উইন্ডোজ ১০ থেকে যেসব ফিচার বাদ দিচ্ছে মাইক্রোসফট

features to be deducted from windows 10

আমাদের ব্লগে নিয়মিত ভিজিট করলে নিশ্চয়ই জানেন, আগামী ২৯ জুলাই মুক্তি পেতে যাচ্ছে উইন্ডোজ ১০ এর চূড়ান্ত সংস্করণ। বলাই বাহুল্য, অনেকগুলো নতুন ফিচার ও অ্যাপ নিয়ে আসবে মাইক্রোসফটের লেটেস্ট এই অপারেটিং সিস্টেম। সেই সাথে উইন্ডোজ থেকে অপেক্ষাকৃত পুরাতন কিছু কিছু জিনিস বাদও দেবে কোম্পানিটি। চলুন দেখা যাক সেগুলো কী।

১. উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার

উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার হচ্ছে এমন একটি প্রোগ্রাম/অ্যাডঅন যার মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারে ফটো-ভিডিও দেখা ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান রেকর্ড করতে পারেন। আপনার উইন্ডোজ ৭, ৮ অথবা উইন্ডোজ ৮.১ পিসিতে যদি উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার থেকে থাকে, তাহলে উইন্ডোজ ১০এ আপগ্রেড করার পর উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার অ্যাপটি মুছে যাবে। অর্থাৎ, উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার থাকবেনা এবং এটি তা সাপোর্টও করবেনা। উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টারের ফিচারগুলো আপনি আলাদা আলাদা অ্যাপের মাধ্যমে উইন্ডোজ ১০ এ উপভোগ করতে পারবেন।

২. ডিভিডি প্লেয়ার সফটওয়্যার

উইন্ডোজ ১০ এ ডিভিডি প্লে-ব্যাক করার জন্য দরকারি সফটওয়্যার আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবেনা। তবে আপনি চাইলে পিসিতে ভিএলসি প্লেয়ার বা অন্য কোনো অ্যাপের মাধ্যমে ডিভিডি প্লে করতে পারবেন।

৩. ডেস্কটপ গ্যাজেটস

উইন্ডোজ ৭ এর ডেস্কটপে ছোট ছোট গ্যাজেটস এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য, ছবি স্লাইড শো প্রভৃতি প্রদর্শন করা যায়। উইন্ডোজ ৮ এ এই ফিচারটি নেই। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমেও গ্যাজেটস থাকছেনা। তাই আপনার উইন্ডোজ ৭ পিসিতে যদি ফিচারটি ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে উইন্ডোজ ১০ এ আপগ্রেড করার পর গ্যাজেটগুলো আর ফিরে পাবেন না।

৪. আপডেট নিয়ন্ত্রণ

উইন্ডোজের বর্তমান (৮.১ পর্যন্ত) ভার্সনগুলোতে ব্যবহারকারী চাইলেই অটোম্যাটিক সফটওয়্যার আপডেট বন্ধ/চালু করে রাখতে পারেন। কিন্তু উইন্ডোজ ১০ হোম ভার্সন ব্যবহারকারীরা এই সুযোগটি পাবেন না। অর্থাৎ, যখনই কোনো আপডেট আসবে, অনলাইনে গেলে কম্পিউটার নিজ থেকেই আপডেটটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করে নেবে। অবশ্য উইন্ডোজ ১০ প্রো এবং এন্টারপ্রাইজ ভার্সনে আপডেট চালু/বন্ধ করে রাখা সম্ভব হবে।

৫. বিল্ট-ইন সলিটায়ার, মাইনসুইপার ও হার্টস গেমস

উইন্ডোজ সেভেন পিসিতে প্রি-ইনস্টলড থাকা সলিটায়ার, মাইনসুইপার ও হার্টস গেমস উইন্ডোজ ১০ এ আপগ্রেড করলে মুছে যাবে। পরে অবশ্য আপনি উইন্ডোজ স্টোর থেকে আলাদাভাবে এসব গেমস পেতে পারেন।

৬. ইউএসবি ফ্লপি ড্রাইভ

আপনি যদি কম্পিউটারে এখনও ইউএসবি ফ্লপি ড্রাইভ ব্যবহার করেন, তাহলে উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল করার পর ফ্লপি ড্রাইভের জন্য আলাদা ড্রাইভার ডাউনলোড করে নিতে হবে। উইন্ডোজ আপডেট অথবা হার্ডওয়্যার নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে ড্রাইভার সফটওয়্যার পেতে পারেন।

৭. লাইভ এসেনশিয়ালস

আপনি যদি উইন্ডোজ লাইভ এসেনশিয়ালস ব্যবহার করেন, তাহলে উইন্ডোজ ১০ এ আপগ্রেড করার পর এর ওয়ানড্রাইভ অ্যাপটি নতুন ওয়ানড্রাইভের ইনবক্স ভার্সন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।

যাইহোক উইন্ডোজ ১০ যেসব পুরনো ফিচার সাপোর্ট করবেনা, সেগুলো বর্তমানে খুব বেশি লোক হয়ত ব্যবহারও করেন না। আর উইন্ডোজ ১০ এ সেগুলোর বিকল্পও ব্যবহার করা যাবে। সেই সাথে নতুন নতুন সব ফিচার তো থাকছেই। উইন্ডোজ ১০ এর নতুন ফিচারগুলো সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি দেখুন

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *