যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি পুরাতন মডেলের আইফোন এবং আইপ্যাড বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ওবামা প্রশাসন। চলতি বছর জুনে স্যামসাংয়ের মালিকানাধীন পেটেন্ট ভঙ্গের দায়ে এসব অ্যাপল পণ্য ব্যান করে দেয় ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন (আইটিসি); কিন্তু প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাণিজ্য প্রতিনিধি বলছেন সরকার দেশটির প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি এবং ভোক্তাস্বার্থের কথা উল্লেখপূর্বক আইটিসির ঐ রায়ের ওপর ভেটো প্রদান করেছেন। যদিও এসব পরিস্থিতিতে এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘটনা খুবই কদাচিৎ।
যে পেটেন্টগুলো নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলো থ্রিজি প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট এবং তা একই সময়ে বিভিন্ন সেবা নির্ভুলভাবে আদানপ্রদান করতে সাহায্য করে। অ্যাপল আইফোন ৪, আইফোন ৩, আইফোন থ্রিজিএস, আইপ্যাড থ্রিজি এবং আইপ্যাড ২ থ্রিজি স্যামসাংয়ের এই পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে বলে আইটিসি রায় দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে এসব ডিভাইস আমদানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
উল্লিখিত আইওএস ডিভাইসগুলোতে যে পেটেন্ট নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় তা মূলত “স্ট্যান্ডার্ড এসেনশিয়াল পেটেন্ট” গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, যুগোপযোগী কোন পণ্য তৈরি করতে গেলে এই পেটেন্টের আওতায় থাকা কৌশলসমূহ ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আপল-স্যামসাংয়ের মধ্যে এগুলোর লাইসেন্সিং নিয়ে সমঝোতা হচ্ছিল না বলেই বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পর্যন্ত পৌঁছে।
ইউএস আইটিসি দ্বারা ঘোষিত কোন ইমপোর্ট ব্যান দেশটির প্রেসিডেন্ট কর্তৃক রিভিউ হওয়ার নিয়ম আছে। সেই সূত্রেই মিঃ ওবামা এই বিষয়টির উপসংহার টানলেন।
স্বভাবতই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে অ্যাপল খুশি হয়েছে এবং স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে পেটেন্ট অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। অপরদিকে স্যামসাং দাবী করছে তারা সঠিক প্রক্রিয়ায় থাকলেও অ্যাপল পয়সা খরচ করে মেধাসত্ব লাইসেন্স নিতে অনিচ্ছুক।
- বাংলাটেক ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক যেকোনো প্রশ্ন করুনঃ এখানে ক্লিক করুন।
- বাংলাটেক ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন।
- বাংলাটেক ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন এবং দারুণ সব ভিডিও দেখুন।
- গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন।
- বাংলাটেক সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে।
- প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে ভিজিট করুন www.banglatech24.com সাইট।