মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ডুব’ সিনেমার নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন? হ্যাঁ, আমি সেই ছবিটির কথাই বলছি, অনেকে যেটি নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবনী নিয়ে নির্মিত মুভি বলে মনে করেন। যদিও, সিনেমাটির পরিচালক এটি বায়োপিক বলতে নারাজ, এবং হুমায়ূন আহমেদের জীবনী বলেও কখনো দাবী/স্বীকার করেননি। বহু চরাই-উৎরাই পার হয়ে এবছর সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে জানা যায়, ডুব মুক্তি পাচ্ছে ২৭ অক্টোবর ২০১৭। মুক্তির ঠিক এক মাস আগে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর ডুব এর ট্রেলার মুক্তি পেলো ইউটিউবে।
দুটি পরিবারের একক কর্তাব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবার দুটির অনুভূতি নিয়ে ডুব সিনেমার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। মধ্যবয়স্ক একজন লেখক এক তরুণীর প্রেমে পড়েন এবং এরপর লেখকের সংসারে যে প্রতিক্রিয়া ও ঘটনার জন্ম নেয় সেসব নিয়েই ডুব- অন্তত এখন পর্যন্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো এটাই বলছে।
ডুব চলচ্চিত্রের প্রধান ভাষ্য এরকম “মৃত্যু সবসময় সব কিছু নিয়ে যায় না, অনেক সময় কিছু দিয়েও যায়।”
ট্রেলারের ব্যাকগ্রাউন্ড কমেন্ট্রিতে বলতে শোনা যায়, “তিনি ছিলেন কৌতূহলী একজন মানুষ। এই কৌতূহলই হয়ত তাকে টেনে নিয়েছিল প্রেমের জটিল উদ্যানে।“
লেখক জাভেদের চরিত্রে অভিনয় করা ইরফান খানকে এ পর্যায়ে ইংরেজিতে রাগন্বিতভাবে বলতে শোনা যায় “যাও, যাও যাও (Go)”।
সিনেমার প্রধান চরিত্রের রূপদাতা ইরফান খান (লেখক) ফোনে তার সন্তানকে বলছেন, “কেমন আছো বাবা?”
ট্রেলারের পরের দৃশ্যে লেখকের মেয়ের ভূমিকায় থাকা তিশা বলছেন “আজকের পর থেকে তুমি তোমার ছেলে এবং মেয়ের কোনো রকম কোনো খবর পাবা না।
ব্যাকগ্রাউন্ড কমেন্টেটর আবারো বলেন “তিনি তার মেয়েকে কাঁদিয়েছেন, কখনো নতুন প্রেমের আক্ষেপের কারণ হয়েছেন।“
এ পর্যায়ে লেখকের সেই তরুণী প্রেমিকাকে আক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরের দৃশ্যে লেখকের প্রথম স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করা রোকেয়া প্রাচীকে দেখানো হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড কমেন্টেটর বলতে থাকেন “কখোনো অন্যের আশাভঙ্গের বেদনা হয়েছেন।
কখনো নিজেই নিজেকে নিয়ে খেলা করে ভালোবাসার দেবালয় ছেড়ে এসেছেন অবলীলায়।“ এরপর লেখকের ছন্নছাড়া জীবন দেখানো হয়, যেখানে ড্রিংকসের বোতলও থাকে।
স্ক্রিনে লেখা ওঠে “কিন্তু ভালোবাসা কখোনোই তাকে ছেড়ে যায়নি।“ স্ক্রিনে ভেসে আসে মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। ব্যাকগ্রাউন্ডে বলা হয় “মৃত্যুতে ভালোবাসার নতুন চারা ডানা মেলেছে।“
লেখকের সন্তানদের সাথে তার স্মৃতিগুলো ভেসে আসে পর্দায়।
জাভেদ নামের এই লেখকের কবর কোথায় হবে তা নিয়ে প্রথম পক্ষের সাথে (তিশাকে দেখানো হয়) কারো কোনো একটা মতভেদ চলছে বলে ট্রেলারে মনে হলো।
দ্বিতীয় স্ত্রীর কিছু মতভেদের সংকেতও দেখানো হয় ট্রেলারে।
এর আগে সিনেমার এক পর্যায়ে তিশা ও পর্ণো মিত্রকে পাশাপাশি বসা দেখা যায়, যেখানে কেউ কারো দিকে তাকাচ্ছিল না। বোঝাই যাচ্ছিল, পর্ণো মিত্র যে চরিত্রের রূপদান করেছেন, সেটি কিছুটা বিব্রত ছিল।
এই সবকিছু নিয়েই আসছে ডুব। আগামী ২৭ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে ডুব, যার নামের ওপর লেখা আছে ‘নো বেড অব রোজেস’; জীবন কোনো পুষ্পশয্যা নয়- এই প্রবাদের অংশবিশেষ ডুব সিনেমার নামের সাথে শোভা পাচ্ছে।
ডুব সিনেমায় কি আসলেই বহুমাত্রিক প্রতিভাধর ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদের জীবনের ছায়া আছে? সেই প্রশ্নের উত্তর ঠিক করবেন দর্শকরা। চলচ্চিত্রটি নিয়ে সবার আগ্রহ বহুগুণে বাড়িয়ে দিল এই ট্রেলার। নিচে ট্রেলারটি এমবেড করে দেয়া হল।
ক্রেডিটঃ এই পোস্টে ডুব এর ট্রেলার থেকে নেয়া স্ক্রিনশট ব্যবহার করা হয়েছে, যা সিনেমাটির প্রযোজক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল থেকে পাওয়া।
ডুব নিয়ে আপনার কী মতামত? কমেন্টে জানানোর অনুরোধ রইল।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।