ফর্কড এন্ড্রয়েড নিয়ে দুশ্চিন্তা?

আমাদের ব্লগের নিয়মিত পাঠক হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই জানেন, বিশ্বের ৮৫% স্মার্টফোনেই এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে। এটা গুগলের জন্য বিরাট সুখবর। কিন্তু এর মধ্যেই কিছুটা চিন্তার বিষয়ও রয়েছে।

এবিআই রিসার্সের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মে থেকে জুলাই মাসে মোট বিক্রীত স্মার্ট ডিভাইসের প্রায় ২০% ওএস হচ্ছে ফর্কড এন্ড্রয়েড। অর্থাৎ এই ২০ শতাংশ ডিভাইস মূল এন্ড্রয়েড ব্যবহার না করে নির্মাতা কোম্পানির কাস্টমাইজড ভার্সনে চলে। সুতরাং এগুলোর ওপর গুগলের তেমন কোনও শক্ত নিয়ন্ত্রণ নেই। এরা অফিসিয়ালি গুগল প্লে স্টোর সাপোর্ট করেনা।

এভাবে যদি ফর্কড এন্ড্রয়েড ব্যবহার বেড়ে চলে তাহলে প্লে স্টোর থেকে গুগলের আয় প্রত্যাশার চেয়ে কমে যাবে। কেননা, ফর্কড ভার্সনে সাধারণত ডিভাইস নির্মাতা ওইএম (অরিজিনাল ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) কোম্পনির নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন স্টোর জুড়ে দেয়া হয়। আর যেহেতু প্লে স্টোরে প্রাপ্ত এপ্লিকেশনের বিক্রয়মূল্য ও তাতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন থেকে গুগল অর্থ আয় করে থাকে, তাই এন্ড্রয়েডে প্লে স্টোর না থাকলে সেটা গুগলের জন্য হতাশাজনকই বটে।

নকিয়া এক্স সিরিজের স্মার্টফোনেও ফর্কড এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে। অবশ্য নকিয়াকে কিনে নিয়ে মাইক্রোসফট এখন এক্স সিরিজ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেট এবং এমনকি অ্যামাজনের ফায়ার ফোনেও ফর্কড এন্ড্রয়েড ব্যবহার করা হচ্ছে। আর চীনের এরকম অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা এন্ড্রয়েডের হেভি-কাস্টোমাইজড (ফর্কড) ভার্সন ব্যবহার করে থাকে।

তবে এত সহজে ছেড়ে দেবেনা গুগল। স্টক/অফিসিয়াল ওএস ব্যবহারের শর্তে ‘এন্ড্রয়েড ওয়ান’ প্রোগ্রামের আওতায় সস্তায় স্মার্টফোন দিতে বিভিন্ন হার্ডওয়্যার কোম্পানির সাথে একত্রে কাজ করছে ওয়েব জায়ান্ট। এখন দেখা যাক, কেমন জমে ফর্কড এন্ড্রয়েড বনাম গুগলের এন্ড্রয়েড লড়াই।

আপনার কী মনে হয়? ফর্কড ঝুঁকি এড়িয়ে এন্ড্রয়েডের ওপর গুগলের একক নিয়ন্ত্রণ থাকবে তো?

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,148 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.