মিশরে ইউটিউব ব্লক না করার পক্ষে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আপীল

YouTubeমিশরের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় দেশটিতে ইউটিউব ব্লক না করে এতে এক্সেস চালু রাখার সিদ্ধান্ত চেয়ে আদালতে আপীল করেছে। গত সপ্তাহে মিশরের একজন বিচারক সেখানে গুগলের মালিকানাধীন এই ভিডিও শেয়ারিং সাইট ৩০ দিনের জন্য ব্লক করে দেয়ার আদেশ দেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে তৈরি বিতর্কিত ও সমালোচিত মুসলিম বিরোধী ভিডিওচিত্র “ইনোসেন্স অফ মুসলিমস” মুছে না ফেলার জন্যই ইউটিউবের বিরুদ্ধে উক্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়।

মিশরের টেলিকম মন্ত্রণালয় বলছে, ইউটিউব ব্লক করতে চাইলে উচ্চ প্রযুক্তিক খরচ সঙ্ঘটিত হবে। আইনানুগভাবে সামাজিক যোগাযোগের সাইটে থাকা বিষয়বস্তু মনিটর করতে না পারার কথাও উল্লেখ করেন তারা।

এছাড়া অধিকার সংশ্লিষ্ট গ্রুপ, “দ্যা অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রিডম অফ থটস এন্ড এক্সপ্রেশন ইন ইজিপ্ট” এর পক্ষ থেকেও একটি আপীল আবেদন ফাইল করা হয়েছে। তারা বলছে এ ধরণের সাইট বন্ধ করে দিলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদেরকে সেসব সাইটে মতপ্রকাশের অধিকার এবং নিজেদের তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে।

গত বছর জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ১৪ মিনিট ব্যাপ্তিকালের ঐ বিতর্কিত ভিডিও ক্লিপটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়। এরপর সেপ্টেম্বরে আরবি ভাষায় ডাবিং করা এর একটি একটি ভার্সন দেখা যায়। সেটি দ্রুত ওয়েবে ছড়িয়ে পরে এবং মুসলিম বিশ্বে- বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় ব্যাপক আকারে আন্দোলনের সূচনা করে। কোন কোন ক্ষেত্রে এটি সহিংসতায় রূপ নেয়। ঐ ঘটনায় লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস স্টিফেন্স মারা যান। সহিংসতায় মোট চার জন মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এক পর্যায়ে হোয়াইট হাউস থেকে অনুরোধ করা হলেও গুগল সেই ভিডিওটি মুছে ফেলতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে লিবিয়া, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং সৌদি আরবের জন্য ক্লিপটিতে এক্সেস ব্লক করে দেয় এই প্রতিষ্ঠান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউটিউবের ঐ ভিডিওটির কারণে বাংলাদেশেও ইউটিউব ব্লক করে দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি চললেও এই পোস্ট প্রকাশকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সন্ধ্যা) পর্যন্ত সাইটটিতে নির্বিঘ্নে এক্সেস করা যাচ্ছিল না।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *