ইউটিউব ভিডিও ভিউ বৃদ্ধি করার অব্যর্থ উপায়

ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে যেমন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO) দরকার হয়, তেমনি ইউটিউব ভিডিওর জন্যও অপটিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে ভিডিও এসইও করতে পারলে ভিডিওর র‍্যাংকিং ও ভিউ আশাতীত হারে বৃদ্ধি পায়। এই পোস্টে আমরা ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজ করার কিছু বেসিক টিপস দেখে নেব, যা আপনার চ্যানেলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই পোস্টটি পাঠিয়েছেন বাংলাটেক টোয়েন্টিফোর ডটকম এর পাঠক আল আমিন রহমান। লেখাটি সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হচ্ছে।

কিওয়ার্ড নির্বাচন

ওয়েবপেজের কিওয়ার্ডের মতই ভিডিওর জন্যও কিছু রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা সম্পর্কিত কিওয়ার্ডটি হবে প্রাইমারি কিওয়ার্ড, আর অন্য একটি কিওয়ার্ড হবে (রিলেভেন্সের দিক থেকে তুলনামূলকভাবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা) সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড। প্রাইমারি কিওয়ার্ড ভিডিওর টাইটেলে বসাতে হবে এবং সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড ভিডিওর ডেসক্রিপশনে এবং ট্যাগে যোগ করতে হবে।

ভিডিও টাইটেল

টাইটেলে টার্গেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহারের সাথে সাথে খেয়াল রাখতে হবে যাতে টাইটেলটি ভিডিওটিকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করে। কোনো ধারাবাহিক ভিডিওর ক্ষেত্রে প্রতিটি ভিডিওর টাইটেলে সিরিয়াল নাম্বার উল্লেখ করলে প্লে হওয়ার সময় সিরিজের আগের এবং পরের ভিডিওদুটি ইউটিউব সাজেস্টেড ভিডিও হিসেবে শো করবে।

ট্যাগ

ইউটিউব ভিডিওর ট্যাগ অপশনে রিলেভেন্ট কিওয়ার্ড দিতে হবে। এর ফলে এরকম অন্য ভিডিও প্লে হওয়ার সময় আপনার ভিডিওটিও সাজেশন আকারে দেখানো হবে।

ভিডিও ডেসক্রিপশন

ইউনিক এবং ৩০০+ শব্দের ভিডিও ডেসক্রিপশন হলে ভাল হয়। এটা অবশ্যই ভিডিওর সাথে সম্পর্কিত হতে হবে। ০.৫% কিওয়ার্ড ডেসক্রিপশনে ব্যবহার করতে পারেন। ভিডিওর ট্যাগগুলো ডেসক্রিপশনের মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন।

থাম্বনাইল

একটি আদর্শ ভিডিও কী সম্পর্কে হবে তা এর থাম্বনাইল দেখলেই বোঝা যাবে। ভিডিও আপলোড এবং প্রসেসিং হয়ে গেলে ইউটিউব নিজ থেকেই থাম্বনাইল তৈরি করে, তবে নির্দিষ্ট সময় পর আপনি ইউটিউবে কাস্টম থাম্বনাইল সেট করতে পারবেন।

এঙ্গেজমেন্ট

ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা, দর্শকদের কমেন্টের উত্তর দেয়া প্রভৃতি আপনার চ্যানেলের গ্রহণযোগ্যতা ও সাবস্ক্রাইবার বাড়াবে এবং ভিডিওর ভিউ বৃদ্ধি করবে। তবে নিজ থেকে নিজের ভিডিও লাইক/আনলাইক বা অকারণে প্লে করে ভিউ বাড়াতে করতে যাবেন না, কারণ স্প্যামিং হিসেবে ধরা খাওয়ার রিস্ক আছে। ভিউয়াররা যদি প্রতিবার আপনার কোনো ভিডিও লেন্থের কমপক্ষে ৫০%-৬০% দেখে তাহলে সেটা আপনার চ্যানেলের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে ইউটিউব বিবেচনা করবে।

এই ভিডিওতে দেখে নিন আরও কিছু টিপসঃ

https://www.youtube.com/watch?v=B8Fg3r8ptv8

আশা করি এই টিপসগুলো আপনার কাজে আসবে। পরবর্তী কোনো এক পোস্টে ইউটিউবের আরও দরকারী কিছু টিপস নিয়ে হাজির হওয়ার প্রত্যাশা রইল।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *