মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অটো টাকা কাটা বন্ধ করার নিয়ম

মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে মাঝেমধ্যে নিজ থেকে টাকা কেটে যেতে দেখা যায়। এই পোস্টে এসব মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপে অটোমেটিক টাকা কাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। প্রথমে জানা যাক আমরা এখানে কি ধরনের পরিস্থিতির কথা বলছি। বিভিন্ন অ্যাপ বা সার্ভিসে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস (যেমন বিকাশ) দ্বারা পেমেন্ট এর অপশন থাকে। মোবাইল ব্যাংকিং দ্বারা পেমেন্ট সম্পন্ন করার জন্য কোড ও পিন প্রদান করার পর উক্ত অ্যাপ বা সেবার মধ্যে মাসিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে সাবস্ক্রাইব করার অপশন থাকে।

অনেকেই কিছু খেয়াল না করে সেসব অপশন চালু করে দেন। এর ফলে প্রতি মাসে/নির্দিষ্ট সময় পর পর মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। এখন এই ধরনের পরিস্থিতিতে কি করণীয় হতে পারে সে সম্পর্কে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।

চলুন আরেকটু সহজভাবে এই বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করি, তবে সমস্যার সমাধান জানা যাবে। ধরুন কোনো ওয়েবসাইটে কোনো সেবা কিনতে বিকাশ দ্বারা পেমেন্ট করলেন ও উক্ত ওয়েবসাইট আপনার বিকাশের তথ্য সেভ করে নিয়েছে। আপনি ওটিপি এবং পিন কোড দেওয়ার পর আপনার অনুমতিক্রমেই সেই সাইটটি বিকাশ তথ্য সেভ করতে পারবে। এখানে উক্ত সাইটকে দোষারোপ করে খুব একটা লাভ হবেনা। এসব ক্ষেত্রে পেমেন্ট অপশনে লেখাই থাকবে যে তারা তথ্য সেভ করবে।

এখন আপনি উক্ত সেবা ব্যবহার করুন বা না করুন, নির্দিষ্ট সময় পর পর উক্ত ওয়েবসাইট আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু আপনি এই টাকা কাটা বন্ধ করতে চান। এবার এই সমস্যার সমাধান জানা যাক। মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়ে গেলে, সেই সমস্যার একাধিক সমধান হতে পারে। এই পোস্টে প্রদত্ত যেকোনো এক বা একাধিক উপায়ে অটোমেটিক টাকা কাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপে অটোমেটিক টাকা কাটা বন্ধ করবেন কিভাবে। উল্লেখিত সমস্যার প্রথম সমাধান বেশ সহজ। উল্লেখিত পরিস্থিতিতে টাকা কেটে নেওয়ার কারণ হতে পারে কোনো সার্ভিসের জন্য একটিভ থাকা সাবস্ক্রিপশন ফি। অনেক সময় কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে কোনো সার্ভিস কেনার সময় তা ওয়ান-টাইম এর স্থলে সাবস্ক্রিপশন একটিভ হয়ে যায়।

আর সাবস্ক্রিপশন এর কারণে নিয়মিত মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে টাকা কাটে। এই যদি হয়ে থাকে টাকা কাটার কারণ, তাহলে উক্ত টাকা কাটা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজের একাউন্টে লগইন করে সাবস্ক্রিপশন রিনিউয়াল বন্ধ করে দিন। এতে টাকা কাটার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

আবার ধরুন উক্ত ওয়েবসাইটে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন রিনিউয়াল প্ল্যান দেখতে পাচ্ছেন না, কিন্তু প্রতি মাসে ঠিকই টাকা কেটে যাচ্ছে। এই ধরনের পরিস্থিতি উক্ত ওয়েবসাইটের কোনো কারিগরি ত্রুটির কারণে হতে পারে। তাই এই ধরনের পরিস্থিতিতে উক্ত ওয়েবসাইট সাপোর্ট টিম এর সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন।

প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটের Contact পেজে উক্ত ওয়েবসাইটের টিমের সাথে যোগাযোগের নাম্বার ও ইমেইল থাকে। এসব তথ্য ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

🔥🔥 গুগল নিউজে বাংলাটেক সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন 🔥🔥

👉 বিনিয়োগ করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

এবার আসি তৃতীয় সমাধানে। বলে রাখা ভালো যে এই পদ্ধতিতে টাকা কাটা সেবা বন্ধ করা একই সাথে সবচেয়ে সহজ ও কঠিন হতে পারে। কথা বলছি মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইনে কল করে বিষয়টি জানানো সম্পর্কে। আপনার ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিয়ে গেলে তা উক্ত ব্যাংকিং একাউন্টের হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে জানাতে পারেন। এখানে আপনার পরিচয় প্রমাণ করতে পারলে তবেই মোবাইল ব্যাংকিং হেল্পলাইন যথাযথ সাহায্য করতে পারবে।

বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট সহ সকল ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব হেল্পলাইন নাম্বার আছে, যেখানে ফোন করে আপনার সমস্যার কথা জানাতে পারেন। বিকাশ এর অনলাইন লাইভ চ্যাট সুবিধা রয়েছে যা দ্বারা এই প্রক্রিয়া আরো সহজ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য যে হেল্পলাইন বা লাইভ চ্যাটে যোগাযোগের পর একাউন্ট সম্পর্কিত কোনো ধরনের একশন গ্রহণে অবশ্যই আপনার পরিচয় প্রমাণ করতে হবে। এরপর সাপোর্ট টিম আপনার লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য জেনে সে অনুযায়ী আপনাকে সহায়তা করবে।

এভাবে বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে অটোমেটিক টাকা কাটার বিষয়টি সমাধান করা যায়। আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে অটোমেটিক টাকা কাটলে ঘাবড়ে না গিয়ে উল্লেখিত নির্দেশনা অনুসরণ করুন ও সমস্যার সমাধান করুন।

👉 আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে সাথেই থাকুন। এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রিপশন কনফার্ম করুন!

📌 পোস্টটি শেয়ার করুন! 🔥

সর্বশেষ প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সরাসরি আপনার ইমেইলে পেতে ফ্রি সাবস্ক্রাইব করুন!

Join 8,571 other subscribers

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *