বাংলাদেশে সিম কিনতে হলে এনআইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা আবশ্যক। এনআইডি কার্ড ছাড়া কোনো অপারেটর এর সিম কেনা সম্ভব নয়। একজন ব্যক্তি চাইলে একাধিক সিম কিনতে পারেন তার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে। তবে একজন ব্যক্তি তার এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে সর্বোচ্চ কয়টি সিম কিনতে পারবেন তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বিটিআরসি। এই পোস্টে একজন কয়টি সিম কিনতে পারবে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
একজন ব্যাক্তি সর্বোচ্চ কয়টি সিম কিনতে পারবে?
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন দেশের সিম নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড সেট করে থাকে। একজন ব্যক্তি সর্বাধিক কয়টি সিম কিনতে পারবেন সেক্ষেত্রে বিটিআরসি’র নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
একজন গ্রাহক সিম নিতে চাইলে অবশ্যই ১৭ডিজিটের জাতীয় পরিচপত্র ও ১০ডিজিটের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট করতে হবে (যার যেটা আছে)। প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম কিনতে পারবেন।
১৫টির বেশি সিম থাকলে কি হবে?
উল্লেখ্য যে ১৫টির অধিক সিম কোনো ব্যক্তির নামে মালিকানা থাকলে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিটিআরসি প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী অতিরিক্ত সিম বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচাতে চাইলে সেক্ষেত্রে ১৫ অক্টোবর, ২০২২ এর মধ্যে বাড়তি সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করতে হবে। মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিস কেয়ার সেন্টার থেকে সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করা যাবে।
এসএমএস নোটিশ পেলে কি করবেন?
যেসব গ্রাহকের নামে ১৫টির অধিক সিম রেজিস্টার করা আছে, তাদের কাছে এসএমএস নোটিশ যাবে। যেহেতু একটি এনআইডি কার্ডের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নেওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। যাদের নামে ১৫টির অধিক সিম মালিকানাভুক্ত আছে, শুধুমাত্র তাদের কাছে মেসেজ যাবে।
মেসেজ পেলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অতিরিক্ত সিমের মালিকানা পরিবর্তন করে ফেলুন অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখের আগে। সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিস কেয়ার সেন্টার থেকে।
সিম এর মালিকানা পরিবর্তন না করলে সেক্ষেত্রে ১৫টির অতিরিক্ত সিমগুলোর নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে, যার মানে হলো উক্ত সিমগুলো আর ব্যবহার করা যাবেন। তবে মালিকানাভুক্ত কোন নাম্বারগুলো বাতিল হবে তা সম্পর্কে জানার সুযোগ নেই, তাই এইক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় নাম্বারটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আবার আপনি যদি সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করতে না চান, সেক্ষেত্রেও একটি সমাধান রয়েছে। চাইলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিস কেয়ার সেন্টারে গিয়ে আপনার অপ্রয়োজনীয় নাম্বার ডিরেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। কোনো সিম ডিরেজিস্ট্রেশন করার পর উক্ত নাম্বার আর আর আপনার নামে নিবন্ধিত থাকবেনা এবং বন্ধ হয়ে যাবে।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
👉 এক NID দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা সকল সিম যাচাই করার উপায়
👉 সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় জানুন
“একজন ব্যাক্তি কয়টি সিম কিনতে পারবে?” এই প্রশ্নের উত্তর বেশ ভালোভাবে জানতে পারলাম আমরা এই পোস্টে। চলুন একনজরে আবার দেখে নেওয়া যাক কি কি জানলাম এই পোস্ট থেকে।
- সিম কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই এনআইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে
- একজন ব্যক্তির নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম এর মালিকানা থাকতে পারে
- কোনো ব্যক্তির নামে ১৫টির অধিক সিম থাকলে সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সিমগুলো বন্ধ হয়ে যাবে
- অতিরিক্ত সিম সচল রাখতে অক্টোবর ১৫, ২০২২ এর আগে সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করুন
- সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করা যাবে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার সার্ভিস কেয়ার সেন্টারে গিয়ে
- সিম এর মালিকানা পরিবর্তন না করলে উক্ত ব্যক্তির নামে রেজিস্টার্ড থাকা অতিরিক্ত যেকোনো সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে
- অতিরিক্ত সিম এর মালিকানা পরিবর্তন করতে না চাইলে সেক্ষেত্রে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে সিম ডিরেজিস্টার্ড করতে পারবেন
আপনার কি ১৫টির বেশি সিম আছে? বাড়তি সিম নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী? কমেন্টে জানান!
👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।