IQOO ফোন কোম্পানি সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা দরকার

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ভিভো’র শাখা হিসেবে যাত্রা শুরু করে আইকো (IQOO)। বেশ অসাধারণ স্পেসিফিকেশনের সব ফোন সুলভ মূল্যে বাজারে নিয়ে এসে অন্য কোম্পানিগুলোকে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে এই নতুন স্মার্টফোন কোম্পানিটি। নামে গেমিং ফোন হলেও অসাধারণ ক্যামেরা পারফরম্যান্স ও ব্যাটারি ব্যাকাপ প্রদান করে আইকো এর তৈরি ফোনগুলো।

BBK Group এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আইকো, ভারতে বেশ জোরেশোরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ইতিমধ্যে বাজারে শক্ত অবস্থানে থাকা শাওমি, স্যামসাং ও রিয়েলমি এর মত কোম্পানির সাথে কঠিন প্রতিযোগিতায় আছে কোম্পানিটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক IQOO কোম্পানি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা সবার জানা উচিত।

IQOO কিন্তু কিছু এলোমেলো শব্দের সমাহার নয়, আবার এটি IQ বা intelligence quotient এর কোনো রুপও নয়। এই শব্দের পূর্ণরুপ হলো “I Quest On and On”, যা ব্র‍্যান্ডটির উন্নতির প্রচেষ্টাকে ফুটিয়ে তুলে।

ভারতের বেংগালুরুতে আইকো এর হেডকোয়ার্টার অবস্থিত। শাওমি ও ওয়ানপ্লাস এর পাশাপাশি বড় স্মার্টফোন কোম্পানির হেডকোয়ার্টার এর মধ্যে তৃতীয় হলো আইকো এর। বেংগুলুরুকে এসব কারণে ভারতের সিলিকন ভ্যালিও বলা হয়ে থাকে। 

ভিভো’র অংশ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও ভারতে ও বিশ্বব্যাপী স্বাধীন ব্র‍্যান্ড হিসেবে অপারেট করে আইকো। প্রোডাক্ট ডেভলপমেন্ট থেকে শুরু করে নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার ও রিটেইল স্টোর রয়েছে আইকো’র। আইকো এর ডিরেক্টর-মার্কেটিং, গগন অরোরা বলে, “ভিভো ও আইকো স্বাধীন দুইটি ব্র‍্যান্ড। আমরা একেক অপরের প্রতিযোগী।”

IQOO ফোন কোম্পানি সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা দরকার

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

👉 বিশ্বের প্রথম ২০০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ফোন এলো – ১০ মিনিটে ফুল চার্জ!

চীনে ভিভো’র সাব-ব্র‍্যান্ড হিসেবে আইকো ব্র‍্যান্ডটি পরিচালনা করা হয়। তবে ভারতের বাজারে সম্পুর্ন স্বাধীনভাবে নিজের কার্যক্রম চালায় আইকো। তবে ভারতে চীনের মত একইভাবে ভিভো’র প্রযুক্তি বা অবকাঠামো ব্যবহার করে থাকে আইকো।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ ভারতে প্রথম ফোন নিয়ে আসে আইকো। আইকো ৩ নামের এই ফোনটিতে কোয়ালকম এর স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ প্রসেসর ছিলো, যা বেশ অসাধারণ পারফরম্যান্স এর একটি চিপসেট। কম দামে আইকো ৩ ফোনটিতে অসাধারণ প্রসেসর থাকার কারণে গেমারদের কাছে রাতারাতি সেলিব্রিটি বনে যায় ব্র‍্যান্ডটি।

আইকো ৩ ফোনটির সাথে আইকো ইউআই ১.০ ঘোষণা করে আইকো, যা একটি অ্যান্ড্রয়েড ১০ ভিত্তিক কাস্টম ইউআই। আইকো ফোনগুলোতে এই আইকো ইউআই ব্যবহার করা হয়। কাস্টমাইজেবল অলওয়েজ অন ডিসপ্লে ও গেমিং ফোকাসড ফিচার রয়েছে আইকো’র এই কাস্টম অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে তাদের প্রথম ফোন নিয়ে আসে আইকো। তখনকার ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন হওয়ার পাশাপাশি ৫জি সাপোর্ট ছিলো প্রথম মুক্তি পাওয়া ঐ ডিভাউস। এছাড়াও আইকো এর ফোনগুলো ইন্ডিয়াতে ম্যানুফ্যাকচার করা হয়। চীনের বাইরে প্রথম ভারতে অফিসিয়ালি আইকো তাদের যাত্রা শুরু করে।

👉 ফেসবুক অ্যাপে বড় পরিবর্তন যা সবার জানা দরকার

আইকো এর প্রোডাক্ট সেলিং স্ট্রেটেজি দেখলে বুঝা যায় তারা নির্দিষ্ট অনলাইন বা অফলাইন মার্কেটকে টার্গেট করছে না। আপাতদৃষ্টিতে একটি অনলাইন নির্ভর ব্র‍্যান্ড মনে হলেও আইকো এর ফোনগুলো উভয় মার্কেটে তুমুলভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেই যাচ্ছে। বাংলাদেশেও আনঅফিসিয়ালি আপনি হয়ত পেয়ে যাবেন আইকো স্মার্টফোন।

আইকো কোম্পানির ফোনগুলো মূলত পারফরম্যান্স-কেন্দ্রিক। অর্থাৎ কোম্পানিটির স্মার্টফোন বিক্রির মূল সেলিং পয়েন্ট হলো পারফরম্যান্স। আইকো এর ভাষ্যমতে “Best in class performance, perhaps the best in the industry,” প্রদান করবে আইকো। অর্থাৎ বাজারের অন্য সকল ফোনের মত একই স্পেসিফিকেশন এর ফোন সুলভ মূল্যে বাজারে আনাই মূল লক্ষ্য আইকো’র। একই ধরনের স্ট্রেটেজি আমরা আগে দেখেছি শাওমি’র পোকো ব্র‍্যান্ডের ক্ষেত্রে।

আপনি কি আইকো স্মার্টফোন ব্যবহার করেছেন? আপনার অভিজ্ঞতা কমেন্টে জানান!

👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *