থ্রিজি পেল গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক!

অবশেষে অনুষ্ঠিত হল তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক থ্রিজি লাইসেন্স নিলাম। বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কর্মকর্তাবৃন্দ ও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে আয়োজিত এই নিলামে দেশের চার বেসরকারী মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক অংশ গ্রহণ করেছিল।

১৫ বছরের জন্য হবে লাইসেন্স, ৫ বছর পর পর নবায়নযোগ্য

টেলিটক নিলামে অংশ না নিলেও তারা নিলামে ওঠা টাকা পরিশোধ করে লাইসেন্স নেবে। দেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর সিটিসেল প্রাথমিকভাবে নিলামের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হলেও শেষ পর্যন্ত “আর্থিক সমস্যার কারণে” ২৯ আগস্ট বিড আর্নেস্ট মানি জমা না দিতে পেরে নিলাম থেকে ছিটকে পড়ে।

নিলামে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন ২১ কোটি ডলারে (২ কোটি ১০ লাখ ডলার/মেগাহার্টজ রেটে) ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনে নেয়। রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক প্রত্যেকে ৫ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ কেনে। এতেও মেগাহার্টজপ্রতি ২১ মিলিয়ন ডলারের বেশি দর ওঠেনি।

এই থ্রিজি নিলামে সরকারের আয় হচ্ছে ৪০৮১ কোটি টাকা

১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য প্রথম ফেজে ২১ মিলিয়ন ডলার/মেগাহার্টজ (২ কোটি ১০ লাখ ডলার/মেগাহার্টজ) ডাক দেয় জিপি। অন্য কোনো অপারেটর এই ডাকে অংশ না নেয়ায় ওই দরেই ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ জিতে নেয় গ্রামীণফোন।

এরপর ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য প্রথম ডাকে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার/মেগাহার্টজ দাম হাঁকেন রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেলের কর্মকর্তারা। এরপর আর কেউ দর বাড়াতে রাজি হননি। ফলে সেখানেই শেষ হয়ে যায় নিলামের দ্বিতীয় ধাপ।

নিলাম চলাকালীন সময়ে মার্কিন ডলার ও বাংলাদেশী টাকার বিনিময় হার অনুযায়ী (সরকারের প্রতি) জিপিকে পরিশোধ করতে হবে প্রায় ১ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা।

আর অপর তিন বেসরকারি অপারেটর বাংলালিংক, রবিএয়ারটেল প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজ নিজ ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য (একই রেটে) গুণতে হবে প্রায় ৮১৬ কোটি টাকা করে। আর সব মিলিয়ে এতে সরকারের আয় হচ্ছে ৪০৮১ কোটি টাকা।

কিন্তু, সিটিসেল কী করবে?

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানি টেলিটক নিলামে ওঠা দর (২ কোটি ১০ লাখ ডলার/মেগাহার্টজ) পরিশোধপূর্বক ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ব্যবহার করবে। মোট ৫০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ থেকে ২৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বিক্রি হয়ে গেল। অবিক্রীত ১৫ মেগাহার্টজের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত হবে।

আজকের নিলামে অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রথম কিস্তিতেই মোট অ্যামাউন্টের ৬০% জমা দিতে হবে। আর ১৮০ কর্মদিবসের মধ্যে বাকি টাকা দিতে হবে।

টাকা পরিশোধের ৭-১০ দিনের মধ্যে লাইসেন্স দেয়া হবে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস। তবে কোনো অপারেটর যদি ৯ মাসের মধ্যে সকল বিভাগে থ্রিজি সেবা চালু করতে না পারে তাহলে তার ৫০ কোটি টাকা জরিমানা হবে।

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,549 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *