ডাম্বফোন বা ফিচার ফোন এর প্রচলন দিনদিন বেড়েই চলেছে। এন্টি-মডার্ন বা সময়ের সুব্যবহার এর অংশ হিসেবে স্মার্টফোন এর পরিবর্তে ডাম্বফোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন অনেকে। তবে বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে ডাম্বফোন এর। ডাম্বফোনে সুইচ করার আগে জানা দরকার এমন বিষয়সমূহ সম্পর্কে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।
ডাম্বফোনে কি কি আছে?
শুরুতে ডাম্বফোন ব্যবহার করলে কি কি ফিচার পাচ্ছেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। প্রথমত ডাম্বফোন এর ডিসপ্লে বেশ ছোটোখাটো হয়ে থাকে। বেশ সাধারণ সফটওয়্যার দ্বারা চালিত এসব ফোনে ডিসট্রাকশন এর পরিমাণ নেই বললেই চলে। তাই আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যবহারের মাত্রা কমাতে চান, ডাম্বফোন এর এই সকল বিষয় আপনার কাজে আসবে।
সাধারণ কলিং এর ব্যবস্থা রয়েছে ডাম্বফোন। অর্থাৎ আপনার স্মার্টফোন থেকে যেভাবে কল করেন, ঠিক একইভাবে ডাম্বফোন থেকে কল করা যায়। তবে বলে রাখা ভালো কিছু ডাম্বফোনে ৩জি ও ৪জি সাপোর্ট আছে, আবার অনেক ডাম্বফোনে শুধু ২জি নেটওয়ার্ক রয়েছে। তাই সকল ডাম্বফোন এর কল এর কোয়ালিটি আর স্মার্টফোন এর কল কোয়ালিটি একই হয়না।
আবার মডার্ন ডাম্বফোনে ডুয়াল সিম সুবিধা থাকলেও অনেক ডাম্বফোনে এই সুবিধা থাকেনা। তাই ডাম্বফোন বা ফিচার ফোন কেনার সময় অবশ্যই এই বিষয়সমূহ মাথায় রাখবেন।
স্মার্টফোন এর মত ডাম্বফোনে স্বাভাবিকভাবে এসএমএস পাঠানো যায়। তবে এখানে আরসিএস বা আইমেসেজ এত মত মেসেজিং এর ফিচার নেই। বরং সাধারণ টেক্সট-ভিত্তিক এসএমএস ফিচার রয়েছে ডাম্বফোনে। স্মার্টফোন এর কিছু বাড়তি ফিচার, যেমনঃ রেডিও, ফ্ল্যাশলাইট, ইত্যাদিও পেয়ে যাবেন ডাম্বফোনে।
🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥
ডাম্বফোন থেকে অসাধারণ ব্যাটারি ব্যাকাপ পেয়ে যাবেন। হাতের স্মার্টফোনটি যেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে একবার হলেও চার্জ করা যায়, সেখানে ডাম্বফোনের চার্জ একবারে প্রায় সপ্তাহখানেক থাকে।
ডাম্বফোনে কি কি নেই?
এবার আসি ডাম্বফোন এর অসুবিধাসমূহতে। মূলত স্মার্টফোন যেসব সুবিধা প্রদান করে সেসব সুবিধার মধ্যে অধিকাংশ ডাম্বফোনে অনুপস্থিত।
ডাম্বফোনের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো এর ক্যামেরা না থাকার বিষয়টি। আমরা নিয়মিত ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে অভ্যস্ত। এমন সময়ে অধিকাংশ ডাম্বফোনে কোনো ক্যামেরা না থাকার বিষয়টি বেশ ঝামেলার। আমরা সাধারণত বিশেষ বা জরুরি মুহুর্তে ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করি। এখন অধিকাংশ ডাম্বফোনে ক্যামেরা থাকেনা। আবার ক্যামেরা থাকলেও তা তেমন ব্যবহারযোগ্য নয়৷
এরপর আসে স্মার্টফোন-ভিত্তিক এক্সক্লুসিভ ফিচারগুলো যা ডাম্বফোনে অনুপস্থিত। ইন্টারনেট এমন একটি ফিচার যা স্মার্টফোনকে স্মার্টফোনে পরিণত করেছে। আর এই ইন্টারনেট অনুপস্থিত ডাম্বফোনে। কিছু কিছু ডাম্বফোনে ইন্টারনেট থাকলেও অধিকাংশ ডাম্বফোনে ইন্টারনেট নেই। আবার ইন্টারনেট না থাকার ফলে ইন্টারনেট ভিত্তিক অসংখ্য প্রয়োজনীয় ফিচার ব্যবহারের সুযোগ নেই ডাম্বফোনে।
👉 স্মার্টফোন বাদ দিয়ে ডাম্বফোন ব্যবহারের সুবিধা জানুন
👉 বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
সহজ ভাষায় বলতে গেলে বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়া চলা বেশ অসম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়াতে আপাতদৃষ্টিতে সময় নষ্ট করা হচ্ছে বলে মনে হলেও পরিবার ও বন্ধুদের খবর রাখতে ও যোগাযোগ করতে এসব কাজে আসে। এখন আপনার কাছে যদি একটি কম্পিউটার থাকে সেক্ষেত্রে ইন্টারনেট এর ব্যবহার তার মাধ্যমে সেরে ফেলতে পারেন। তাহলে ডাম্বফোন সাধারণ কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
অর্থাৎ ডাম্বফোন ও স্মার্টফোন এর সুবিধা-অসুবিধা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ মাত্র। তাই ডাম্বফোনে সম্পূর্ণভাবে সুইচ করার আগে উল্লেখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে দেখুন।
👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।