অনলাইনে অসাধারণ হয়ে ওঠার উপায়

facebook eng

ইন্টারনেটে আমরা কত কিছুই না করি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিংকড ইন প্রভৃতি সাইটে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ব্যবহারকারী একাউন্ট খুলছেন। অনলাইনে সবাইই নিজেকে অন্যরকমভাবে উপস্থাপন করতে চায়। কিন্তু কীভাবে? এই পোস্টে আমরা এমন কিছু টিপস জানব যার অনুসরণ অনলাইনে আপনাকে অসাধারণ করে তুলবে।

১. সত্যি কথা বলুন

আপনি নিজে যেরকম, অনলাইনে সেই তথ্যই প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। সত্যি কথা বলতে ব্যক্তিগত ইমেইল এড্রেসকে বোঝানো হচ্ছেনা। আপনার অফিস কিংবা পড়াশোনার কাজে ব্যবহৃত ইমেইল না দিতে চাইলে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য আলাদা ইমেইল ব্যবহার করুন। একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে অনলাইনে নিজের প্রকৃত পরিচয় না লুকানো (ফেইক আইডি পরিহার করুন)।

২. নিজেকে অন্যের জায়াগায় কল্পনা করুন

বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টুইটার প্রভৃতিতে নিজেকে আপনার অডিয়েন্স বা ভার্চুয়াল জগতে চারপাশের মানুষ হিসেবে কল্পনা করুন। এবার ভাবুন, আপনি অন্যদের সাথে যেমন আচরণ করছেন সেই একই আচরণ আপনার সাথে করা হলে তা আপনার ভাল লাগবে নাকি বিরক্তিকর মনে হবে। এখান থেকে ধারণা নিয়ে অনলাইনে লোকজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করুন।

৩. নিজের আগ্রহের বিষয়গুলো জানুন

আপনি যেসব ব্যাপারে আগ্রহী সেগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখুন। এটি আপনাকে আপনার কর্মক্ষেত্র ও বন্ধু মহল সব জায়গায়ই সাহায্য করবে।

৪. অহমিকা ভুলে যান

নিজের মধ্য থেকে অহংকার, অহমিকা বা আমিত্ব ঝেড়ে ফেলুন। বাস্তব জীবনে আমরা যেমন দেখে থাকি, “অতিরিক্ত ভাব নিলে” বা “পার্ট নিতে” চাইলে তাকে খুব কম লোকজনই পছন্দ করবে। অনলাইনেও তেমনই। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনি যত বেশি অভিজ্ঞ বা এক্সপার্টই হোন না কেন, সেটি ভদ্রভাবে প্রয়োজনমাফিক কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ, মনে করুন, কেউ একজন ফেসবুকে প্রশ্ন করলেন “কম্পিউটার অর্থ কী?”; এবার আপনি যদি উত্তরটা এভাবে দেন “আরে মিয়া এইটাও জানো না, ফেসবুকে আসছ কীজন্য? কম্পিউটার অর্থ- গণনাকারী যন্ত্র”; এই উত্তরটা এভাবে দাম্ভিক স্বরে না দিয়ে কেবলমাত্র “কম্পিউটার অর্থঃ গণনাকারী যন্ত্র” এইটুকু বললেই হত! (আপনি কি আমার এই উদাহরণ দেখে অবাক হচ্ছেন? অনলাইনে চোখ কান খোলা রাখলে এর থেকেও বাজে ব্যবহারওয়ালা লোকজন পাবেন)

৫. পুনরাবৃত্তি পরিহার করুন

একই কনটেন্ট বারবার পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কোনও পোস্ট খুব হিট করলে সেটি রিপোস্ট করতে থাকলে অন্যদের নিকট তা বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য হলে সেগুলো পরবর্তীতে সংক্ষেপে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে লিংক করে দেয়া যেতে পারে। এখানে খেয়াল রাখবেন, একই জিনিস একবার বা বড়োজোর দুইবারের বেশি দেখলে পাবলিক সেটা মোটেই ভালভাবে নেবেনা।

৬. কাজের কাজ করুন

অনলাইনে কাটানো সময়কে অর্থবহ করে তুলুন। অন্যের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। নিজের সমস্যাগুলো শেয়ার করে সমাধান পেতে পারেন। “এইমাত্র নাস্তা করে এলাম” কিংবা “আজকে গোসল করবোনা” এই জাতীয় স্ট্যাটাস পরিহার করুন।

৭. শ্রোতা অনুযায়ী ভাষা ব্যবহার করুন

আপনার অডিয়েন্সদের জানুন। আপনি যদি শিশুতোষ কনটেন্ট লিখেন তাহলে তাদের জন্য সহজ, কোমল ভাষা ব্যবহার করুন। আপনার ভিজিটর যদি প্রাপ্তবয়স্ক, উচ্চশিক্ষিত হন তাহলে সেটা মাথায় রেখে পোস্ট করুন। আপনি যে তথ্য দিচ্ছেন সেগুলোর সূত্র প্রদান করতে ভুলবেন না।

৮. সংগতি রক্ষা করুন

অনলাইন নেটওয়ার্কিংয়ে সংগতিপূর্ণ আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্র্যান্ডের লোগো কিংবা ওয়েবসাইটের ডিজাইন পরিবর্তন করা হতেই পারে। কিন্তু প্রায়ই যদি এসব বিষয়ে পরিবর্তন আনেন, সেটি আপনার পরিচিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর যেকোনো পরিবর্তন-পরিবর্ধনের আগে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে নিন।

৯. চোখের সামনে তুলে ধরুন

আপনি যা বলতে চান সেটি ছবি ও লেখা উপভয়ের সমন্বয়ে পাঠকের নিকট পৌঁছে দিন। অনেক সময় একটি ছবি একাই ৫০০ বা আরও বেশি শব্দ বিশিষ্ট আর্টিকেলের চেয়ে বেশি অর্থ বহন করতে পারে। সুতরাং ভিজ্যুয়াল হোন।

১০. অনন্য হয়ে উঠুন

আপনি যেরকম, আপনি তা-ই। আপনার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অন্যদের নিকট থেকে আপনাকে আলাদা করে উপস্থাপন করবে। নিজের শক্তিশালী ও দুর্বল স্থানগুলো খুঁজে বের করুন। অনলাইন দুনিয়ায় শুধু নিজেকে জাহির করায় ব্যস্ত না থেকে অন্যদের কথাও ভাবুন। অন্যের উপকারে এগিয়ে আসুন।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,571 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *