যেসব ক্ষেত্রে এন্ড্রয়েড ফোনের চেয়ে আইফোন এগিয়ে

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে কোনটি ভাল? এন্ড্রয়েড ফোন নাকি আইফোন? এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের পছন্দ, কাজের ধরণ, চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ের উপর।

আপনি যদি আমাদের এই ব্লগটি নিয়মিত ভিজিট করে থাকেন, তবে কিছুদিন আগে আমাদের অন্য এক পোস্টে আইফোনের তুলনায় এন্ড্রয়েড ফোনের সুবিধাগুলো দেখে থাকবেন। এবার চলুন এর উল্টোটা দেখা যাক। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব, কোন কোন দিক থেকে এন্ড্রয়েড ফোনের চেয়ে আইফোন’কে বেশি মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।

ভাল অ্যাপগুলো আইফোনকে প্রধান্য দেয়

আইফোনের মার্কেট শেয়ার ছোট হলেও ডেভেপাররা আই ফোনের জন্য ভাল অ্যাপটি তৈরি করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকেন।

দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন

এইচটিসি ওয়ান এবং শাওমি এমআই নোট বাদে খুব কম সংখ্যক এন্ড্রয়েড মোবাইল বাজারে আছে যা দেখতে সুন্দর। এন্ড্রয়েড চালিত বেশিরভাগ ফোনই দেখতে আইফোনের তুলনায় দৃষ্টিনন্দন নয়, অনেকগুলো আবার প্লাস্টিক বডির। অপরদিকে আইফোন সবসময়ই বেশ নজরকাড়া ফিনিশিং ও ডিজাইন নিয়ে আসে।

অ্যাপল পে

শুরুর দিকে থাকলেও এখনো পর্যন্ত অ্যাপল পে মোবাইলের জন্য একমাত্র বিস্তৃত এবং উন্নত পেমেন্ট সিস্টেম যা বড় বড় সব ব্যাংক এবং ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলোর সেবা সাপোর্ট করে।

বিক্রয়োত্তর সেবা

অ্যাপল আপনাকে সর্বোত্তম গ্রাহক সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। আপনার ফোন কেনার পর যদি কোন সমস্যা হয় তবে আপনি এদিক থেকে অনেকটাই নিরাপদ যা এন্ড্রয়েড ফোন প্রস্তুতকারকদের থেকে কিছুটা হলেও বেশি।

স্মার্ট হোম

অ্যাপল এবছর নিয়ে আসতে যাচ্ছে হোম কিট প্ল্যাটফর্ম যা দিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার গৃহস্থলি তৈজসপত্র আপনার হ্যান্ডসেট দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

বাচ্চাদের উপর বাবা-মা এর অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা

আইওএস ৮ এ আপনি পাচ্ছেন ফ্যামিলি শেয়ার নামক সেবা যা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অ্যাপ শেয়ার করার সুবিধা দিবে। এছাড়া পরিবারের বাচ্চাদের জন্য যেসব অ্যাপ নয় তা ব্যবহার করা থেকে আপনি তাদের সীমাবদ্ধ করে দিতে পারবেন।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার

অনেক ফোন কোম্পানি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার সুবিধা দিলেও কোন ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারই অ্যাপল টাচ-আইডির মত এত ভাল কাজ করে না।

ক্যামেরা

খুব কম সংখ্যক এন্ড্রয়েড ফোনের ক্যামেরাই আইফোন ক্যামেরার মত/এর চেয়ে ভাল।

সফটওয়্যার আপডেট

আপনি যদি আইফোন ব্যবহার করে থাকেন তবে এর সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবেনা। বিদ্যমান মডেলগুলো নিয়মিত আইওএস আপডেট পেয়ে থাকে। অপরদিকে এন্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে আপনি পরবর্তী ভার্সন পাবেন কিনা তা সেই ভার্সনটি না আসা পর্যন্ত অনিশ্চিত। অনেক এন্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রেই দেখা যায় তা পরবর্তী ভার্সন আর সাপোর্ট করে না। পরবর্তী ভার্সনের জন্য নতুন ফোন কিনতে হয়।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *