নগদ নাকি রকেট, কোনটি বেশি সুবিধাজনক? জেনে নিন

নগদ বা রকেট সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই- এই দুইটি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা জেনে থাকবেন। বাংলাদেশের প্রচুর জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, নগদ ও রকেট এর পার্থক্য জানবেন এই পোস্টে। নগদ নাকি রকেট – কোনটি সেরা সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন এই পোস্ট থেকে।

সেন্ড মানি

নগদ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেন্ড মানি করা যাবে নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে। আবার নগদ ইউএসএসডি কোড *167# ডায়াল করে নগদ সেন্ড মানি করলে সেক্ষেত্রে ৫টাকা ফি কাটা হয়। এদিকে রকেট ব্যবহার করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫,০০০টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে সেন্ড মানি করা যাবে। রকেট থেকে ডিবিবিএল কোর ব্যাংকিং একাউন্ট বা কার্ড ট্রান্সফার করলে ০.৯% সেন্ড মানি ফি কাটা হয়।

মোবাইল রিচার্জ

দেশের সকল অপারেটরে মোবাইল রিচার্জ করার ফিচার প্রদান করে নগদ ও রকেট, উভয় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। নগদ ও রকেট ব্যবহার করে নিজের নাম্বারের পাশাপাশি দেশের যেকোনো নাম্বারে রিচার্জ করা যাবে।

ক্যাশ আউট

দেশের সবচেয়ে কম ক্যাশ আউট ফি সুবিধা পেয়ে যাবেন নগদে। নগদ অ্যাপ এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করলে ১১.৪৮টাকা ফি কাটে প্রতি হাজারে। আবার নগদ ইসলামিক অ্যাপ এর ক্ষেত্রে ক্যাশ আউট ফি প্রতি হাজারে ১৫টাকা। এছাড়া নগদ ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে ক্যাশ আউট করলে সেক্ষেত্রেও ১৫টাকা প্রতি হাজারে ফি কাটা হয়।

রকেট ক্যাশ আউট যদি এজেন্ট এর কাছ থেকে করেন তবে ১.৬৮% চার্জ কাটবে। অর্থাৎ ১৬.৮টাকা প্রতি হাজারে ক্যাশ আউট ফি কাটে রকেট। আবার ডিবিবিএল শাখা কিংবা এটিএম থেকে রকেট ক্যাশ আউট করলে সেক্ষেত্রে ০.৯% ক্যাশ আউট ফি পেয়ে যাবেন।

👉 সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউটের মধ্যে পার্থক্য জানুন

👉 নগদ ক্যাশ আউট করার নিয়ম

পেমেন্ট

দেশের অসংখ্য দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পে করা যায় নগদ এর মার্চেন্ট পে ফিচার এর মাধ্যমে। এই মার্চেন্ট পেমেন্ট ফিচার পেয়ে যাবেন নগদ ও রকেট, উভয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ক্ষেত্রে। দেশজুড়ে অসংখ্য মার্চেন্ট আউটলেট নগদ ও রকেট এর মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করে থাকে৷ যেসব ক্ষেত্রে নগদ পেমেন্ট গ্রহণ করা হয়, অধিকাংশ সময় সেসব স্থানে রকেট পেমেন্টও গ্রহণ করে। তবে আবার অনেক সময় দেখা যায় এক্সক্লুসিভলি শুধুমাত্র নগদ বা রকেট এর পেমেন্ট গ্রহণ করা হয়।

এড মানি

নগদ ও রকেট একাউন্টে টাকা আনা যাবে একাধিক এড মানি অপশন ব্যবহার করে। নগদ ও রকেট, উভয় প্ল্যাটফর্ম এর ক্ষেত্রে এড মানি করতে পারবেন আপনার সুবিধামত যেকোনো মাধ্যমে। নগদ এড মানি করা যাবে এজেন্ট এর কাছ থেকে এবং ব্যাংক ও কার্ড থেকে। 

অন্যদিকে এজেন্টের পাশাপাশি আরো অনেক মাধ্যমে এড মানি এর সুযোগ প্রদান করে রকেট, যথাঃ ডিবিবিএল শাখা ও এজেন্ট, ইআইএসসি, বাংলালিংক, সিটিসেল ও এয়ারটেল রিটেইল পয়েন্ট এবং গ্রামীণফোন এর মোবিক্যাশ আউটলেট। ব্যাংক কিংবা ডিবিবিএল ক্রেডিট কার্ড থেকেও এড মানি করার সুযোগ প্রদান করে রকেট।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

নগদ নাকি রকেট, কোনটি বেশি সুবিধাজনক? জেনে নিন

👉 রকেট একাউন্টের দারুণ কিছু সুবিধা জেনে নিন

পে বিল

নগদ ও রকেট, উভয় সেবা ব্যবহার করে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট এর সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, ইত্যাদি বিল পে করা যাবে নগদ বা রকেট ব্যবহার করে।

সেভিংস

গ্রাহকদের Savings নামে একটি ফিচারের মাধ্যমে বিকাশ আইডিএলসি ফাইনান্স, ঢাকা ব্যাংক ও মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর সেভিংস স্কিম এর সাহায্যে ডিপিএস বা টাকা জমানোর সুবিধা প্রদান করে বিকাশ। কিন্তু এ ধরনের কোনো ফিচার নেই রকেট কিংবা নগদ গ্রাহকদের জন্য। তবে নগদ একাউন্টে জমিয়ে রাখা অর্থের উপর মুনাফা পাওয়ার ফিচার রয়েছে।

👉 রকেট একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয়

লোন

বিকাশ গ্রাহকগণ সিটি ব্যাংক এর সৌজন্যে ৩ মাস মেয়াদী লোন নিতে পারেন, এই বিষয়ে কমবেশি সবাই জানেন। তবে এই ধরনের কোনো লোন নেওয়ার সুযোগ নেই রকেট বা নগদ গ্রাহকদের জন্য।

ছোটোখাটো কিছু পার্থক্য ব্যতীত প্রায় একই ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে নগদ ও রকেট। এই দুইটি সেবার মধ্যে কোনটি আপনার জন্য সেরা, ব্যবহারকারী হিসেবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শুধুমাত্র আপনি। নগদ নাকি রকেট – আপনার পছন্দ কোনটি? আপনার মতামত আমাদের জানাতে পারেন কমেন্ট সেকশনে।

👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

2 comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *