আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে বেশ লাভবান ব্যবসা করতে পারবেন। এই পোস্টে বিকাশ এজেন্ট কিভাবে হবেন (bKash agent registration) ও বিকাশ এজেন্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বিকাশ এজেন্ট কি?
বিকাশ এজেন্ট কি বা কে এই সম্পর্কে ইতিমধ্যে সবার ধারণা রয়েছে। মূলত একজন বিকাশ এজেন্ট বিকাশ গ্রাহকদের একাউন্ট খোলা, ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট এর মত সুবিধা প্রদান করে থাকেন। একজন বিকাশ এজেন্ট তার দোকানের পাশাপাশি বিকাশের নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।
আপনার যদি একটি দোকান থাকে ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার কাছে থাকে, তবে আপনিও বিকাশ এজেন্ট হতে পারবেন। বেশ কম মূলধন নিয়ে শুরু করা যাবে এই ব্যবসা, যা আপনার দোকানের পাশাপাশি করতে পারবেন।
বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে
বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট ঘরে বসে খোলা গেলেও বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট ঘরে বসে খোলা যায়না। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে নিকটস্থ বিকাশ অফিসে গিয়ে এজেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।
একটি দোকান
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার সর্বপ্রথম শর্ত হলো আপনার একটি দোকান থাকতে হবে। আবার এই দোকানের অবস্থান এমন স্থানে হতে হবে যেখানে বিকাশে ভালো ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিকাশে প্রয়োজনীয় পরিমাণে লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমন স্থানে অবস্থিত দোকানে এজেন্ট হিসেবে অনুমতি না ও দিতে পারে বিকাশ।
ট্রেড লাইসেন্স
বিকাশ এজেন্ট হতে হলে আপনার দোকানের ট্রেড লাইসেন্স থাকা অত্যাবশ্যক। সিটি কর্পোরেশন বা উপজেলা অফিস থেকে খুব সহজে দোকানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স তৈরী করে নিতে পারবেন। খেয়াল রাখবেন আপনার দোকানের ট্রেন্ড লাইসেন্সের মালিক ও এজেন্ট একাউন্টের আবেদনকারী এর নাম একই হওয়া জরুরি।
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবির প্রয়োজন হবে।
এজেন্ট সিম
বিকাশ এজেন্ট হতে হলে গেলে একটি মোবাইল নম্বর বা সিম কার্ড লাগবে। এই সিমে বিকাশ এজেন্ট তার সকল ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করবেন। এই সিমের নাম্বার এজেন্টের বিকাশ এজেন্ট নাম্বার হবে। যেকোনো অপারেটরের যেকোনো সিম বিকাশ এজেন্ট সিম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
উল্লেখিত বিষয়গুলো ছাড়াও বিকাশ এজেন্ট খুলতে আরো কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে হবে, এগুলো হলোঃ
- একাউন্ট খোলার পর এলাকাভেদে একটি বড় অংকের লোড নিতে হবে বিকাশ এজেন্ট নাম্বারে
- বিকাশ কতৃক নির্ধারিত ব্যালেন্সের চেয়ে এজেন্ট একাউন্টে কম ব্যালেন্স থাকা যাবেনা
- বিকাশ প্রতিনিধি আপনার দোকান পরিদর্শনে এসে দোকানের ব্যবসার কার্যকরিতা বিবেচনা করবেন
এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে নুন্যতম লেনদেনের কিছু শর্ত রয়েছে যা এলাকা ও সময়ভেদে পরিবর্তন হতে পারে। বিকাশে প্রতিনিধি আপনার এলাকায় আসলে তার কাছ থেকে একাউন্ট খোলার শর্তসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
সম্ভাব্য আরেকটি ডকুমেন্টঃ টিন সার্টিফিকেট
Taxpayer’s Identification Number বা TIN সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের আবেদন করতে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সের জন্য টিন সার্টিফিকেট লাগতে পারে। যদি এটা চাওয়া হয় তাহলে অনলাইনে খুব সহজে এটির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট হতে চাইলে আবেদন করতে পারবেন বিকাশ ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ফর্ম এর মাধ্যমে। তবে এই প্রক্রিয়া একটু সময় সাপেক্ষ হতে পারে। তাই আপনি যদি যত দ্রুত সম্ভব বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চান তবে পোস্টে প্রদত্ত অন্য পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবেন। এই পোস্টে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার উভয় পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন
অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে চাইলে এই লিংকে প্রবেশ করুন। এরপর একটি ফর্ম দেখতে পাবেন যা পূরণ করার মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। এই পেজে কোন বক্সে কি লিখবেন, তা জেনে নেওয়া যাকঃ
- “যিনি এজেন্ট হতে চান তার নাম” বক্সে দোকানের মালিকের নাম লিখুন
- “ফটো আইডি নাম্বার” বক্সে জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নাম্বার প্রদান করুন
- “ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার” বক্সে আপনার ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার লিখুন
- “যোগাযোগ নম্বর” বক্সে যিনি এজেন্ট হতে চান তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার
- “ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম” বক্সে আপনার দোকানের নাম
- “ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা” বক্সে দোকানের ঠিকানা লিখুন
ফর্ম পূরণ শেষে ভালোভাবে প্রদত্ত তথ্য যাচাই করুন ও “জমা দিন” বাটনে ক্লিক করে ফর্ম সাবমিট করুন। ফর্ম সাবমিট করার কিছুদিনের মধ্যে বিকাশ প্রতিনিধি আপনার সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সাহায্য করবেন। আরও জানতে পারেনঃ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি? এর সুবিধা কি? কিভাবে ওপেন করে?
👉 বিকাশ একাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য করণীয়
বিকাশ অফিস থেকে এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা যাবে নিকটস্থ বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিস থেকেও। এই উপায়ে বেশ অল্প সময়ের মধ্যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব। প্রথমে 16247 নাম্বারে কল করে আপনার নিকটস্থ বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের ঠিকানা জেনে নিন। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করুন ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে ও আপনার এজেন্ট একাউন্ট খোলার বিষয়টি জানান। উক্ত অফিস থেকে এজেন্ট একাউন্টে খোলার প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনাকে অবহিত করা হবে।
বিকাশ এজেন্ট কমিশন
একজন বিকাশ এজেন্ট এর মূল আয় আসে এজেন্ট কমিশন থেকে। এজেন্টের কমিশন বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ও বিকাশ ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে লেনদেনের ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়ে থাকে। একজন এজেন্ট এর কমিশন সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়, তাই এই বিষয়ে বিকাশের প্রতিনিধি বা বিকাশ অফিস থেকে জেনে নেওয়া শ্রেয়। বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ এর মাধ্যমে বেশ সহজে একজন এজেন্ট তার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের সকল সুবিধা ও ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন।
👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।
I need bKash