আইফোনে আইওএস আপডেট দেয়ার আগে করণীয়

মার্চ মাসেই আসতে যাচ্ছে অ্যাপল এর আইওএস ১৭.৪ আপডেট। এই আপডেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ, প্রধানত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের জন্য। এই আপডেট এর মাধ্যমে এই প্রথম অফিসিয়ালি আইফোনে অ্যাপ সাইডলোড করার অপশন আসতে যাচ্ছে। এই পোস্টে জানবেন আইওএস ১৭.৪ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর ডিজিটাল মার্কেটস এক্ট (DMA) অনুসরণ করতে বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে অ্যাপলকে। এই আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি কিছু সিকিউরিটি ইম্প্রুভমেন্ট ও ব্যাটারি সম্পর্কিত আপডেটও এসেছে আইফোন ১৫ ব্যবহারকারীদের জন্য।

আইফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে দুই ধরনের মানুষ আছেন – এক পক্ষ কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়াই আপডেট ইন্সটল করে ফেলেন, অপরপক্ষ কখনোই ফোন আপডেট করেন না। আপনি যে পক্ষের মানুষই হোন না কেনো, এই আপডেট সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য না জেনে আপডেট করা উচিত নয়।

কোন কোন আইফোন আইওএস ১৭.৪ আপডেট পাবে?

আপনার আইফোন যদি আইওএস ১৭ আপডেট পেয়ে থাকে, তাহলে আইওএস ১৭.৪ এর আপডেটও পেয়ে যাবেন। আইওএস ১৭.৪ সাপোর্টেড ডিভাইসগুলো হলো:

  • আইফোন ১৫, ১৫ প্লাস, ১৫ প্রো, ১৫ প্রো ম্যাক্স
  • আইফোন ১৪, ১৪ প্লাস, ১৪ প্রো, ১৪ প্রো ম্যাক্স
  • আইফোন ১৩, ১৩ মিনি, ১৩ প্রো, ১৩ প্রো ম্যাক্স
  • আইফোন ১২, ১২ মিনি, ১২ প্রো, ১২ প্রো ম্যাক্স
  • আইফোন ১১, ১১ প্রো, ১১ প্রো ম্যাক্স
  • আইফোন এক্সএস (১০এস)
  • আইফোন এক্সএস (১০এস) ম্যাক্স
  • আইফোন এক্সআর (১০আর)
  • আইফোন এসই (সেকেন্ড জেনারেশন ও নতুন)

আপডেট নাকি অপেক্ষা – কোনটা করা উচিত?

প্রতি আইওএস আপডেটেই কমবেশি বাগসহ অনেক সমস্যাই থাকে। আপনি যদি আপনার ফোনে এসব সমস্যা ফেইস করতে না চান, সেক্ষেত্রে আপডেট আসার পর কিছুদিন অপেক্ষা করুন, ইন্টারনেটে আপডেট এর রিভিউ, সমস্যা, ইত্যাদি জানার পর আপডেট করাই উত্তম।

আইওএস আপডেট এর সাথে মূলত সিকিউরিটি আপডেট আসে, যার ফলে আপডেট দেওয়ার ক্ষেত্রে দেরি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি অটোমেটিক আপডেট বন্ধ করতে চান তাহলে তা করতে পারবেন Settings > General > Software Update অপশনে গিয়ে। আপনি যখন ফোন আপডেট করার প্রয়োজন বলে মনে করবেন তখন আপডেট করতে পারবেন।

অ্যাপস আপডেট করুন ও স্পেস খালি করুন

আপডেট করার আগে আপনার আইফোনে থাকা অ্যাপগুলো আপডেট করে নেওয়া ভালো একটি পদক্ষেপ হতে পারে। কেননা নতুন আপোডেটের সাথে অ্যাপের আগের ভার্সনগুলো ঠিকভাবে চলেনা অনেকসময়।

এছাড়া ফোন আপডেট করার আগেই অব্যবহৃত অ্যাপসমূহ আনইন্সটল করে দিতে পারেন। এতে নতুন আপডেটের পাশাপাশি ফোনেও কিছু স্টোরেজ খালি হবে। আপডেটের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক জিবির বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন হয়না, কিন্তু ফোনে স্টোরেজ কিছুটা খালি রাখলে সেক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।

ব্যাকাপ নিয়ে রাখুন

কোনো ধরনের ডাটা লস এর সমস্যায় না পড়তে চাইলে আগে থেকে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটার জন্য আইফোন ব্যাকাপ নিয়ে রাখতে পারেন। এইক্ষেত্রে চাইলে আইক্লাউড এর পাশাপাশি আপনার কম্পিউটার বা অন্য ডিভাইসেও ব্যাকাপ নিয়ে রাখতে পারেন।

ios iphone

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

আইক্লাউড পাসওয়ার্ড ভুলবেন না

বলে রাখা ভাল, আইওএস আপডেট এর পর আপনার ডাটা অ্যাকসেস করতে আইক্লাউড এর পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হবে। আপনার আইক্লাউড পাসওয়ার্ড মনে রাখা তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি আপনার আইক্লাউড পাসওয়ার্ড বা অ্যাপল আইডি পাসওয়ার্ড না জানেন, তবে আপডেটের আগেই রিসেট করে নিতে পারেন।

এছাড়া লোকাল ব্যাকাপ যদি এনক্রিপটেড হয়, সেক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হলে আইক্লাউড এর পাসওয়ার্ড এর প্রয়োজন হবে। তাই আপনার আইফোন ব্যতিত কোনো সুরক্ষিত স্থানেও আপনার আইক্লাউড এর পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে।

আপডেট এর আগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করণীয়

আইওএস আপডেট এর আগে ফোনে ৫০% এর বেশি ব্যাটারি চার্জ রাখা দরকার। কিন্তু ভালো হয় নিরাপত্তার খাতিরে ফোনকে আপডেট এর সময় চার্জে রাখা যাতে আপডেট হওয়ার সময় ফোন বন্ধ না হয়ে যায়। আবার যেকোনো ধরনের নেটওয়ার্কেই আইওএস আপডেট করা গেলেও ভালো ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার করে ফোন আপডেট করা অবশ্যই উত্তম। এতে আপনার সময় ও ব্যাটারি, উভয়ই বাঁচবে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *