আপনার কাছে যদি আইফোন বা অন্য কোনো অ্যাপল ডিভাইস থাকে, তাহলে আইক্লাউড লক বা আইক্লাউড আনলক কথাগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে থাকবেন হয়ত। মূলত এই ফিচারটি আইফোনে অ্যাক্টিভেশন লক হিসেবেও পরিচিত। এর ফলে আইফোন, আইপ্যাড, ও আইপড টাচ ডিভাইসগুলো একটি নির্দিষ্ট আইক্লাউড একাউন্টে লগিনের জন্য আটকে থাকে।
এই আইক্লাউড লক ফিচারটি মূলত আইফোন, আইপ্যাড প্রভৃতি ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। এই ফিচারের কারণে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি যাওয়া আইফোন বা অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইস মালিক ব্যতীত অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারেনা।
তবে কি করবেন যদি আপনার হাতের আইফোনটি আইক্লাউড লক হয়ে যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক আইফোন ও অ্যাপল ডিভাইসসমুহের আইক্লাউড লক খোলার নিয়ম বা আইক্লাউড আনলক করার উপায়।
আইক্লাউড লক কি?
প্রতিটি নতুন আইফোন সেটাপের ক্ষেত্রে একটি অ্যাপল আইডি থাকা ও সেটা দিয়ে আইফোনে লগিন করা শ্রেয়। অ্যাপল প্রদত্ত সকল সার্ভিস যথাযথভাবে ব্যবহার করতে ব্যবহারকারীদের অ্যাপল আইডি এর প্রয়োজন হয়। আইফোনে অ্যাপল আইডিতে সাইনইন না করলে আপনি কোনো অ্যাপ ইনস্টল করতে পারবেন না।
নতুন আইফোন সেটাপ করার সময় “ফাইন্ড মাই আইফোন” সেটিং চালু করে দিলে ফোনের ইউনিক ডিটেইলস অ্যাপল সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। এরপর ওই আইফোনটি ওই এপল আইডি এর সাথেই সংযুক্ত হয়ে যায়।
এরপর ফোনটি কেউ চুরি করে অথবা কিনে নিয়ে রিসেট করে চালাতে চাইলে তখন স্ক্রিনে এক্টিভেশন লক লেখা উঠবে। তখন অ্যাপল আইডি পাসওয়ার্ড অথবা ফোনের পাসকোড ছাড়া ঐ আইফোন আনলক করা যায়না। এছাড়া উক্ত অ্যাপল আইডির মালিক দূর থেকেই আইক্লাউড সাইটে লগিন করে অথবা ফাইন্ড মাই অ্যাপ ব্যবহার করে ফোনটি ফরম্যাট করে এক্টিভেশন লক করে দিতে পারেন।
এই অবস্থাকে আইক্লাউড লক হয়ে গিয়েছে বলে আখ্যা দেওয়া হয়। সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আগে এজন্য অবশ্যই ফোন থেকে আইক্লাউড লক মুছে নিয়ে ফোন রিসেট করে নিয়ে আসতে হবে।
আইক্লাউড লক এর কারণ
অনেকেই মনে করেন যে অ্যাকটিভেশন লক হয়ে গিয়েছে মানে উক্ত আইফোন চুরি করা। তবে বাস্তবিক পক্ষে ব্যাপারটি সেরকম না। অ্যাক্টিভেশন লক অনেক ভাবেই চালু হয়ে যেতে পারে। যেসব কারণে আইফোনে আইক্লাউড লক বা এক্টিভেশন লক হতে পারেঃ
- ফোন রিসেট করার আগে ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচারটি বন্ধ না করলে
- ফোন রিসেট করার আগে অ্যাপল আইডি একাউন্ট লগ আউট করতে ভুলে গেলে
- আইফোন আনলক করার পাসকোড ভুলে গেলে এবং রিকভারি মোডে ফোনটি রিসেট করার চেষ্টা করলে
- অ্যাপল অ্যাকাউন্ট ডিসেবল হয়ে গেলে
উল্লিখিত কারণসমুহের ক্ষেত্রে আপনার আইফোন আইক্লাউড লক হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ব্যবহৃত আইফোন কেনার ক্ষেত্রে এই সমস্যায় পড়তে হয়।
তবে একটি ফোন আইক্লাউড লক মানেই অনেক সময় সম্ভাবনা থাকে ফোনটি চুরি করা ফোন হওয়ার। আর আপনি যার কাছ থেকে আইফোন কিনবেন, সে যদি আসলে মালিক হয় তাহলে আইক্লাউড লক তো খুলতে পারছেন।
আরো জানুনঃ আইক্লাউড কি? অ্যাপল আইক্লাউডের সুবিধা কি?
ব্যবহৃত আইফোন কেনার আগে অবশ্যই উক্ত আইফোন বিক্রেতার অ্যাপল অ্যাকাউন্ট ওই আইফোন থেকে লগ আউট করে ফোন রিসেট করুন। এক্ষেত্রে আপনি যে আইফোন কিনতে যাচ্ছেন, সেটির আইক্লাউড লক হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। অ্যাপল আইডিতে সাইন ইন করা না থাকলে অথবা আইফোনের ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচার বন্ধ থাকলে ফোনটি আইক্লাউড লক হবেনা।
আইক্লাউড লক খোলার উপায়
অ্যাক্টিভেশন লক মূলত মোবাইল চুরি ঠেকাতে ব্যবহৃত হয়। আইফোনে ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচারটি চালু থাকলে এই অ্যাক্টিভেশন লক ফিচারটি চালু হয়ে যায়। এই ফিচারটি চালু করার পর উক্ত ডিভাইস বাইরের কেউ রিসেট করতে পারবেনা, অন্য একাউন্ট দিয়ে ডিভাইসটি অ্যাক্টিভ করতে পারবে না বা অ্যাপল আইডি এর ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড ছাড়া ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচারটি বন্ধ করতে পারবে না।
আপনার হাতে থাকা আইফোন যদি আইক্লাউড লক হয়ে যায় ও আপনার ডিভাইসে লগিন থাকা অ্যাকাউন্টের লগিন ডিটেইলস আপনার জানা থাকে সেক্ষেত্রে খুব সহজেই ইমেইল/ফোন নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করে আইক্লাউড লক অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কোনো আইফোন, আইপ্যাড অথবা অন্য কোনো অ্যাপল ডিভাইস আইক্লাউড লক হয়ে গেলে সেই ডিভাইসের স্ক্রিনে অ্যাক্টিভেশন লক কথাটি লেখা থাকবে। আইফোন যদি অ্যাক্টিভেশন লক হয়ে যায়, তাহলে স্ক্রিনে Activation Lock লেখা উঠবে। এমতাবস্থায় অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইনইন করলেই অ্যাক্টিভেশন লক ছাড়ানো যাবে। অর্থাৎ আইক্লাউড আনলক করা যাবে। এটা খুবই সহজ একটা প্রক্রিয়া।
Activation Lock লেখা স্ক্রিনেই অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড ফিল্ডের নিচে আরেকটি অপশন পাবেন যেখানে লেখা আছে Unlock with passcode. অর্থাৎ, এই অপশনের মাধ্যমে ফোনের পাসকোড জানা থাকলে সেই পাসকোড দিয়েও অ্যাক্টিভেশন লক খোলা যাবে।
আরো জানুনঃ মোবাইলের লক ভুলে গেলে কিভাবে খুলব
যদি অ্যাপল আইডি-পাসওয়ার্ড অথবা পাসকোড জানা না থাকে?
আপনার অ্যাপল একাউন্টের লগিন এর তথ্য জানা না থাকলে তা রিসেট করে নিতে পারেন অন্য ডিভাইস ব্যবহার করে। এছাড়াও অন্য কোনো ডিভাইসে একই আইক্লাউড একাউন্ট লগিন করা থাকলেও সেটি ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড রিসেট করে আইক্লাউড লক খুলতে পারবেন। লগিন থাকা ফোন থেকে আইক্লাউড পাসওয়ার্ড রিসেট করতেঃ
- ফোনের Settings অ্যাপ এ প্রবেশ করুন
- একাউন্টের নামের উপর ট্যাপ করুন
- Password and Security তে ট্যাপ করুন
- Change Password এ ক্লিক করে স্ক্রিনে দেখানো পরবর্তী নির্দেশনা অনুসরণ করে পাসওয়ার্ড রিসেট করুন।
এছাড়া অন্য ডিভাইস থেকে ব্রাউজারের মাধ্যমে https://iforgot.apple.com/password/verify/appleid লিংক ভিজিট করে অ্যাপল আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন। এরপর এক্টিভেশন লক আনলক করতে পারবেন।
সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরাতন আইফোন আইক্লাউড লক থাকলে কী করব?
অনেকে অন্যের কাছ থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কিনে থাকে। সেক্ষেত্রে বিক্রেতা যদি অ্যাপল আইডি থেকে সাইন আউট না করে অথবা ফাইন্ড মাই আইফোন ফিচারটি বন্ধ না করে তাহলে আইক্লাউড লক সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিভাবে আইক্লাউড লক খুলবেন, সেটাও জেনে নিই চলুন।
এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আইফোনের আগের মালিকের আইক্লাউড একাউন্ট এর লগিন তথ্য জানা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আগে যার কাছে আইফোনটি ছিলো তার করণীয়ঃ
ফোনের মালিক যদি ফোনের নিকটে থাকেঃ
তাকে আইফোনের সেটিংস মেন্যুতে প্রবেশ করতে বলুন। সেটিংস মেন্যুর একদম উপরের দিকে অ্যাপল আইডি অপশন থাকে। নিচের স্ক্রিনশট দেখুন।
সেখানে ক্লিক করলে অ্যাপল আইডি মেন্যু ওপেন হবে। সেই মেন্যুর একদম নিচের দিকে সাইন আউট অপশন পাবেন। সেখানে ক্লিক করে ফোন থেকে অ্যাপল আইডিটি সাইন আউট করিয়ে নিন।
এসময় ওই অ্যাপল আইডির পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে। পাসওয়ার্ড না দিতে পারলে সাইন আউট করা যাবেনা। অ্যাপল আইডি থেকে সাইন আউট করলে ওই ডিভাইসে এক্টিভেশন লক আর চালু থাকবেনা। ফলে এক্টিভেশন লকও খুলে যাবে। এসময় ফোনটি রিসেট করে আবার নতুনের মত ব্যবহার করা যাবে।
আরও জানুনঃ আইফোন কেন এত দামি ও জনপ্রিয়?
ফোনের মালিক যদি ফোনের নিকটে না থাকেঃ
ফোনের মালিক যদি আইফোনটিকে তার অ্যাপল আইডি থেকে রিমুভ না করেই বিক্রি করে দেয় তাহলে ফোনটি নতুন ক্রেতা ভালভাবে ব্যবহার করতে পারবেনা। ফোন বিক্রেতাকে এজন্য তার অ্যাপল আইডি থেকে ফোনটি রিমুভ করে দিতে হবে। এতে করে নতুন মালিক অর্থাৎ ক্রেতা তার সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনে নিজের অ্যাপল আইডি দিয়ে সাইন ইন করতে পারবে।
ফোনের মূল বা পুরাতন মালিক দূরে থাকলে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলুন যাতে করে ফোনটি আইক্লাউড আনলক হয়ে যায়।
- iCloud.com এ গিয়ে অ্যাপল একাউন্টে লগিন করতে হবে
- Find My iPhone এ প্রবেশ করুন
- All Devices এ ক্লিক করুন
- যে ডিভাসটির এক্টিভেশন লক হয়ে গেছে সেটিতে ক্লিক করে Erase iPhone এ ক্লিক করতে হবে (এক্ষেত্রে ফোন থেকে সকল ডেটা মুছে ফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট হয়ে যাবে। আপনি যদি ফোনের ডেটা রাখতে চান তাহলে Erase না করলেও হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী স্টেপে চলে যান। এই ফিচারটি কাজ করার জন্য আইফোনটি ইন্টারনেটে যুক্ত থাকতে হবে।)
- আইক্লাউড একাউন্ট সেটিংস থেকে অল ডিভাইসেস সেকশনে গিয়ে আইফোনটি রিমুভ করে দিতে হবে
- এর ফলে উক্ত আইফোন থেকে পুরাতন মালিকের অ্যাপল আইডি এবং এক্টিভেশন লক মুছে যাবে
ফোনের পূর্ববর্তী মালিক যদি উল্লিখিত নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করে, তবে iCloud Lock হওয়া আইফোনটি রিস্টার্ট করলেই লক খুলে যাবে। এভাবে সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনে আইক্লাউড লক হয়ে গেলেও যার কাছ থেকে কেনা হয়েছে সে দূরে থাকলেও খুব সহজেই এক্টিভেশন লক খোলা যাবে।
এক্টিভেশন ক হয়ে যাওয়া আইফোনে লগিন থাকা অ্যাপল একাউন্টে লগিন করার কোনো উপায় যদি না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার হাতে করার কিছুই নেই। অ্যাক্টিভেশন লক একটি অত্যন্ত শক্তিশালী টুল ও এটি ভেদ করাও সহজ নয়। তাই ব্যবহৃত আইফোন কেনার আগে অবশ্যই তার আইক্লাউড আনলক করা আছে কিনা, সেটি নিশ্চিত করুন।
আরো জানুনঃ ব্যবহৃত আইফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো যাচাই করতে হবে
মনে রাখবেন, পাসকোড দিয়ে এক্টিভেশন লক খোলা গেলেও ফোনের অ্যাপল আইডি যদি আপনার নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে যেকোনো সময় আইফোনটি লক হয়ে যেতে পারে। তাই আপনার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আইফোনে যদি কোনো অ্যাপল আইডি সাইন ইন করা থাকে, তাহলে সেটার নিয়ন্ত্রণ যেন আপনার কাছেই থাকে। তা না হলে অন্য কেউ যেকোনো সময় আপনার ফোনটি দূর থেকে ফরম্যাট করে লক করে দিতে পারবে যা আপনার পক্ষে আর উদ্ধার করা সম্ভব হবেনা। এমনকি তখন আগের পাসকোডেও আর কাজ হবেনা।
তবে আপনি যদি আইক্লাউড লক হওয়া ফোনের ক্রেতা হয়ে থাকেন ও ফোনটি অ্যাপল এর অথোরাইজড স্টোর থেকেই কেনা হয়, সেক্ষেত্রে ফোনটির মালিকানা সম্পর্কিত যথাযথ প্রমাণসহ অথোরাইজড অ্যাপল স্টোরে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি যদি ফোন এর মালিকানা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে অ্যাপল টেক সাপোর্ট এর সাহায্যের আশা করা যেতে পারে।
আইক্লাউড/এক্টিভেশন আনলক ওয়েবসাইট
আইক্লাউড আনলক বা এক্টিভেশন লক খোলা নিয়ে গুগল সার্চ করলে দেখতে পাবেন অসংখ্য ওয়েবসাইট ও ফোরাম সাইটে আইক্লাউড লক বাইপাস করার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই তো নিজেদের সেবাকে “অফিসিয়াল” বলে দাবি করতেও ভয় করেনা।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব সার্ভিস ভুয়া হয়ে থাকে ও টাকা নিয়ে প্রতারণা করে। আইক্লাউড লক হওয়া আইফোনের অ্যাক্টিভেশন লক খুলতে বা এই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান করতে হলে অবশ্যই আগে লগিন থাকা অ্যাপল আইডি এর লগিন তথ্য জানা থাকতে হবে।
অবশ্য এরই মধ্যে কিছু ওয়েবসাইট বা টুল আছে, যেগুলো সীমিতভাবে অ্যাক্টিভেশন লক বাইপাস করতে সক্ষম। তবে এই অ্যাক্টিভেশন লক বাইপাস করার চক্করে অ্যাপল এর সাথে ফোনের কানেকশন নড়বড়ে করে ফেলে অনেকেই।
যার ফলে ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেওয়া সময়, রিসেটের পর ফোন অ্যাক্টিভ করা কিংবা অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এসব সমস্যার কারণে আইক্লাউড লক সাময়িকভাবে এড়াতে পারলেও ফোন ব্যবহার করে তেমন সুবিধা পাওয়া যায়না।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।