আইফোন ১৫ প্রো ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

সবেমাত্র কিছুদিন হলো আইফোন ১৫ প্রো ও আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স মুক্তি পেয়েছে। এরই মধ্যে ব্যবহার কিংবা চার্জিং এর সময় ডিভাইস অতিরিক্ত গরম হওয়ার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। ফ্ল্যাগশিপ প্রোডাক্টে এই ধরনের সমস্যা হওয়া বেশ বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে কোম্পানিটির জন্য।

এই সমস্যা নিয়ে অ্যাপল অনলাইন ফোরাম, রেডিট ও টুইটার এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে অনেক আলোচনা হচ্ছে।

ব্যবহারকারীগণ জানিয়েছেন গেমিং করার সময়, ফোনে কথা বলার সময় বা ফেসটাইম ভিডিও চ্যাট করার সময় ফোনের ব্যাক সাইড অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে যার কারণে ফোনের ব্যাক সাইড টাচ পর্যন্ত করা যাচ্ছেনা। কিছু ব্যবহারকারী জানিয়েছেন চার্জে থাকা অবস্থায় উক্ত সমস্যা আরো বেশি দেখা যাচ্ছে।

অ্যাপল টেকনিক্যাল সাপোর্ট স্টাফগণ উক্ত সমস্যা নিয়ে কলের জবাব দিয়ে যাচ্ছেন। গ্রাহকদের সমস্যাটির জবাবে তারা একটি পুরোনো আর্টিকেল রেফার করছেন যাতে ফোন অতিরিক্ত গরম ও ঠান্ডা হলে কি করা উচিত সে সম্পর্কে টিপস দেওয়া আছে। উক্ত আর্টিকেলে উল্লেখ রয়েছে ইনটেনসিভ অ্যাপস ব্যবহারের সময়, চার্জিং বা নতুন ডিভাইস প্রথমবারের মত সেটাপ করার ক্ষেত্রে ফোন ওভারহিট হতে পারে। তবে অনেকের ধারণা, আইফোন ১৫ প্রো মডেলের ওজন কমাতে গিয়ে ফোনটির থার্মাল ডিজাইনে কম্প্রোমাইজ করার ফলে ওভারহিটিং হচ্ছে। যদি তাই হয়, সেটা খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়।

অ্যাপল এর অর্ধেক রেভিনিউ আসে আইফোন থেকে, নতুন মডেলগুলো তাই নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই করে বাজারে আনা হয়। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সমস্যা অ্যাপল প্রয়োজন যেভাবে হয় ঐভাবে ঠিক করার চেষ্টা করে সফটওয়্যার আপডেট বা অন্য উপায়ে। সম্প্রতি কিছু আইফোনের মডেলে গ্রিন স্ক্রিন ইস্যুও দেখা গিয়েছে যা ঠিক করতে এগিয়ে এসেছে অ্যাপল। কোনো আইফোন ম্যাস প্রোডাকশনে যাওয়ার আগে অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয় সমস্যা খুঁজে বের করার জন্য।

ডিভাইস গরম হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়, বিশেষ করে মডার্ন গ্যাজেটের সুপারচার্জড প্রসেসরের কথা চিন্তা করলে এটি বেশ স্বাভাবিক। প্রশ্ন হলো এই হিট প্রবলেম সবসময় ঘটছে কিনা ও ডিভাইসকে ব্যবহারের অযোগ্য করে দিচ্ছে কিনা। 

এই সমস্যা আইফোন সেটাপ প্রসেস এর কারণে ঘটতে পারে। ব্যবহারকারীগণ নতুন ফোন সেটাপ করার সময় তাদের সকল অ্যাপ, আইক্লাউড থেকে সকল ডাটা বা ছবি পুনরায় ডাউনলোড করা বেশ দীর্ঘ টাস্ক ও প্রসেসরের উপর বেশ চাপ ফেলে। কিছু ব্যবহারকারীর ভাষ্যমতে ইন্সটাগ্রাম বা উবার এর মত অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকলে সেক্ষেত্রেও এই সমস্যা হতে পারে।

অনেকেই তাদের ডিভাইসের তাপমাত্রা থার্মোমিটার দিয়ে চেক করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করছেন। কেউ লিখেছেন তার আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স সহজে গরম হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে, আবার কেউ জানিয়েছেন ডিভাইস এতো গরম হচ্ছে যে কেস এর মধ্য দিয়েও তা অনুভূত হচ্ছে।

তবে এই সমস্যা সকল ব্যবহারকারীর হচ্ছে না। অন্য আইফোন ১৫ প্রো ব্যবহারকারীগণ জানিয়েছেন তারা এই ধরনের কোনো সমস্যায় পড়েননি। আবার অনেক ব্যবহারকারীগণ বলছেন ফোনে কেস ব্যবহার করেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

iPhone 15 pro

👉 অন্যের ব্যবহৃত আইফোন কেনা কি ঠিক? সুবিধা ও অসুবিধা জানুন

একজন গ্রাহক অভিযোগ করেছেন তার আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স এতো বেশি গরম হয়ে যায়, কলে কথা বলার সময় এটি বন্ধ হয়ে যায় ও পুনরায় চালু হতে বেশ কিছুক্ষণ সময় নেয়। বলে রাখা ভালো অ্যাপলের ডিভাইস ওভারহিট হলে বা সূর্যে বেশিক্ষণ রাখলে সেক্ষেত্রে নিজ থেকে বন্ধ হয়ে যায়।

আইফোন ১৫ সিরিজে রয়েছে USB C সুবিধা। আইফোন ১৫ প্রো ও আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স এ রয়েছে নতুন এ১৭ চিপ ও আরো শক্তিশালী গ্রাফিক্স ইঞ্জিন। গেমিং পারফর্ম্যান্সে সাহায্য করা এই কম্পোনেন্ট এর কারণে ওভারহিট এর সৃষ্টি হতে পারে। আবার ২০১৭ সাল থেকে অ্যাপল স্টেইনলেস-স্টিল ডিজাইন ব্যবহার করে আসছিলো যা নতুন আইফোন প্রো মডেলে এসে টাইটানিয়াম ফ্রেমে পরিবরতিত হয়।

লেটেস্ট আইফোন ১৫ এর কেস এ ব্যবহৃত FineWoven ম্যাটেরিয়াল সম্পর্কেও অভিযোগ আসছে। অ্যাপল এর পরিবেশবাদী মন্ত্রের অংশ এই ফ্যাব্রিক এর কারণে ফোনে স্ক্র‍্যাচ বেশি পড়ছে ও বেশ সহজে ময়লাও হয়ে যাচ্ছে। দেখার বিষয় হলো নতুন আইফোন প্রো মডেলের এই সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে অ্যাপল কি পদক্ষেপ নেয় কিংবা আদৌ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিনা।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *