মুনাফা কমল অ্যাপলেরঃ আইফোন প্রবৃদ্ধি ধীরগতির

কম্পিউটিং জায়ান্ট অ্যাপল তাদের সর্বশেষ প্রান্তিককালীন আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জানুয়ারি-মার্চ ২০১৩ সময়কালে কোম্পানিটির মুনাফা বিনিয়োগকারীদের ঠিক সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এই কোয়ার্টারে অ্যাপলের মুনাফা ছিল ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত বছরের একই সময়ে অর্জিত ১১.৬ বিলিয়ন ডলার মুনাফার চেয়ে কম এবং প্রান্তিক হিসেবে এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত অবনতি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আইফোন নির্মাতার বিক্রয়লব্ধ অর্থের পরিমাণ ছিল ৪৩.৬ বিলিয়ন ডলার।

“নতুন ধরণের” পণ্য আনছে অ্যাপলঃ এটিই কি “আইওয়াচ”?

এই সময় অ্যাপলের স্মার্টফোন বিক্রিতে ধীরগতির প্রবৃদ্ধি এসেছে। সর্বশেষ প্রান্তিকে ৩৭.০৪ মিলিয়ন ইউনিট আইফোন যা ২০১২ সালের একই মৌসুমে বিক্রীত ৩৫.১ মিলিয়নের চেয়ে মাত্র ৭% বেশি। কিন্তু আইপ্যাডের বেলায় দারুণ সাফল্য পেয়েছে অ্যাপল। এবছরের প্রথম ৩ মাসে তারা ১৯.৫ মিলিয়ন আইফোন বিক্রি করেছে, অপরদিকে ২০১২ সালের উক্ত সময়ে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ১১.৮ মিলিয়ন। সুতরাং চলতি বছরে আইপ্যাড বিক্রয় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৫ শতাংশ!

এই বছর ম্যাক কম্পিউটারের বিক্রিও কমে গেছে। তবে বিক্রয় মূল্য বেশি হওয়ায় ম্যাক ডিভিশন থেকে আয়ের অংকে ২% উন্নতি হয়েছে। সেই সাথে আইপড শিপমেন্টও কমেছে।

অ্যাপলের এই আর্থিক প্রতিবেদন ওয়াল স্ট্রিট বিশ্লেষকদের আশঙ্কার চেয়ে সন্তোষজক ছিল। কোম্পানিটির সিইও টিম কুক বলেন, যদিও অ্যাপল চমৎকার আর্থিক সাফল্য অর্জন করেছে তার পরেও তারা প্রবৃদ্ধি হার কম হওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করে নিচ্ছে। কেননা প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালের মত ব্যতিক্রমীভাবে ইতিবাচক আর্থিক অবস্থা ধরে রাখতে পারেনি।

অ্যাপলের বিরুদ্ধে অনেকেই উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যের অভাব সঙ্ক্রান্ত অভিযোগ তুলেছেন। তবে টিম কুক এবার নতুন এবং উদ্ভাবনধর্মী পন্য ও সেবা নিয়ে আসার পূর্বাভাস দিয়েছেন। সেই সাথে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশও ১৫% বাড়ানোর ঘোষণা এসেছে। এসব মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল অ্যাপলের স্টক প্রাইস ৫.৫% বেড়ে ৪০৬.১৩ ডলারে পৌঁছে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,557 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *