আমরা এটা ভাবতে পছন্দ করি যে আমাদের ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড আমাদেরকে নিরাপদ রাখবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এরকমই একটি ব্যাপার যা অন্যের আঙুলে ৫০,০০০ বারে মাত্র ১ বার ক্র্যাক করার সুযোগ থাকে। আর একারণেই অ্যাপলের টাচ আইডি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি অ্যাপল এক প্যাটেন্টে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থাটি প্রসারিত করছে আর এজন্য তারা তাদের ব্যবহারকারীদের ডাটা আইক্লাউডে সংরক্ষণ করবে।
একটি সাধারণ প্রশ্ন চলেই আসে, কেন মানুষ তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট অনলাইনে সংরক্ষণ করবে।
প্রথমত, টাচ আইডির তথ্যগুলো এনক্রিপ্টেড- যাতে অপারেটিং সিস্টেম অথবা অন্য কোন সফটওয়্যার এ পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারে, অর্থাৎ এগুলোতে এক্সেস না পায়।
দ্বিতীয়ত, এই তথ্য কেবলমাত্র আইওএস ডিভাইসগুলোতেই থাকবে, কোন প্রকার সার্ভারে তথ্য থাকবেনা। যাতে করে গত বছরের আলোচিত সেলিব্রেটিদের ফটো চুরি করার মত ঘটনা না ঘটতে পারে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সেই প্যাটেন্ট অনুসারে আইক্লাউডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেটা রাখলে তা ঐসমস্ত ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক হবে যাদের একাধিক আইওএস ডিভাইস রয়েছে অথবা ডিভাইস শেয়ার করেন। যেমন একই পরিবারের সদস্য, যারা ডিভাইসে বার বার ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেজিস্ট্রেসনের ঝামেলা পোহাতে চান না। নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই তাদের অ্যাপল আইডি ভ্যালিডেট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডিভাইসে পুনরায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেকর্ড করার দরকার হবেনা, কেননা আইক্লাউডে ইতোমধ্যেই অন্য আরেকটি ডিভাইসের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংরক্ষিত হয়ে আছে। শুধুমাত্র ডিভাইস আনলক করার সময় আঙুল স্ক্যান করলেই চলবে। আর একাধিক স্তরের ভেরিফিকেসান এক্ষেত্রে ক্র্যাকারদের হাত থেকে বাঁচাবে।
এই প্যাটেন্ট এ নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন ও ব্লুটুথ এর মাধ্যমে নিকটস্থ ডিভাইসের সাথে ফিঙ্গার প্রিন্ট সিনক্রোনাইজ করার কথাও আছে। ব্যবহারকারীরা আইক্লাউডে এক্সেস আছে এমন ডিভাইস থেকে পণ্য ক্রয়ের ভ্যালিডেসনও দিতে পারেন।
মানুষ এখন তাদের ফাইনান্সিয়াল ডাটা অ্যাপল এর বৃহৎ ইকোসিস্টেমে রাখতে অভ্যস্ত। সে কারণেই এখন তাদের বায়োমেট্রিক ডাটা রাখতেও কোন অস্বস্তির কারন নেই বলেই হয়ত মনে করে কোম্পানিটি।
কিন্তু সব কথার শেষ কথা হচ্ছে এই নতুন নিরাপত্তার গল্প যত সহজভাবে বর্ণনা করা হল আসলে বাস্তবতা ততটা সাবলিল নয়। কোনো প্রযুক্তিই ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। অ্যাপল এর টাচ আইডিও মানুষের কাছে ১০০% বিশ্বস্ত নয়। দেখা যাক এই নতুনত্ব কতটা সাফল্য আনতে পারে।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।