নকিয়া বাটন মোবাইল ২০২৪

সাধারণ ব্যবহারের জন্য কিংবা সেকেন্ডারি ফোন হিসাবে বাটন মোবাইল খুঁজছেন? দেখতে পারেন নকিয়া বাটন ফোন। চলুন জেনে নেয়া যাক, নকিয়া বাটন মোবাইল এর দাম, ফিচার, ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত।

নকিয়া ১২৫

125

নকিয়া ১২৫ কম দামে নকিয়ার স্টাইলিশ একটি বাটন ফোন। ফোনটির আউটলুক দেখলে আপনার ভালো লেগে যাবে নিশ্চিত। সামনে আছে বড় সুন্দর বাটন এবং একটি ২.৪ ইঞ্চির কিউভিজিএ কালার ডিসপ্লে। ফোনটিকে দীর্ঘ সময় টিকবার মতো করেই তৈরি করা হয়েছে। ফোনটির ডিজাইন পুরোপুরি নতুন এবং আধুনিক। লম্বা সময় কথা বলা কিংবা ব্যাকাপ ফোন হিসেবে নিখুঁত একটি ফোন এটি। 

ফোনে পাবেন এফএম রেডিও এর সুবিধা। সাথে একটি হেডফোন পোর্টও রয়েছে। ১০২০ মিলিএম্পের ব্যাটারি থাকায় ফোনটি সহজে দীর্ঘসময় চালু থাকবে। নকিয়ার মতে ২৩ দিনের স্ট্যান্ডবাই এবং ১৯ দিনের টকটাইম দিতে পারে এই ফোনটি। ফোনের পিছনে পাবেন একটি উজ্জ্বল টর্চ। এছাড়া ফোনের মধ্যে প্রিলোডেড বিভিন্ন ক্ল্যাসিকাল গেমসও পাওয়া যাবে। 

ফোনটি মাইক্রোইউএসবি ব্যবহার করে চার্জে দেয়া যায়। এছাড়া ভিতরে ২০০০ কন্ট্যাক্ট ও ৫০০ এসএমএস সেভ করে রাখার মতো মেমরিও দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ফোনটি দীর্ঘদিন আপনাকে সেবা দিতে পারবে। দেশের বাজারে ফোনটি কিছুটা কম পাওয়া যায়। ফোনের দাম ৪০০০ টাকা। সাদা, নীল এবং কালো এই তিন রঙে পাওয়া যাচ্ছে নকিয়া ১২৫।

নকিয়া ২১৫ ৪জি

৪ জি ইন্টারনেট সেবা নেয়া যায় নকিয়ার এমন ফোনগুলোর মধ্যে এটি সবথেকে সাশ্রয়ী। ফোনের বিশেষত্ব হচ্ছে বাটন ফোন হয়েও এখানে ৪জি ব্যবহার করে ক্রিস্টাল ক্লিয়ারভাবে কথা বলা সম্ভব। এছাড়া ফোনের আউটলুক ও ডিজাইনও বেশ সুন্দর। হাতে ধরে বেশ আরাম পাবেন এই ফোনটিকে। ফোনের সামনে বড় সুন্দর বাটন ও ২.৪ ইঞ্চি কিউভিজিএ কালার ডিসপ্লে পেয়ে যাবেন। এই ডিসপ্লে ব্রাইট এবং সুন্দর। ফোনের সবথেকে আকর্ষণীয় ফিচার এর ৪জি নেটওয়ার্ক সুবিধা।

215 4G

এর মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং ভোএলটিই সুবিধা পাবেন। ফলে কলের ক্ষেত্রেও পাবেন স্পষ্ট নেটওয়ার্ক। দুটি সিমেই একই সঙ্গে ৪জি পাবেন। ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ব্রাউজার, ফেসবুকের মতো বেশ কিছু অ্যাপও রয়েছে। এছাড়া ক্ল্যাসিক গেমগুলো খেলে বন্ধুদের সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্কোর শেয়ার করবার অপশন রাখা হয়েছে। 

ফোনে ব্যাটারি রয়েছে ১১৫০ মিলিএম্প। দীর্ঘক্ষণ এই ব্যাটারি সহজেই ফোনটিকে সচল রাখতে পারে। ফলে লম্বা সময় কথা বলা বা নেট ব্রাউজ করতে আরাম পাবেন। এছাড়া এফএম রেডিও, টর্চ ইত্যাদি বিভিন্ন ফিচারও পাওয়া যাবে এখানে।

দেশের বাজারে ফোনটির বর্তমান মূল্য ৫,৯৯০ টাকা। ফোনটি পাওয়া যায় দুটি রঙেঃ কালো ও সায়ান।

নকিয়া ২৬৬০ ফ্লিপ

2660 Flip

গত বছর বাজারে আসা নকিয়ার নতুন এই স্টাইলিশ ফ্লিপ ফোনটি আগের ফ্লিপ ফোন যারা পছন্দ করেন তাদের ভালো লাগতে বাধ্য। শুধু ফ্লিপ নয়, আরও বিভিন্ন রকম ফিচার দিয়ে ফোনটি ভরপুর। আর দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ এবং ব্যবহার করে বাড়তি আরাম তো থাকছেই!

ফোনটি পুরোপুরি ডুয়াল সিম ৪জি সাপোর্টেড একটি ফোন। ফ্লিপ ফোন হওয়ায় এখানে আছে দুটি ডিসপ্লে। ভিতরের মূল ডিসপ্লেটি ২.৮ ইঞ্চির একটি কিউভিজিএ কালার ডিসপ্লে। আর ফোনের বাইরে ছোট ১.৭৭ ইঞ্চির একটি ডিসপ্লে রয়েছে যেখানে সময় ও তারিখের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখা যাবে। ফোনের সামনে ০.৩ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা ও ফ্লাশের সুবিধাও রয়েছে। ফোনে ব্লুটুথ, এফএম রেডিওর সাপোর্ট আছে।

১৪৫০ মিলিএম্পের ব্যাটারি থাকায় দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যায়। নকিয়ার মতে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত টকটাইম সহজেই পাওয়া যাবে এই ফোন থেকে। এছাড়া মাইক্রো ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ করা যাবে ফোনটি। আছে মাইক্রোএসডি কার্ডের সুবিধাও। অনেকগুলো ক্ল্যাসিক গেমস ভিতরে প্রিলোড করা রয়েছে এই ফোনে।

এই ফ্লিপ ফোনটির বর্তমান বাজারমূল্য ৬,৯৯০ টাকা। ফোনটি পাওয়া যায় অনেকগুলো কালারে। এগুলো হলঃ পপ পিংক, লাস গ্রিন, রেড, ব্ল্যাক এবং ব্লু।

নকিয়া ৫৭১০ এক্সপ্রেস অডিও

5710 XA

নকিয়ার ক্ল্যাসিক বাটন ফোন এক্সপ্রেস মিউজিকের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? এবার নকিয়া এই ক্ল্যাসিক ফোনের নতুন একটি ডিজাইন নিয়ে এসেছে যেটি গান বা অডিও শুনবার জন্যই আলাদা করে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি আগের মতোই একটি বাটন ফোন হলেও এর পিছনে লুকানো আছে একটি ওয়্যারলেস ইয়ারবাড!

ফোনের ডিজাইনের সাথে মিল পাবেন নকিয়ার ক্ল্যাসিক এক্সপ্রেস মিউজিক সিরিজের। ফোনের সামনে প্রয়োজনীয় বাটন ও ২.৪ ইঞ্চির কালার ডিসপ্লে থাকলেও এই ফোনের মূল আকর্ষণ লুকানো রয়েছে এর পিছনে। পিছনে একটি স্লাইডারের মাধ্যমে ফোনের উপরের অংশেই লুকানো রয়েছে দুটি ছোট ইয়ারবাড। এই ফোনটি এই ইয়ারবাডের কেস হিসেবে কাজ করে এবং যখন ব্যবহার করা হয় না তখন ফোন থেকেই চার্জ নিয়ে নেয়। যখন ইচ্ছা এই ইয়ারবাড বের করে কানে লাগিয়ে গান শোনা শুরু করে দেয়া যায়! ফোনে আছে আলাদা মিউজিক প্লেয়ার এবং মেমরি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা। ফলে নিজের গান স্টোর করে রাখা যায়। এছাড়া ৪জি কানেক্টিভিটি থাকায় ইন্টারনেটও ব্যবহার করা যায় সহজে। ব্লুটুথ এবং এফএম রেডিও সুবিধাও পাবেন ফোনের সাথে।

ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪৫০ মিলিএম্পের বড় ব্যাটারি। লম্বা সময় ব্যাটারি ব্যাকাপের মাধ্যমে গান শুনতে পারবেন আপনি। এছাড়া ফোনে কথা বলার ক্ষেত্রেও বাড়তি আরাম ও সুবিধা পাবেন এই ফোনে। বিভিন্ন গেমস ও ডেডিকেটেড মিউজিক কীও পাবেন ফোনের পাশে।

ফোনটির বর্তমান মূল্য ৭,৪৯০ টাকা। ফোনটি পাবেন দুটি রঙেঃ কালো ও সাদা।

নকিয়া ৮২১০

8210

নকিয়ার ক্ল্যাসিক ফোনের ডিজাইন থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই ফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে। বড় স্ক্রিন আর ক্ল্যাসিক ডিজাইন দিয়ে ফোনটি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় স্থান পাবে। সাথে আছে আরও অনেকরকম ফিচার।

২.৮ ইঞ্চির কালার ডিসপ্লের সাথে বড় বাটন ফোনটির ব্যবহারকে সহজ করেছে। আছে ডুয়াল সিম ৪জি কানেক্টিভিটি। এই ফোনের ৪জি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার ও ৪জি কল খুব স্মুথলি করা যায়। ইউনিসকের চিপ থাকায় ফোন খুব দ্রুত সব কাজ করে ফেলতে পারে। ফোনের সামনে ০.৩ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরাও রয়েছে। এছাড়া এমপিথ্রি প্লেয়ার, এফএম রেডিও, ব্লুটুথের মতো অনেক ফিচারও উপস্থিত ফোনে।

১৪৫০ মিলিএম্প ব্যাটারি থাকায় ফোনে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত টকটাইম পাওয়া সম্ভব। সেই সঙ্গে পাওয়া যাবে মাইক্রোএসডি কার্ড, টর্চ, বাড়তি গেমস ইত্যাদি অনেকরকম ফিচার। ফোনটির গ্রিপ ও ডিজাইন আপনাকে পুরনো দিনের নকিয়া ফোনের কথা মনে করিয়ে দেবে। ফোনটি বেশ শক্ত গড়নের এবং লম্বা সময় সেবা দেবে বলে আশা করা যায়।

নকিয়া ৮২১০ এর বর্তমান মূল্য ৬,৪৯০ টাকা। ফোনটি তিনটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এগুলো হলঃ স্যান্ড, ডার্ক ব্লু এবং রেড।  

নকিয়া ১০৫+

nokia 105 plus

নকিয়া ১০৫ ফোনের একটি আপগ্রেডেড ভার্সন এটি। নকিয়ার একদম কম দামের ফোন ১০৫ থেকে এই ফোনে কিছু ফিচার বেশি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে আরও বড় ব্যাটারি। ফলে ফোনটি দিয়ে আরও বেশি সময় কথা বলা যায়। এই ফোনের অন্যতম একটি ফিচার হচ্ছে এতে থাকা ওয়্যারলেস রেডিও।

ডিভাইসটির মাধ্যমে আপনি সারাদিন রেডিওতে খবর, গান ইত্যাদি উপভোগ করতে পারবেন। আছে এম্পি৩ প্লেয়ার। ফলে চাইলে গানও শুনতে পারবেন নিজের ইচ্ছামতো। স্টোরেজ বাড়ানোর জন্য মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট আছে যেখানে ৩২ জিবি পর্যন্ত কার্ড সাপোর্ট করে। ফলে যারা গান বা ওয়াজ শুনতে পছন্দ করেন এই ফোন তাদের জন্য বেশ ভালো হবে। হেডফোন জ্যাকও রয়েছে ফোনটিতে। ফোনে ১০০০ মিলিএম্প ব্যাটারি রয়েছে যা এই ফোনের জন্য বেশ বড়। ফলে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত টানা কথা বলতে পারবেন।

১৮ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাইও থাকতে পারে ফোনটি। চার্জ হতেও বেশ কম সময় লাগে, মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট ব্যবহার করে চার্জ হতে ফোনটি মাত্র ১.৫ ঘণ্টা সময় নেয়। স্টাইলিশ ডিজাইন হওয়ায় ফোনটি হাতে নিয়েও বেশ আরাম পাবেন। ফোনটি বেশ শক্তভাবে তৈরি করায় সহজে নষ্ট হবার ভয় নেই। ১.৭৭ ইঞ্চির কালার ডিসপ্লেও আছে ফোনটিতে। ফোনটি বাজারে মাত্র ২,২৫০ টাকাতে পাওয়া যাচ্ছে। ফিচার ফোনটির দাম হিসেবে ফিচার ও অন্যান্য সকল কিছুই বেশ মানানসই। তাই এই ফোনটি নিলে বেশ ভালো সেবা পাবেন বলেই আশা করা যায়। 

নকিয়া ১০৬

নকিয়া ১০৬ একদম এন্ট্রি লেভেলের একটি ফিচার ফোন যেখানে খুব ব্যাসিক কিছু ফিচার রয়েছে। ফোনটি তৈরি করা হয়েছে বহুদিন যাতে টেকে সেরকমভাবেই। ফলে বয়স্ক মানুষ কিংবা যারা স্মার্টফোন ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না তাদের জন্য এটি হতে পারে একদম পছন্দের ফোন। তাছাড়া কথা বলার জন্য ব্যাকাপ ফোন হিসেবেও এটি বেশ ভালো হতে পারে। এই বাটন ফোনটিতে আলাদা তেমন কোন ফিচার নেই। আছে ১.৮ ইঞ্চির কিউভিজিএ ডিসপ্লে যার মাধ্যমে মেসেজ ও প্রয়োজনীয় জিনিস সহজেই দেখতে পারবেন। ক্ল্যাসিক নোকিয়া ফিচার ফোনের মতো ডিজাইন হওয়ায় যারা পুরনো মোবাইল ফোন পছন্দ করেন তাদের বেশ মজা লাগবে এই ফোন ব্যবহার করে।

ফোনটির মধ্যে ৪ মেগাবাইট স্টোরেজ আছে আপনার মেসেজ ও কন্টাক্টগুলো সংরক্ষন করে রাখতে। ৪ মেগাবাইট র‍্যাম থাকায় ফোনটি তেমন ল্যাগ করবে না। সবথেকে ভালো ব্যাপার এই ফোন চার্জ করার জন্য আছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট। ফলে সহজেই এটি চার্জ করতে পারবেন। 

nokia 106

৮০০ মিলিএম্প ব্যাটারি থাকায় এর ব্যাটারি ব্যাকাপ খুব ভালো। নকিয়ার মতে এই ফোনে আপনি একটানা ১৫ ঘণ্টা কথা বলতে পারবেন। ২১ দিনের স্ট্যান্ডবাই টাইমও দেবে বলে অফিসিয়ালি জানিয়েছে নোকিয়া। তবে এতক্ষন না পেলেও ফোনটি যে অনেকক্ষণ চার্জ না দিয়েই ব্যবহার করা যাবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাই এই ফোনটি ব্যাকাপ ফোন হিসেবে বেশ ভালো একটি পছন্দ হতে পারে।

ফোনটি বাজারে ২,১৯৯ টাকায় পাওয়া যায়। এটি এই দামে খুব ভালো ও টেকসই একটি ফোন। ফোনটির ডিজাইন দেখলে পুরানো নকিয়া ফোনের কথা মনে পড়ে যাবে আপনার। তাই এ ধরণের ফোন ভালো লাগলে নিশ্চিন্তে নিয়ে নিতে পারেন এটি। 

নকিয়া ১৩০

নকিয়া ১৩০

বাটন ফোনে অল্প দামেই ক্যামেরা চাইলে তাদের জন্যই এই ফোন। সুন্দর ও টেকসই ডিজাইনের ফোনটি নকিয়া বাজারে আনার পর বেশ সারা ফেলেছে মূলত এর ফিচারগুলোর জন্য। ডুয়াল সিমের এই ফোনে দেয়া আছে ক্যামেরা ছাড়াও আরও বেশ কিছু ভালো ফিচার।

ফোনটির ১.৮ ইঞ্চির কালার ডিসপ্লে বেশ ভালো, তবে ফোনের পিছনে ভিজিএ ক্যামেরাই এই ফোনকে অন্য বাটন ফোন হতে আলাদা করেছে। ছোটখাটো মুহূর্তের ছবি চাইলেই তুলে ফেলা যাবে ফোনটিতে। আছে ৪ মেগাবাইট র‍্যাম ও ৮ মেগাবাইট স্টোরেজ। তবে এতে এসডি কার্ড স্লট থাকায় আপনার ছবিগুলো চাইলে সেখানেও সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন। ৩২ জিবি পর্যন্ত মেমরি কার্ড সাপোর্ট করবে ফোনটি। মেমরি কার্ড থেকে চাইলে নিজের পছন্দের গানগুলোও শুনতে পারবেন এই ফোনে। আছে এম্পি৩ প্লেয়ারের সুবিধা। এছাড়া বিল্ট ইন এফএম রেডিও আছে ফোনে। ফোনটিতে ব্লুটুথ থাকায় ফাইল শেয়ারিং বেশ সহজ। চাইলে ব্লুটুথ স্পিকারের সঙ্গে কানেক্ট করে গান শুনতে পারবেন সরাসরি এই ফোন হতেই।

ফোনে আছে ১০২০ মিলিএম্পের রিমুভেবল ব্যাটারি যা প্রায় যা ২ থেকে ৩ দিন আপনাকে সহজেই ব্যাকাপ দিতে পারবে। এছাড়া মাইক্রো ইউএসবি চার্জ পোর্ট থাকায় চার্জ হতেও খুব বেশি সময় লাগে না ফোনটিতে।

সুতরাং ব্যাকাপ বা গান শুনতে একটি ফোন নিতে চাইলে এটি খুব ভালো একটি ফোন হতে পারে আপনার জন্য। বাজারে ফোনটি ২,৮৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দাম হিসেবে এই ফোনটির ফিচার বেশ ভালো এবং পছন্দ হবার মতো।

নকিয়া ২১০

নকিয়া ২১০

বাটন ফোনেই ইন্টারনেট সেবা দিতে নকিয়া বাজারে এনেছে ২১০ মডেলের এই ফোনটি। ফোনটি ২জি সাপোর্ট করে এবং ভেতরে থাকা ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে আপনি সহজেই ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারবেন। যদিও স্মার্টফোনের যুগে এসে ফিচার ফোনের ২জি ইন্টারনেট খুব একটা কাযে লাগে না, তবুও যারা সল্প বাজেটে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চান তাদের জন্যই এই সুযোগ রেখেছে নকিয়া।

ফোনের ২.৪ ইঞ্চি কালার ডিসপ্লে থাকায় ব্যবহার সহজ হয়ে গেছে। ফোনটি ডুয়াল সিম সাপোর্ট করে। সিম দিয়ে ২জি ইন্টারনেট পাবেন। ফোনের মধ্যেই অপেরা মিনি ওয়েব ব্রাউজার রয়েছে। ফলে সহজেই এই ব্রাউজার দিয়ে ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করা যাবে। তাছাড়া আলাদা ফেসবুক অ্যাপ আছে যা দিয়ে ফেসবুকে প্রবেশ করে নোটিফিকেশন চেক করে নিতে পারবেন। তবে এতে থার্ড পার্টি কোন অ্যাপ ইন্সটলের সুবিধা নেই।

এছাড়াও ফোনের পিছনে ভিজিএ ক্যামেরা থাকায় আপনি টুকিটাকি ছবিও তুলতে পারবেন। পিছনে ফ্ল্যাশলাইটও রয়েছে। আছে এফএম রেডিও ও এম্পি৩ সুবিধাও। এসডি কার্ড ব্যবহার করে ৩২ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়িয়ে নিতে পারবেন এবং আপনার ছবি ও গান সংরক্ষন করতে পারবেন।

১০২০ মিলিএম্প ব্যাটারি আছে ফোনে যা ২০ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই থাকতে পারে বলে জানিয়েছে নকিয়া। এছাড়া এর ডিজাইন করা হয়েছে এমনভাবে যেন অনেকদিন এই ফোন ব্যবহার করা যায়। 

বাজারে ৩,০৯০ টাকায় এই ফোনটি পাওয়া যায়। সুতরাং এই ফোনের ফিচারগুলো যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে তবে দাম অনুযায়ী এটি বেশ ভালো একটি ফোন হতে পারে।

নকিয়া ২২৫ ৪জি

nokia 225 4g

বাটন ফোন হলেও এই ফোনের ডিজাইন একদম প্রিমিয়াম কোয়ালিটির। দেখতে স্টাইলিশ এবং টেকসই এই ফোনে ৪জি দিয়েছে নকিয়া। বাটন ফোনে ৪জি থাকায় এর কল কোয়ালিটি একদন ক্লিয়ার এবং এছাড়াও বেশ কিছু বাড়তি ফিচারও আছে এই ফোনে।

৪জি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন এই ফোনে। দেয়া আছে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এবং ইন্টারনেট ব্রাউজার। তবে এই ফোনেও নকিয়া থার্ড পার্টি কোন অ্যাপ ইন্সটলের সুবিধা রাখে নি। ২.৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকায় ফোনে বেশ সহজেই সকল তথ্য দেখতে পাবেন। ডুয়াল সিম সুবিধা আছে এবং দুটি সিমেই ৪জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া এফএম রেডিও ও ব্লুটুথ ৫.০ এর সুবিধাও আছে ফোনে। এম্পি৩ প্লেয়ার থাকায় প্রিয় গানগুলো শুনতে পারবেন সহজেই।

ফোনের পিছনে আছে ০.৩ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা যা দিয়ে টুকিটাকি ছবি তুলতে পারবেন, তবে ছবি খুব ভালো হবে না। ছবি ও গান সংরক্ষন করতে চাইলে মাইক্রোএসডি স্লট ব্যবহার করে ৩২ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজও বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ ১২৮ মেগাবাইট এবং র‍্যাম রয়েছে ৬৪ মেগাবাইট। ফোনের প্রসেসরে ইউনিসকের চিপসেট দেয়াই ফোনটি বেশ রেস্পন্সিভ।

ফোনের ব্যাটারি দেয়া হয়েছে ১১৫০ মিলিএম্প যা রিমুভেবল। ফোনটি দিয়ে একদিন ব্যাকাপ অনায়াসে পেয়ে যাবেন। নকিয়ার মতে ফোনটি ১৯ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই থাকতে পারে। চার্জ দিতে আছে মাইক্রোইউএসবি পোর্ট।

ফোনটি বাজারে ৪,১৯৯ টাকায় পেয়ে যাবেন। এই দামে ৪জি ফিচারসহ ফোন বাজারে খুব কম পাওয়া যায়। তাই যদি ৪জি বাটন ফোন নিতে চান এই ফোন আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।

নকিয়া ২৩০

nokia 230

নকিয়ার এই বাটন ফোনটি মূলত সামনে ও পিছনে উভয়পাশে ক্যামেরা রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। কম দামে বাটন ফোন এবং চলনসই সেলফি ও ছবি তুলতে চান কথা মাথায় রেখেই এই ফোন বাজারে এনেছে নকিয়া। তাছাড়া ডিসপ্লে একটু বড় দেয়া হয়েছে ফোনটিতে যাতে ছবি, গেম সহজে দেখা ও খেলা যায়।

এই ফোনের পিছনে ও সামনে উভয় পাশে ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দেয়া আছে। ফলে চাইলে সেলফি তুলতে পারবেন এই ফোন থেকে। এই ফোনের ২.৮ ইঞ্চির স্ক্রিনে এই ছবি বেশ ভালো দেখাবে। তবে আধুনিক স্মার্টফোনের ছবির মতো ছবি পাবেন না এই ফোন থেকে। ফোনের ক্যামেরার সঙ্গে এলইডি ফ্ল্যাশও দেয়া হয়েছে।

এই ফোনে ২জি কানেকশনে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাও রাখা হয়েছে। ফোনের মধ্যে অপেনা মিনি, বিং সার্চ এবং এমএসএন ওয়েদার অ্যাপ রয়েছে। তাই ছোটখাটো সার্চ বা আবহাওয়ার তথ্য জেনে নিতে পারবেন সহজেই। ফোনে ভিডিও প্লেব্যাক ও গান সোনার সুবিধাও রয়েছে। ছবি, ভিডিও, গান সংরক্ষণের জন্য মাইক্রো এসডি স্লট রয়েছে।

ফোন ব্লুটুথ কানেকশন, এফএম রেডিওর মতো কিছু ফিচারও রয়েছে। ফোনটি দেখতে বেশ প্রিমিয়াম এবং স্টাইলিশ। ফোনে দেয়া হয়েছে ১২০০ মিলিএম্পের ব্যাটারি। ফলে সারাদিন এটি ২ দিনের মতো ব্যাকাপ দিতে পারবে সহজেই।

এই সকল সুবিধাসহ ফোনটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৫,১০০ টাকায়। যাদের প্রিমিয়াম লুকিং ফিচার ফোনের দরকার তারা ফোনটি পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।

নকিয়া ৬৩১০

নকিয়া ৬৩১০

নকিয়ার ক্লাসিক ৬৩১০ মডেলের ফোনের মতো করেই এই বাটন ফোনটি আধুনিক সুবিধার সাথে ডিজাইন করা হয়েছে। তাই যারা আগে এই মডেলের ফোনটি পছন্দ করতেন তাদের কাছে এটি বেশ আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। ফোনটি বানানো হয়েছে বেশ প্রিমিয়ামভাবে। তাই হাতে ধরেও বেশ আরাম পাবেন।

ফোনের পিছনে ০.৩ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা আছে ফ্ল্যাশ সহ। ফোনে ২.৮ ইঞ্চির স্ক্রিনের কারণে ফোনটি ব্যবহার করে মজা পেতে পারেন। ফোনে ব্লুটুথ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এম্পি৩ ও এফএম রেডিওর সাপোর্ট রয়েছে। এসডি কার্ড স্লট থাকায় মাল্টিমিডিয়া সহজেই সংরক্ষন করে রাখতে পারবেন স্টোরেজ বাড়িয়ে।

ফোনে ১১৫০ মিলিএম্প ব্যাটারি আছে যা রিমুভ করা যায়। ফোনটি সহজেই কয়েকদিন ধরে সেবা দিতে পারবে, তাই ব্যাকাপ ফোনের দরকার হলে এটি বিবেচনা করতে পারেন আপনি। তাছাড়া ইউনিসকের প্রসেসর, ৮ মেগাবাইট স্টোরেজ ও ১৬ মেগাবাইট মেমরি থাকায় ফোনটি বেশ স্মুথভাবে কাজ করতে পারে।

এই ফোনটি বাজারে ৫,৪৯৯ টাকায় পাওয়া যায়। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এই বাটন ফোনটি কিছু ভালো ফিচার দিচ্ছে যা দাম হিসেবে চলনসই।

নকিয়া ৮০০০ ৪জি

নকিয়া ৮০০০ ৪জি

নকিয়ার একদম প্রিমিয়াম বাটন ফোন এটি। ফিচার রিচ এই ফোন ৪জি সাপোর্ট করে। সেই সঙ্গে এতে কাইওএস থাকায় স্মার্টফোনের অনেক ফিচারও এই ফোনে পাওয়া যায়। আছে থার্ড পার্টি বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করার সুবিধাও।

ফোনটির বিল্ড বেশ স্টাইলিশ ও প্রিমিয়াম, হাতে নিয়ে বেশ ভালো আরাম পাবেন। ২.৮ ইঞ্চির এলসিডি ডিসপ্লে থাকায় ফোনের সকল তথ্য বেশ ভালোভাবে দেখা যায়। ডুয়াল সিমে ৪জি পাবেন এই ফোনে। ৪জি থাকায় ইন্টারনেট গতিতেও এটি বেশ ভালো। তাছাড়া ওয়াইফাই থাকায় ওয়াইফাইয়ে সংযুক্ত হয়েও ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্রাউজের সাথে বিভিন্ন অ্যাপ এই ফোনে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। যেমনঃ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ম্যাপস ইত্যাদি। ব্রাউজিং করতে পারবেন যে কোন ওয়েবসাইট। কাইওএস এর অ্যাপ স্টোর থেকে নিজের ইচ্ছামতো অ্যাপ বা গেমসও ইন্সটল করে নিতে পারবেন সহজেই। 

ফোনের পিছনে ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আছে যার মাধ্যমে চলনসই ছবি তুলতে পারবেন। ফোনের মধ্যে ৪ জিবি স্টোরেজ রয়েছে, তবে মাইক্রোএসডি স্লট থাকায় ৩২ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া ৫১২ মেগাবাইট র‍্যামও আছে। ফোনটি বেশ দ্রুত কাজ করে এবং স্মার্টফোনের মতো বেশ কিছু ফিচারও রয়েছে।

ব্লুটুথ, এফএম রেডিওর মতো ফিচারের সাথে আছে ওয়াইফাই হটস্পটের মাধ্যমে ইন্টারনেট শেয়ার করার সুবিধাও। ১৫০০ মিলিএম্প রিমুভেবল ব্যাটারি থাকায় আপনি বেশ ভালো ব্যাটারি ব্যাকাপ পেতে পারেন এই ফোন থেকে। জিপিএস দেয়া আছে ফোনে। এছাড়া মাইক্রোইউএসবি ও হেডফোন জ্যাকের পোর্টও আছে।

বাজারে ফোনটির মূল্য ৮,৯৯৯ টাকা। এই দামে বাজারে পুরো স্মার্টফোন পাওয়া যায়। তবে এই ফোনটি অনেকটাই বিলাসিতা ও ব্যাকাপ ফোন হিসেবে ভালো কাজ করতে পারে। প্রাইমারি ফোন হিসেবে এটি না কেনাই ভালো। বাটন ফোনে এতো ফিচার আর কোন ফোনে পাবেন না। তাই পছন্দ হলে এই প্রিমিয়াম বাটন ফোনটি কিনে নিতে পারেন।

নকিয়া ১০৫ – কম দামে নকিয়া বাটন মোবাইল

বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে কম দামে যে নকিয়া বাটন ফোনটি পাওয়া যায়, সেটি হলো নকিয়া ১০৫ মডেল। দেশের যেকোনো স্থানেই সাধারণ মোবাইল শপ কিংবা সার্ভিসিং এর দোকানে ফোনটি পাওয়া যাবে। নকিয়া ১০৫ ফোনটির দাম হলো ১,৫০০ টাকার মত।

নকিয়া ১০৫ এ থাকছেনা কোনো ৩জি বা ৪জি সুবিধা। ফোনটি ২জি প্রযুক্তি দ্বারাই চালিত। ফোনটির মধ্যে থাকা ৮০০মিলিএম্প এর ব্যাটারি ব্যবহার করে ১৪ঘন্টার উপরে কথা যাবে। ফোনটিতে রয়েছে ১.৭৭ইঞ্চির একটি ডিসপ্লে।

নকিয়া ১০৫ বাটন ফোনটিতে নেই কোনো ক্যামেরা। তবে ফোনটিতে রয়েছে কিছু ইন-বিল্ট গেমস ও অতি প্রয়োজনীয় এফএম রেডিও।

নকিয়া বাটন মোবাইল - নকিয়া ১০৫

এছাড়াও নকিয়া ১০৫ ফোনটিতে ব্লুটুথ ফিচারও রয়েছে। ফোনটি ডুয়াল সিম সাপোর্টেড। আপনি যদি সবচেয়ে কম দামে নকিয়া বাটন ফোন কিনতে চান, তাহলে এটি হতে পারে আপনার অন্যতম পছন্দ। ফোনটি আকারে ছোট এবং ব্যবহারে বেশ সুবিধাজনক।

নকিয়া ১১০ – সুলভ নকিয়া বাটন ফোন

নকিয়া ১০৫ এর চেয়ে বাজেট কিছুটা মাত্র বাড়ালেই পেয়ে যাবেন ডুয়াল সিম এর আরেক নকিয়া বাটন ফোন, নকিয়া ১১০। এই ফোনটিতেও ১.৭৭ইঞ্চি ডিসপ্লে রয়েছে। নকিয়া ১১০ এর দাম ২,১৪৯টাকা।

নকিয়া ১১০

নকিয়া ১০৫ এর চেয়ে দামে অল্প বেশি হওয়ার সুবাদে নকিয়া ১১০ এ যুক্ত হয়েছে অসংখ্য নতুন ফিচার। নকিয়া ১১০ এ রয়েছে একটি কিউভিজিএ (QVGA) ক্যামেরা। এছাড়াও ফোনটিতে ৩২জিবি পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করাও সুবিধাও রয়েছে।

রয়েছে এমপি৩ প্লেয়ার, যার মাধ্যমে এসডি কার্ড থেকে গান শোনা যাবে। নকিয়া ১১০ ফোনটিতে এছাড়াও এফএম রেডিও, ফ্ল্যাশলাইট এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সকল ফিচার।

নকিয়া ২১৬

৩,২৫০ টাকার ফিচার ফোন নকিয়া ২১৬ তে রয়েছে সামনে ও পেছনে উভয়দিকেই ০.৩মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। ২.৪ইঞ্চির ডিসপ্লের এই সুন্দর দেখতে ফোনটির ক্যামেরার পাশাপাশি আরেকটি ফিচার সবার নজর কাড়বে। সেটি হলো এই ফোনে রয়েছে বিল্ট-ইন অপেরা মিনি ব্রাউজার, যার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যাবে।

নকিয়া বাটন মোবাইল - নকিয়া ২১৬

এছাড়াও নকিয়া ২১৬ ফোনটি ৩২জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড সাপোর্টেড। ফোনটিতে একাধিক ফরম্যাটের অডিও ও ভিডিও প্লেব্যাক সাপোর্ট রয়েছে। ফোনটির ১০২০ মিলিএম্প এর ব্যাটারি দ্বারা ১৮ঘন্টার উপরে টক টাইম পাওয়া যাবে। ডুয়াল ক্যামেরা নকিয়া বাটন ফোন, নকিয়া ২১৬ তে স্টিরিও এফএম রেডিও ও ব্লুটুথ সুবিধাও রয়েছে। তবে থাকছেনা কোনো ৪জি সাপোর্ট।

নকিয়া ২২০ ৪জি

নকিয়া বাটন মোবাইল - নকিয়া ২২০ ৪জি

নকিয়া ২২০ থেকে শুরু করে তালিকার বাকি ফোনগুলোকে ফিচার ফোনের প্রিমিয়াম ক্যাটাগরিতে রাখা যায়। নকিয়া ২২০ এর দাম ৩,৯৯৯ টাকা। ফোনটিতে ডুয়াল মিনি সিম ব্যবহার করা যাবে। রয়েছে স্টিরিও এফএম রেডিও।

নকিয়া ২২০ ফোনটিতে রয়েছে ২.৪ইঞ্চি ডিসপ্লে। ফোনটির পেছনে একটি ০.৩মেগাপিক্সেলের ভিজিএএ ক্যামেরা রয়েছে, যা ছবি তুলতে ও এমনকি ভিডিও করতেও সক্ষম। আবার ক্যামেরার সাথে এলইডি ফ্ল্যাশ ও রয়েছে।

আরো জানুনঃ ১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন

নকিয়া ২২০ এর ফিচার এখানেই শেষ নয়। ফোনটিতে ইন-বিল্ট ২৪এমবি স্টোরেজের পাশাপাশি এসডি কার্ড ব্যবহার করে স্টোরেজ বাড়িয়ে নেওয়া যাবে ৩২জিবি পর্যন্ত। ফোনটিতে এমপি৩ গান শোনার পাশাপাশি, এমপি৪ ফরম্যাটের ভিডিও ও প্লেব্যাক সাপোর্ট রয়েছে।

নকিয়া ৬৩০০ ৪জি – আধুনিক নকিয়া বাটন মোবাইল

নকিয়া ৬৩০০ ৪জি

ফিচারে ঠাসা নকিয়ার বাটন ফোন, নকিয়া ৬৩০০ ফোনটি আজকালকার স্মার্টফোন থেকে পিছিয়ে নেই কোনোদিকেই। ফোনটিতে ডুয়াল সিম এর পাশাপাশি রয়েছে ৪জি সুবিধা।

কাই ওএস (KaiOS) ও কোয়ালকম এর স্ন্যাপড্রাগন ২১০ প্রসেসরের সমন্বয়ে তৈরী ফোনটিতে রয়েছে ৫১২এমবি র‍্যাম ও ৪জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। নকিয়া ৬৩০০ ফোনটিতে রয়েছে ২.৪ইঞ্চি ডিসপ্লে।

নকিয়া ৬৩০০ তে মাইক্রোএসডি কার্ড সাপোর্ট ও রয়েছে। ফোনটিতে রয়েছে ভিজিএ মেইন ক্যামেরা ও এলইডি ফ্ল্যাশ। তবে ফোনটিতে কোনো সেলফি ক্যামেরা নেই। ফোনটিতে স্মার্টফোন এর মত রয়েছে ওয়াফাই, হটস্পট, ব্লুটুথ, এমনকি জিপিএস সুবিধাও।

নকিয়া ৬৩০০ ফোনটির দাম ৫,২৯৯ টাকা।

নকিয়া ৫৩১০ – স্টাইলিশ নকিয়া বাটন ফোন

নকিয়া বাটন মোবাইল - নকিয়া ৫৩১০

৪,৪৯৯টাকার ফিচার ফোন, নকিয়া ৫৩১০ ফোনটি দেখতে সুন্দর হলেও দাম হিসেবে তালিকার অন্যান্য ফোনের তুলনায় নগণ্যই বলা চলে। ফোনটিতে নেই ৪জি সুবিধা। নকিয়া ৫৩১০ ফোনটি ৩২জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড সাপোর্ট করায় এমপি৩ গান শোনা যাবে।

নকিয়া ৫৩১০ ফোনটিতে আরো রয়েছে ব্লুটুথ, এফএম রেডিও, ইত্যাদি সুবিধা। এছাড়াও ফোনটি ব্যবহার করে ইমেইল করাও সম্ভব। ফোনটির ব্যাকে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত একটি ০.৩মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাও রয়েছে।

নকিয়া ৩৩১০ – বিখ্যাত নকিয়া বাটন মোবাইল

নকিয়া বাটন ফোন - নকিয়া ৩৩১০

১৭ বছর পুরাতন ফোন হলেও জনপ্রিয়তার তেজ দেখে কিছুদিন আগেই বাজারে আবার নতুন করে নকিয়া ৩৩১০ ফোনটি ছাড়তে বাধ্য হয় নকিয়া।  এই ফোনটি এর অসাধারণ বিল্ড কোয়ালিটির জন্য বহুলভাবে পরিচিত। 

নকিয়া ৩৩১০ ফোনটিতে থাকা ১২০০মিলিএম্প ব্যাটারির কল্যাণে পাওতা যাবে ২২ঘন্টার উপরে টক টাইম। এছাড়াও ফোনটিতে এমপি৩ প্লেব্যাক করা যাবে ৫১ঘন্টার অধিক সময় ধরে।

নকিয়া ৩৩১০ ফোনটিতে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ২মেগাপিক্সলের একটি ব্যাক ক্যামেরা রয়েছে, যা দ্বারা ছবি ধারণ ও ভিডিও রেকর্ডও করা যাবে। ফোনটির মেমরি কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা যাবে ৩২জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড।

ফোনটি ডুয়াল সিম সাপোর্টেড হলেও এর প্রাথমিক মডেলে থাকছেনা ৪জি বা ৩জি সাপোর্ট। তবে মার্কেটে এর আপডেটেড ৩জি ও ৪জি ভার্সন পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে দাম একটু বেশি হবে। ওয়াইফাই ডিরেক্ট ও হটস্পট এর মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারও রয়েছে নকিয়া ৩৩১০ ফোনটিতে। 

নকিয়া ৮১১০ ৪জি

নকিয়া বাটন মোবাইল - নকিয়া ৮১১০ ৪জি

বাটন ফোন হলেও নকিয়া ৮১১০ ফোনটিতে রয়েছে ৪জি সুবিধার পাশাপাশি ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস ও এফএম রেডিও সুবিধা। ২.৪ইঞ্চি ডিসপ্লের ফোন, নকিয়া ৮১১০ তে রয়েছে এলডি ফ্ল্যাশযুক্ত ২মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, যা দ্বারা ভিডিও রেকর্ড করাও সম্ভব।

নকিয়া ৮১১০ ফোনটির ১৫০০মিলিএম্প এর ব্যাটারি ব্যবহার করে ১১ঘন্টার উপরে টক টাইম পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৫১২এমবি র‍্যাম ও ৪জিবি স্টোরেজ রয়েছে। এছাড়াও ৬৪জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড ব্যবহার করে বাড়িয়ে নেওয়া যাবে ফোনের স্টোরেজ।

আরো দেখুনঃ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন

নকিয়া ৮১১০ ফোনটিতে একাধিক ফরম্যাটের অডিও প্লেবেক করা যাবে। সাথে রয়েছে এমপি৪ ফরম্যাটের ভিডিও প্লে করার সুবিধা।

কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২০৫ প্রসেসর দ্বারা চালিত ফোন নকিয়া ৮১১০ এ রয়েছে ওয়াপ ২.০ যার ফলে এক্সএইচটিএমএল ব্রাউজার ব্যবহার করা যাবে। ফোনটি চলবে কাইওএস দ্বারা।

নকিয়া ৮১১০ ফোনটিতে আরো রয়েছে গুগল সার্চ, গুগল ম্যাপ ও গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর মতো স্মার্টফোনভিত্তিক সব সুবিধা। এছাড়াও ফোনোটিতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, জিমেইল ইত্যাদি।

নকিয়া ৮১১০ ফোনটির দাম ৬,৪৯৯ টাকা। এই দামে বাজারে বর্তমানে স্মার্টফোন পাওয়া যায়। তবে এই হালকা কার্ভ করা ফোনটি দেখলেই যেকারো ভালো লেগে যেতে বাধ্য প্রথম দেখাতেই। তবে ফিচারের দিক দিয়ে কোনো কমপ্রোমাইজ থাকছেনা ফোনটিতে। 

নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ

নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ

বাটন ফোনকে বিলাসিতার পর্যায়ে স্থান করে দিয়েছে নকিয়ার তৈরী বাটন ফোন, নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ ফোনটি। প্রায় ৯ হাজার টাকার ফোনটির দামে হয়ত নতুন স্মার্টফোন পেয়ে যাবেন, কিন্তু ফোনটির যে ডিজাইন ও সৌন্দর্য এটি কিন্তু আসলেই অগ্রাহ্য করার মত নয়।

নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ ফোনটি মাঝ বরারবর ফ্লিপ করা যায়, যা এই ফোনটির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। ফোনটি ডুয়াল সিম সাপোর্টেড, রয়েছে ৪জি এলটিই সুবিধাও। নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ ফোনের ব্যাকে রয়েছে ২মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা, যা ভিডিও রেকর্ডে সক্ষম।

নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ ফোনটি চলে কাই ওএস ও কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ২০৫ প্রসেসর দ্বারা। ফোনটিতে রয়েছে ইন্টারনেট সুবিধা। ব্যবহার করা যাবে গুগল এর অ্যাপ, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইত্যাদি।

নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ ফোনটিতে ৫১২এমবি র‍্যাম রয়েছে। ফোনটিতে ৪জিবি স্টোরেজ রয়েছে যা মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে ৩২জিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া যাবে। এছাড়াও ফোনটিতে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, এফএম রেডিও এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সকল ফিচার তো থাকছেই।

একাধিক অডিও ফাইল ফরম্যাটের পাশাপাশি এমপি৪ ভিডিও প্লেব্যাক সাপোর্ট করে নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ ফোনটি। এছাড়াও অরগানাইজার, ভয়েস মেমো, প্রিডিকটভ টেক্সট ইনপুগ এর মতো ফিচার রয়েছে ফোনটিতে।

তবে ফোনটির সবচেয়ে “Cool” দেখতে ফিচার এর কথা বলাটা বাকি থেকে গেলো। নকিয়া ২৭২০ ফ্লিপ ফোনটিতে ২.৮ইঞ্চির ডিসপ্লের পাশাপাশি ফোনের ব্যাকে আরেকটি ডিসপ্লে রয়েছে, যার কেউ কল করলে তার নাম ও প্রদর্শনে সক্ষম।

আরো জানুনঃ নকিয়া এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের দাম

এই নকিয়া বাটন ফোন এর তালিকায় আপনার পছন্দের ফোন কোনটি? আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনে। উল্লেখ্য যে, বাটন ফোনগুলোর প্রদত্ত দাম বাজারে কম বা বেশি হতে পারে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

8 comments

    • আরাফাত বিন সুলতান Reply

      আপনার পছন্দের ফোন সম্পর্কে জানানোর জন্য ধন্যবাদ!

    • আরাফাত বিন সুলতান Reply

      Most welcome! Please stay with us…

  1. Kamruzzaman - Kamran Reply

    Where can I get the original Nokia Button phone? Please let me know. I am speaking from Chittagong.

    • সুজন Reply

      অরজিনাল nokia নতুন মোবাইল বাটন সেট বর্তমানে কোথায় পাওয়া যাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *