বর্তমানে ঘরে বসে ইনকাম করার সবচেয়ে সেরা সময়। আপনার কাছে যদি ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত একটি মোবাইল বা কম্পিউটার থাকে, তবে খুব সহজে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসে ইনকাম করার সেরা উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
ওয়েব ডিজাইন
ইন্টারনেট ব্যবহারের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর আয়তন। যার ফলে ওয়েব ডিজাইন সংশ্লিষ্ট কাজের সুযোগ দিনদিন বেড়েই চলেছে। মজার ব্যাপার হলো ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কিত অধিকাংশ কাজ করা সম্ভব ঘরে বসেই। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনিং পারেন, তবে এখনই সুবর্ণ সময় ওয়েব ডিজাইন করে আয় শুরু করার।
ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজেও বিভিন্ন ধরণের ক্যাটাগরি বা ভাগ রয়েছে। যেকোনো এক বা একাধিক ওয়েব ডিজাইন স্কিল শিখে নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ শুরু করে দিন। ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব মেইন্টেনেন্স, ওয়েবসাইট এর কোনো সমস্যা সমাধান, ইত্যাদি বিষয় ওয়েব ডেভলপমেন্ট ও ওয়েব ডিজাইনের আওতায় পড়ে। আপনার দক্ষতা যত বেশি হবে, এই ফিল্ডে তত বেশি আয় করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনিং এর ক্ষেত্রে একাধিক কাজে ক্লায়েন্টগণ ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকেন। এখন আপনার যদি একাধিক স্কিল থাকে, তবে একই ক্লায়েন্টের অন্য কাজগুলোও পেয়ে যেতে পারেন বেশ সহজেই। তাই ঘরে বসে ওয়েব ডিজাইনিং করে আয় বাড়াতে চাইলে একাধিক স্কিল আয়ত্ব করতে পারেন।
- 👉 ওয়েবসাইটের ডোমেইন ও হোস্টিং কী?
- 👉 ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার সেরা ৮ প্ল্যাটফর্ম
- 👉 অনলাইনে আয় করার সেরা ৭ ওয়েবসাইট
গ্রাফিক ডিজাইন
ইন্টারনেট এর সৌন্দর্য বর্ধনে বর্তমানে গ্রাফিক্স এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। গ্রাফিক্স বলতে এখানে ইলাস্ট্রেশন, আইকন ডিজাইন, এনিমেশন, ইত্যাদি বিষয়কে বুঝানো হচ্ছে। অনেকে বলতে পারেন যে অমুক অ্যাপ ব্যবহার করেই তো খুব ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায়, তাহলে কেউ কেনই বা গ্রাফিক্স ডিজাইনার হায়ার করবে?
উত্তরটি বেশ সহজ। আপনার যখন নিজের প্রয়োজনে কোনো গ্রাফিক্স এর প্রয়োজন হয়, তখন সেটি আপনি নিজেই তৈরি করে নেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে প্রতিটি কর্মচারীর আলাদা কাজ রয়েছে, যার ফলে কারো পক্ষেই এই বাড়তি কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ফলস্বরুপ কোম্পানিগুলো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে গিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হায়ার করে থাকে।
তবে বলে রাখা ভালো, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করে ঘরে বসে ইনকাম করা কিন্তু এতোটাও সহজ নয়। যত ফ্রিল্যান্সিং কাজ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বেশি প্রতিযোগিতা রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং সেক্টরে। তাই আপনার কাজ যদি ভালো না হয় তাহলে এই সেক্টরে অনেক প্রতিযোগিতা করতে হবে।
👉 গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আয় করার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
সকল প্যাসিভ ইনকাম এর উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ঘরে বসে আয়ের বেশ সহজ একটি উপায় হলেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। মজার ব্যাপার হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনাকে একটিভলি কাজ করতে হচ্ছেনা। অর্থাৎ এই তালিকায় উল্লেখিত অন্য কাজের পাশাপাশি বাড়তি ইনকাম পেতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
কোনো ধরণের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আয়ের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে। মূলত অন্য পণ্যের ছোটোখাটো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উক্ত পণ্যের বিক্রি থেকে প্রাপ্ত কমিশনকে বলা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম।
আয়ের বেশ সহজ একটি উপায় হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে অধিকাংশ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর বেশ জোরদার গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এর মানে হলো ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনিও আয় করতে পারবেন।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করার উপায়
- দারাজ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন
- অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়?
- ১০ মিনিট স্কুল এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে আয়ের উপায়
কনটেন্ট রাইটিং
এখন আপনি যে লেখাটি পড়ছেন, এটিও কিন্তু এক ধরণের কনটেন্ট। ইন্টারনেটে এমন বিলিয়ন বিলিয়ন কনটেন্ট রয়েছে। আর এই কনটেন্টগুলো কিন্তু কেউ না কেউ লিখছে। যেমনঃ এই ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলোর জন্য আমাদের নিজস্ব কনটেন্ট রাইটার টিম রয়েছে। একইভাবে এরকম অগণিত ওয়েবসাইট রয়েছে, যাদের নিজেদের ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য কনটেন্ট রাইটার প্রয়োজন। আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে কনটেন্ট রাইটিং করে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
কনটেন্ট রাইটিং এর জব পেয়ে যাবেন একাধিক প্ল্যাটফর্মে। আপনার যদি লেখালেখি করার দক্ষতা ও এসইও সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকে, তাহলে কনটেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে বেশ ভালো অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
তবে কনটেন্ট লেখার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, আপনি যে কনটেন্টটি লিখছেন তা একজন পাঠকের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে। আবার একইভাবে ক্লায়েন্টের দেওয়া শর্তগুলোও লেখার মাধ্যমে ঠিকভাবে পূরণ করা জরুরি। তাহলেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে কনটেন্ট রাইটিং করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।
👉 অনলাইনে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
ব্লগিং
একটা সময় শখের বসে ব্লগিং করা হলেও বর্তমানে ঘরে বসে ইনকাম করার সেরা উপায় এর মধ্যে একটি হলো ব্লগিং। ব্লগিং ও কনটেন্ট রাইটিংকে একই বিষয় মনে করা যেতে পারে। কনটেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনি অন্যের ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর জন্য লিখেন আর ব্লগিং এর ক্ষেত্রে মূলত আপনার নিজের ব্লগে লিখে থাকেন।
ব্লগিং করার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এরপর উক্ত ব্লগে লিখা পোস্ট করতে হবে। এছাড়াও এসইও এর মত ব্যাপার ও ব্লগিং এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সঠিকভাবে প্রোমোশন ও এসইও করতে পারলে আপনার ব্লগে পাঠক আসবে। এরপর বিভিন্ন উপায়ে ব্লগ মনিটাইজ করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন ব্লগিং এর মাধ্যমে।
আপনি যদি নিজে ব্লগ খুলে ব্লগিং করতে না চান, তবে অন্যের ব্লগেও অর্থের বিনিময়ে লিখতে পারেন। আবার মিডিয়াম ডট কম এর মত ওয়েবসাইটে কোয়ালিটি ব্লগ পোস্ট লিখলে ব্লগারদের অর্থ প্রদান করা হয়ে থাকে।
👉 অনলাইন ইনকাম এর জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরি
ইউটিউব
ঘরে বসে ইনকাম এর সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। ইউটিউব ব্যবহার করেনা, অনলাইনে এমন মানুষ হয়ত খুঁজেই পাওয়া যাবেনা। ইউটিউব এর বিশাল অডিয়েন্স এর বিপরীতে রয়েছে প্রচুর কনটেন্ট এর চাহিদা। আর এই কনটেন্ট এর চাহিদা পূরণ করতেও আপনিও শুরু করতে পারেন ইউটিউবিং।
মজার বিষয় হলো আপনি যেকোনো বিষয়ে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করতে পারেন ও স্বভাবতই ঐ বিষয়ের অডিয়েন্স পেয়ে যাবেন ইউটিউবে। অর্থাৎ আপনি যে ধরণের কনটেন্ট-ই তৈরী করুন না কেনো, ইউটিউব থেকে আপনার আয়ের সুযোগ রয়েছে।
ঘরে বসে ইনকাম এর সেরা একটি উপায় হতে হতে পারে ইউটিউব। আর এজন্য খুব বেশি পুঁজিরও দরকার নেই।
তো আপনি কী ভাবছেন? কমেন্টে জানান!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।
Nice informormation
Thank you!
Ami kajkorboa