ে ব্রাউজ করার সময় ব্যবহারকারীদের ব্রাউজিং হিস্ট্রি নিজেদের সার্ভারে সংরক্ষণ করে শাওমি। যদিও ইনকগনিটো মোডে ব্রাউজ করার সময় ডিভাইসে কোনকিছুই রেকর্ড থাকার কথা না।
এদিকে ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহার করার কিছু কিছু ডেটা তারা ঠিকই নেয় বলে জানিয়েছে শাওমি, তবে সেগুলো এনক্রিপ্ট করে নেয় এবং এই ডাটা দিয়ে আলাদাভাবে ব্যবহারকারীকে সনাক্ত করার মত কোনো তথ্য তারা নেয় না। অর্থাৎ এই ডেটাগুলো দেখে এর ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না।
কিন্তু ওই গবেষক এর পরে আবার একটি ভিডিওর মাধ্যমে দেখান যে শাওমি প্রাইভেট মোডে ব্রাউজ করার সময়ও ব্রাউজিং হিস্ট্রি নিয়ে নিচ্ছে, তখন শাওমি বলেছে, এরকম এনোনিমাস ডেটা কালেকশন তো একটা সাধারণ ব্যাপার।
তবে যে এনক্রিপশনের কথা শাওমি বলছে ওই গবেষকের মতে এটা দুর্বল একটা এনক্রিপশন পদ্ধতি এবং এটাকে সহজেই পাঠযোগ্য করা যায়। এই ডাটাগুলো কোন ব্যবহারকারীর ডিভাইস থেকে নেয়া হয়েছে সেটাও শনাক্ত করা সম্ভব, যদি শাওমি তাদের মেটাডাটা ব্যবহার করে। তবে শাওমি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবং তারা বলেছে যে, তারা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়, ও স্থানীয় আইন মেনে চলে।
গ্যাবি সার্লিগ নামক ওই সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ প্রথমে তার রেডমি নোট ৮ ফোনে এই বিষয়টি লক্ষ্য করেন। পরে তিনি শাওমি মি ১০, রেডমি কে২০, মি মিক্স ৩ এর ফার্মওয়্যার ঘেঁটে সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, ওগুলো সহ আরও অনেকগুলো শাওমি ফোন এই গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে আছে। এখন দেখা যাক শাওমিএই উদ্বেগ ঘোঁচাতে কী পদক্ষেপ নেয়।
ডিজিটাল জগতে আসলে প্রাইভেসি ব্যাপারটা খুবই অস্পষ্ট। বড় বড় কোম্পানি যেমন অ্যাপল, গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, সবার ব্যাপারেই ব্যবহারকারীদের ডেটার প্রাইভেসি নিয়ে আঙ্গুল উঠেছে। এখন শাওমিও এই তালিকায় যুক্ত হল।
এ ব্যাপারে আপনার কী মতামত? কমেন্টে জানান!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।