ফেসবুক ও অনলাইনে নিরাপদ থাকতে চাইলে যা জানা অত্যাবশ্যক

ফেসবুকে প্রতি মাসে প্রায় ১.৪ বিলিয়ন অ্যাকটিভ ব্যবহারকারী থাকেন। আর এ কারণেই কোম্পানিটি মনে করছে এই বিশাল পরিমাণ ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা বিধান করা তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। মেলিসা লু-ভেন (ফেসবুক সিক্যুরিটি প্রোডাক্ট ব্যবস্থাপক) বলেন, যেহেতু মানুষ সচরাচর ফেসবুক ব্যবহার করে তাই এর নিরাপত্তা জোরদারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকি। কোম্পানিটি সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার  “Security Check-up” রিলিজ করেছে যার মাধ্যমে আপনার ফেসবুক একাউন্টের নিরাপত্তা সম্পর্কে অবগত থাকতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখনই কোন নতুন সার্ভিসে সাইন-আপ করবেন তখন পাঁচটি নীতির উপর খেয়াল রাখা উচিত। সেগুলো হচ্ছেঃ

সবসময় শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা

শক্তিশালী এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষ সবসময়ই খারাপ অভ্যাসের পরিচয় দেয়। আবার অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন একাউন্ট এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড মনে রাখাও কষ্টকর তাই অনেকেই একই পাসওয়ার্ড সব একাউন্টের জন্য ব্যবহার করে থাকেন যা কখনোই ঠিক না। সবসময় এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত যা অন্যান্যদের জন্য আপানর কাছ থেকে আশা করা যায় না কিন্তু আপনার কাছে খুবই সাধারন। মেলিসা লম্বা ধরনের পাসওয়ার্ড এর দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

লগ-ইন এপ্রুভাল

আপনার একাউন্ট এর সুরক্ষার জন্য আপনার সবসময় এ ধরনের অতিরিক্ত স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত। দুই স্তর বিশিষ্ট এই ভেরিফিকেশন সিস্টেম নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। সাধারণত  এ প্রক্রিয়ায় আপনাকে একটি কোড টেক্সট করে পাঠানো হয় যেটা ইউজারনেম-পাসওয়ার্ডের সাথে ইনপুট করতে হয়।

বিভিন্ন অ্যাপকে আপনি কী ধরনের পারমিশন দিচ্ছেন তা জেনে রাখুন

আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন অনেক অ্যাপ ইনস্টল করার সময় বিভিন্ন ধরনের পারমিশন এর জন্য অনুরোধ জানায়। এই ধরনের পারমিশন দেয়ার পূর্বে এগুলো ভাল করে খেয়াল করে দেখা উচিত।

ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করা

আমরা অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় পাসওয়ার্ড লিখে রাখি যাতে ভুলে না যাই কিন্তু এই পাসওয়ার্ড যদি ভুল হাতে পড়ে তাহলে তা অনেক বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই আপনার উচিত একটি ট্রাস্টেড কন্টাক্ট সেট করা যা আপনাকে এ ধরনের সমস্যা থেকে পরিত্রান দিবে। অনেক সার্ভিসই এখন ব্যাকআপ ইমেইল অথবা ফোন নাম্বার এর সুবিধা দেয় যা আপনাকে একটি বিশেষ কোড পাঠাবে। এই কন্টাক্ট গুলো কোন পাসওয়ার্ড ধারন করে না বরং আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করতে সাহায্য করবে।

উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা

মেলিসার দেয়া উপদেশগুলোর মধ্যে সব থেকে বিষাদগ্রস্ত কিন্তু দরকারি ব্যপারটি হল আপনি মরে যাওয়ার পর বিশ্বস্ত কাউকে আপনার একাউন্টটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট করে যাওয়া কেননা আপনি নিশ্চয়ই চান না আপনি চলে যাওয়ার পর আপনার স্মৃতি মুছে যাক অথবা কেউ আপনার একাউন্ট খারাপ ভাবে ব্যবহার করুক।

এখন পড়ুনঃ আপনার অনলাইন একাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে কী করবেন?

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,543 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *