সমুদ্রে ভাসমান ডেটা সেন্টার তৈরি করছে গুগল?

google floating data centerবিশ্বের অন্যতম প্রধান “বিগ ডেটা” ব্যবহারকারী গুগল এবার স্থলভাগ ছেড়ে জলে নামতে যাচ্ছে। জলে তো জলে, একদম সমুদ্রে। না, কারও তাড়া খেয়ে নয়, বরং আপনার-আমার ক্রমবর্ধমান তথ্যের চাহিদা মেটাতেই কোম্পানিটির এই উদ্যোগ। অন্তত সিনেট সহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম এটাই বলতে চাচ্ছে। সান ফ্রান্সিসকো সমুদ্রসীমায় সম্প্রতি এক রহস্যময় ভাসমান স্থাপনার সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল প্রকাশিত সিনেটের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সান ফ্রানসিসকো বে’র ট্রেজার আইল্যান্ডে খোঁজ পাওয়া “বিল্ডিং ৩” খুব সম্ভবত গুগলের নতুন ধরনের ভাসমান ডেটা সেন্টার।

এটি একটি চারতলা বিল্ডিং যা প্রধানত সাগরের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এর পানি নিয়ে আভ্যন্তরীণ যন্ত্রপাতি শীতলীকরণের কাজ চলবে। এতে খরচ যেমন কমবে, তেমনি আরও গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হচ্ছে, এটি সরকারী নজরদারী (যেমন এনএসএ) এড়িয়ে থেকে সেবা প্রদান করতে পারবে। কেননা আন্তর্জাতিক জলসীমায় ডেটা সেন্টার রাখলে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে।

শুধু তাই নয়, পোর্টল্যান্ড বন্দরে প্রায় একই কাঠামোর আরও একটি ভাসমান ভবনের দেখা মিলেছে। হতে পারে এটাও গুগলেরই অনুরূপ কোনো প্রোজেক্ট।

পানির ওপর ভাসমান ডেটা সেন্টারের ধারণা এখনই নতুন উদ্ভব হয়নি। আজ থেকে বছর পাঁচেক আগেই ‘ফ্লোটিং ডেটা সেন্টার’এর পেটেন্ট নিয়ে রেখেছে সার্চ জায়ান্ট গুগল। অর্থাৎ, কোনো না কোনো সময় তারা ঠিকই এরকম কিছু তৈরি করতে ইচ্ছুক। এখন দেখা যাক, নতুন আর কী কী তথ্য পাওয়া যায় গুগলের নব্য প্রকাশিত এই রহস্য সম্পর্কে।

ভাসমান ডেটা সেন্টার নিয়ে আপনার কী অভিমত? এটি কীভাবে আমাদের তথ্য-প্রযুক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে? আশা করি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,550 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *