বিকাশ নাকি রকেট? কোনটি সেরা, জেনে নিন

রকেট বা বিকাশ এর কথা কারোই অজানা নয়। ইতিমধ্যে আমরা অন্য পোস্টে বিকাশ ও নগদ এর মধ্যে তুলনা করেছি। এই পোস্টে রকেট ও বিকাশ এর মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করা হবে, যা থেকে কোন মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসটি আপনার জন্য অধিক উপযোগী তা জানতে পারবেন।

সেন্ড মানি

বাংলাটেক এর নিয়মিত পাঠকগণ বিকাশ এর একাধিক সেন্ড মানি সুবিধা সম্পর্কে অবগত থাকবেন। প্রিয় নাম্বারে বিনামূল্যে সেন্ড মানি অফারের পাশাপাশি ১০০টাকা বা তার কম টাকা বিকাশ সেন্ড মানি করলে কোনো ধরনের ফি কাটেনা বিকাশ। আবার ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত ৫টাকা ও তার চেয়ে বেশি সেন্ড মানিতে ১০টাকা সেন্ড মানি ফি কাটে বিকাশ।

অন্যদিকে রকেটে দিনে সর্বোচ্চ ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে সেন্ড মানি করা যাবে। তবে রকেট থেকে ডিবিবিএল কোর ব্যাংকিং একাউন্টে বা কার্ড ট্রান্সফার এর ক্ষেত্রে ০.৯% সেন্ড মানি ফি প্রযোজ্য হবে।

মোবাইল রিচার্জ

মোবাইল রিচার্জ এর সুবিধা পেয়ে যাবেন রকেট ও বিকাশ, উভয় মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসে। দেশের সকল অপারেটরের যেকোনো সিম রিচার্জ করা যায় রকেট ও বিকাশ ব্যবহার করে।

ক্যাশ আউট

বিকাশে প্রিয় এজেন্ট নাম্বারে প্রতি মাসে ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত ১.৪৯% চার্জ কাটে ক্যাশ আউট এর ক্ষেত্রে। এছাড়া যেকোনো এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে ১.৮৫% চার্জ কাটে বিকাশ। প্রতি হাজারে ১৮.৫টাকা বিকাশ ক্যাশ আউট ফি প্রযোজ্য অ্যাপ ও ইউএসএসডি, উভয় ক্ষেত্রে।

অন্যদিকে এজেন্ট এর কাছ থেকে ক্যাশ আউট করলে ১.৬৮% ক্যাশ আউট চার্জ কাটে রকেট। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ১৬.৮টাকা ক্যাশ আউট ফি কাটে রকেট। আবার ডিবিবিএল এর শাখা থেকে বা এটিএম থেকে ক্যাশ আউট করলে সেক্ষেত্রে মাত্র ০.৯% ক্যাশ আউট ফি কাটে রকেটে।

👉 সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউটের মধ্যে পার্থক্য জানুন

বিকাশ নাকি রকেট? কোনটি সেরা, জেনে নিন

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

পেমেন্ট

বিকাশ ও রকেট, উভয় সার্ভিস দ্বারা দেশের অসংখ্য মার্চেন্ট পেমেন্ট গ্রহণ করে থাকে। তবে বিকাশ এর অধিক প্রসার এর কারণে রকেটের চেয়ে বিকাশ এর মার্চেন্ট পে করার সুবিধা অনেক বেশি। এর মানে হলো অধিকাংশ স্থানে পেমেন্টে বিকাশ ও রকেট একই হলেও বিকাশ ব্যবহারে পেমেন্টে অধিক সুবিধা পাওয়া যায়।

এড মানি

বিকাশ ও রকেটে টাকা আনার অর্থাৎ এড মানি করার একাধিক উপায় পেয়ে যাবেন। রকেটে এজেন্টের পাশাপাশি ডিবিবিএল শাখা ও এজেন্ট, ইআইএসসি, বাংলালিংক, সিটিসেল ও এয়ারটেল রিটেইল পয়েন্ট এবং গ্রামীণফোন এর মোবিক্যাশ আউটলেট থেকে এড মানি বা ডিপোজিট করা যাবে। এছাড়া ব্যাংক ও ডিবিবিএল ডেবিট কার্ড থেকেও রকেটে টাকা আনা যাবে। অন্যদিকে এজেন্টের পাশাপাশি ব্যাংক ও কার্ড থেকে টাকা আনার সুযোগ রেখেছে বিকাশ। অর্থাৎ এড মানি এর ক্ষেত্রে বিকাশ ও রকেট প্রায় একই ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে।

👉 রকেট একাউন্টের দারুণ কিছু সুবিধা জেনে নিন

পে বিল

গুরুত্বপূর্ণ সকল ইউটিলিটি বিল প্রদান করা যাবে রকেট ও বিকাশ এর মাধ্যমে। উভয় সেবা ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিল প্রদান করা যায় অ্যাপ কিংবা ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে।

সেভিংস

বিকাশ গ্রাহকগণ আইডিএলসি ফাইনান্স, ঢাকা ব্যাংক ও মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর সেভিংস স্কিম এর বদৌলতে বিকাশ সেভিংস ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতি মাসে অটোমেটিক টাকা কেটে তা সেভিংস একাউন্টে জমা হয়। অন্যদিকে বেতন রকেটের মাধ্যমে গ্রহণের সুযোগ থাকলেও বিকাশ এর মত সেভিংস এর কোনো ফিচার এখন পর্যন্ত নেই।

লোন

সিটি ব্যাংক এর মাধ্যমে বিকাশ ৩ মাস মেয়াদী লোন প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ দরকার হলে বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন গ্রাহকগণ। অন্যদিকে রকেট এর ক্ষেত্রে লোন নেওয়ার কোনো সুবিধা নেই।

👉 বিকাশ লোন নেওয়ার উপায় জানুন

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হিসেবে রকেট বা বিকাশ, কোনোটিই পিছিয়ে নেই। এখন এই দুইটি সেবার মধ্যে কোনটি আপনার জন্য অধিক সুবিধাজনক সেটি আপনার নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে। সেক্ষেত্রে উল্লেখিত তথ্যসমূহ ব্যবহার করে বুঝার চেষ্টা করুন উল্লেখিত কোন ফিচারগুলো আপনার অধিক প্রয়োজনীয় ও যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অধিক সুবিধা প্রদান করছে বলে মনে হয় সেটি বেছে নিন।

👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *