বেঁচে থাকার লড়াইয়ে এই বিষয়গুলো আপনার অবশ্যই জানা দরকার

এটা আমরা সবাই জানি যে, আগুন থেকে মুক্তি পেতে আমাদের মাটিতে গড়াগড়ি করা দরকার। কিন্তু জীবনে আমরা এমন কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে পারি যখন তাৎক্ষণিকভাবে তার কোন সমাধান আমাদের নাও জানা থাকতে পারে।

সম্প্রতি কুওরা ওয়েবসাইটে এক থ্রেডে মন্তব্যকারীরা বেশ কিছু টিপস শেয়ার করেছেন যা মনে রাখা সহজ এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আপনাকে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নিই সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

১। আপনার মস্তিষ্ক একই সময়ে আপনার চলাচল এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। সুতরাং সাবধানে দেখে চলুন। চলাচলের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাই ভাল।

চলাচল এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের মত কাজ মস্তিষ্ক একত্রে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। যে কারণে আপনি একসাথে দুইটি দিকে পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারবেননা যাতে আপনি “অসাবধানতাজনক অন্ধত্ব”তে ভুগবেন যাতে আপনার দিকে এগিয়ে আসা গাড়িটিকে আপনি যেকোনো একটা বস্তু হিসেবে দেখলেও ওটা যে চলন্ত গাড়ি তা বুঝতে পারবেননা- এমন মন্তব্য করেছেন মুরালি কৃষ্ণ নামের একজন ব্যবহারকারী।

২। যখন আপনি নতুন কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন তখন আপনার মানিব্যাগ এবং অন্যান্য ব্যাগের ওপর সর্বোচ্চ নজর রাখুন। কারণ আপনি কখনোই জানেননা যে, কখন আপনি হাইজ্যাকিং বা এ জাতীয় কর্মকাণ্ড দ্বারা আক্রান্ত হবেন।

৩। রান্নার তেলে যদি আগুন লাগে তবে তার জ্বালানী প্রবাহ বন্ধ করার সাথে সাথে পাত্রটি ঢেকে দিতে হবে। আগারওয়াল নামের এক কুওরা ব্যবহারকারী বলেন, তেলের কারণে আগুনের সৃষ্টি হলে তা পানি দিয়ে নিভানোর চেষ্টা করা নিতান্ত বোকামী হবে। পানি এই আগুন আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই জ্বালানী প্রবাহ বন্ধ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে (অর্থাৎ পাত্রটি ঢেকে দিয়ে) আগুন নিভানো উচিত।

৪। অধিকাংশ বিমান দুর্ঘটনা উড্ডয়নের ৩ মিনিট পরে এবং অবতরণের ৮ মিনিট আগে সংঘটিত হয়। সংকেত সাহার তথ্যানুসারে, +৩ / -৮ সূত্রটি বিমানযাত্রীদের জানা অত্যন্ত জরুরী। আপনার এই সময়ে সচেতন থাকা উচিত, অন্তত সিনেমা বা সংগীতে ডুবে না থেকে।

৫। সিগারেট বা এজাতীয় নেশাদ্রব্যের আগুন থেকে বাসস্থান বা চারপাশের এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে অ্যাশট্রে ব্যবহার করা উচিত এবং দেয়াশলাই/সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ পুরোপুরি নেভানো দরকার। মশার কয়েল জ্বালানোর ক্ষেত্রেও সাবধান হোন। ডিসক্লেইমার/সতর্কীকরণঃ ধূমপান/মাদকদ্রব্য গ্রহন অকালমৃত্যুর কারণ হতে পারে।

৬। আপনি যদি জনকোলাহলপূর্ণ স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন, সেক্ষেত্রে জনকোলাহল থেকে যথাসম্ভব বেরিয়ে এসে কোথাও বসে পড়ুন এবং কারো সাহায্য কামনা করতে পারেন। এমন অবস্থায় কখনোই হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেননা।

৭। একটি উজ্জ্বল আলোকযন্ত্র, যেমন টর্চলাইট, আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে আপনার রক্ষাকবচ হতে পারে। একটি উজ্জ্বল আলো (বিশেষত রাতে) কোনো আক্রমনকারীর চোখে ফেললে সে সাময়িকভাবে টার্গেট মিস করবে, তখন এটা সেখান থেকে আপনাকে পালিয়ে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে। আর এতে কেউ আহতও হবেনা, কারণ মুখের ওপর কয়েক সেকেন্ড আলো পড়লে তাতে কোনো সমস্যা হয়না, সাময়িকভাবে ফোকাস বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে। তবে এর অপব্যবহার করা অনুচিত এবং শাস্তিযোগ্যও হতে পারে। সুতরাং এটি প্রয়োগ করতে গেলে নিজের দায়িত্বে করবেন।

৮। নিতান্ত দুর্যোগের দিনে অস্থায়ীভাবে পানি রাখার জন্য কোনো কিছু না পেলে কনডম ব্যবহার করতে পারেন। যখন কোনো প্রতিকুল পরিবেশে আপনার অনেক পরিমাণ পানি রাখার দরকার হবে তখন আর কিছু না পেলে আপনি কনডম ব্যবহার করতে পারেন (তবে বস্তুটির পরিপূর্ণ শুদ্ধতা আপনাকেই নিশ্চিত করতে হবে)। বাজারে প্রচলিত এক একটি কনডম প্রায় পাঁচ লিটার পর্যন্ত পানি ধারণ করতে সক্ষম, বলে মন্তব্য করেন জেইন্স নামের একজন।

৯। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানসিকভাবে বিব্রত না হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ লোক প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানসিকভাবে বিব্রত হয়ে  পড়েন। এসময়ে বিব্রত হবেননা, স্বাভাবিক আচরণের মাধ্যমে আদর্শ নিয়মকানুন মান্য করুন। অতিরিক্ত উত্তেজিত হবেননা এবং অন্যকেও সাহায্য করুন।

১০। বৈদ্যুতিক যন্ত্র খুলতে গেলে এর বিদ্যুৎ সংযোগ অবশ্যই পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে নিবেন। বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ধাতব অংশ স্পর্শ করার সময় খালি পায়ে মেঝেতে না দাঁড়ানো ভাল। বিদ্যুৎ এবং সাপ থেকে সবসময় সাবধান।

১১। এই পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করুন, যাতে অন্যরাও সাবধান হতে পারেন!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,573 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *